You may be interested in…
-
সমর্পণ-সন্দীপন
রবের আশ্রয়ে
তুলা রাশি কোনো লোককে দিয়ে বাটি-চালান দেওয়ার দৃশ্য; ঘরবন্দি, শরীরবন্দির নাম দিয়ে শিরকি তাবিজের ব্যবহার; কুরআন-হাদীসে বর্ণিত দুআগুলো বাদ দিয়ে শিরক-কুফর-মিশ্রিত মন্ত্র দ্বারা ঝারফুঁক—এগুলো এখনও গ্রামে বেশ প্রচলিত। গাঁয়ের লোকেরা অসুস্থ হলেই দৌড়ে যায় ভণ্ড কবিরাজদের কাছে। আর কবিরাজরা দুষ্ট জিন কিংবা শয়তানের সহযোগিতা নিয়ে বিভ্রান্ত করে সরলপ্রাণ মানুষদের। অনেক সময় মোটা অঙ্কের টাকাও হাতিয়ে নেয় আশু-বিপদের ভয় দেখিয়ে। কিন্তু দিনশেষে ওদের চেষ্টা-তদবিরের মাধ্যমে রোগ-ব্যাধি আর সারে না। আল্লাহ তাআলা কুরআন নামক এক বিশেষ নিয়ামাত এই উম্মাহকে দিয়েছেন। তিনি বলেছেন, “আর আমি কুরআন নাজিল করেছি, যা মুমিনদের জন্য শিফা ও রহমত।” [সূরা বানী ইসরাঈল, ৮২] আমরা যদি কুরআনকে আর কুরআনের ব্যাখা হাদীসকে আঁকড়ে ধরতাম, তবে হয়তো কোনো কবিরাজ, জাদুকর কিংবা ফকিরদের কাছে দৌড়তে হতো না দৈনন্দিন সমস্যাগুলো নিয়ে। গলায় বাঁধতে হতো না কুফুরি-কালামের তাবিজ, কোমরে ঝুলত না রঙিন পৈতা, বাজুতে থাকত না কড়ি কিংবা শেকড়বাকড়। কুরআন-সুন্নাহ’য় বর্ণিত দুআ-দরুদের মাধ্যমেই জিন, জাদু, বদনজর, ওয়াসওয়াসা ও বিভিন্ন রোগবালাই থেকে বাঁচাতে পারতাম নিজেদের। আশার কথা হলো, ইদানীং অনেকেই সচেতন হয়েছেন বা হচ্ছেন। শিরক-কুফর-যুক্ত তাবিজ-তুমার-মাদুলির বদলে কুরআন-সুন্নাহ’য় বর্ণিত দুআ, যিকর ও চিকিৎসা-পদ্ধতির শরণাপন্ন হচ্ছেন। মন্ত্র দিয়ে ঝাড়ফুঁক করানোর বদলে সুন্নাহ-নির্দেশিত পন্থায় ঝাড়ফুঁক করাচ্ছেন। আলহামদুলিল্লাহ, তাদের জন্যেই হাফিয আল-মুনাদি লিখেছেন “রবের আশ্রয়ে”। বইটিতে মানুষের বানানো কোনো মন্ত্র কিংবা শিরকি-পদ্ধতি স্থান পায়নি। নিরেট কুরআন-সুন্নাহ’র নির্যাস থেকে জিন-জাদু-বদনজর ও রুকইয়ার পদ্ধতি বাতলে দিয়েছেন লেখক। ইন শা আল্লাহ বইটি আমাদের জন্য উল্লেখযোগ্য পথনির্দেশক হিসেবে কাজ করবে। . লেখক : হাফিজ আল মুনাদি পৃষ্ঠা : 200 পেপার : ৮০গ্রাম (অফসেট) বাঁধাই : পেপারব্যাক প্রকাশনী- সমর্পণ প্রকাশন
বইয়ের নাম- রবের আশ্রয়ে লেখক- হাফিজ আল মুনাদি সম্পাদনা- সমর্পণ টিম প্রকাশনী- সমর্পণ প্রকাশন মোট পৃষ্ঠা : ২০০ বইয়ের ধরণ- কুরআন ও সুন্নাহ ভিত্তিক চিকিৎসা (রুকইয়্যাহ)
SKU: n/a -
আরিফ আজাদ, সমকালীন
প্যারাডক্সিক্যাল সাজিদ ২
সাজিদের কথা শুনে ফিক করে হেসে ফেললো রাজিব। সম্ভবত চেহারার উপমাটা শুনে সে খুব মজা পেয়েছে। হেসে ফেললাম আমিও। হাসাহাসির পর্ব শেষে সাজিদ আবারও সমুদ্র বিলাসে ডুব দিলো। সাঁ সাঁ করে বাতাস বইছে সাগরের বুকে। জাহাজের দোলুনি খেতে খেতে আমরা ছুটে চলছি। অন্ধকার রাত। এই তল্লাটে কেবল আকাশ আর সাগরের মিতালী।
অনেকক্ষণ পরে রাজিব আবারও প্রশ্ন করে বসলো সাজিদকে। বললো, ‘তোমার নাকি সমুদ্র খুব পছন্দের?’
-‘হুম’।
-‘কেনো?’
-‘সমুদ্রে একটা বিস্ময় আছে’।
-‘কিরকম বিস্ময়?’
-‘সমুদ্র একইসাথে সুন্দর এবং ভয়ঙ্কর’।
-‘যেমন?’
-‘সমুদ্রের এই যে বিশালতা, উপচে পড়া ঢেউ, তার বুকে সূর্যের হারিয়ে যাওয়া, নীল জলরাশির উন্মত্ততা, এগুলো হলো সমুদ্রের অপার রহস্য আর সৌন্দর্য। আবার, এই সমুদ্র যখন উন্মাতাল হয়ে হয়ে উঠে, সে হয়ে উঠে বিধ্বংসী আর ভয়ঙ্কর। যে জলরাশির মাধ্যমে জীবন সঞ্চারিত হয়, সেই জলরাশিই হয়ে উঠে জীবন হরণের কারণ। খুব অদ্ভুত না?’সাজিদের কথা শুনে রাজিব বেশ অবাক হলো বলে মনে হলো। মাথা নেড়ে সাঁয় দিয়ে বললো, ‘আসলেই অদ্ভুত!’
সমুদ্র নিয়ে যে সাজিদ এতো দার্শনিকসুলভ চিন্তাভাবনা করতে পারে তা আমি জানতাম না। অবশ্য, ওর যতো দার্শনিকতা সব পেটের মধ্যেই জমিয়ে রাখে। প্রসঙ্গ এসে পড়লেই সেগুলো বের হয়ে আসে।ইন শা আল্লাহ, ‘প্যারাডক্সিক্যাল সাজিদ-০২’।
SKU: n/a