বিপদ এলে হতাশ হবেন না। কারণ, প্রত্যেকটি বিপর্যয় তো পূর্বনির্ধারিত। যখন আল্লাহ কোনো ব্যাপারে ফায়সালা করে ফেলেছেন, তখন কেউ কি তা বদলাতে পারবে? আপনার পিতা-মাতা-ভাই-বোন-আত্মীয়-স
বিপদ যখন নিয়ামত
2 in stock
লেখক : শাইখ মূসা জিবরীল, উসতাজ আলি হাম্মুদা, উসতাজা শাওয়ানা এ. আযীয
অনুবাদক : মুহাম্মাদ বিন আবদুল ফাত্তাহ, বিনতে ইবরাহীম
সম্পাদক : মুহাম্মাদ জুবায়ের
পৃষ্ঠা সংখ্যা : ৯২
₹90.00 ₹120.00
2 in stock
Weight | 0.4 kg |
---|
❏ নিয়তির বিধান :
রাসূলুল্লাহ (স.) কে জিজ্ঞেস করা হলো, “ঈমান কী?” তিনি জবাব দিলেন,
أَنْ تُؤْمِنَ بِاللَّهِ وَمَلائِكَتِهِ وَكُتُبِهِ وَرُسُلِهِ وَالْيَوْمِ الآخِرِ وَتُؤْمِنَ بِالْقَدَرِ
“আল্লাহর, তাঁর ফেরেশতাকূলের, তাঁর (আসমানি) কিতাবসমূহের, তাঁর রাসূলগণের, কিয়ামাত দিবসের এবং তাকদীরের ভালো-মন্দের ওপর বিশ্বাস আনাই হচ্ছে ঈমান।” (বুখারি, আস সহীহ, হাদীস : ৪৮)
তাই আল্লাহর বান্দাদের অতি জল্পনা-কল্পনা বা অতিরিক্ত অনুমান করা থেকে বেঁচে থাকা উচিত। “আহা, আমি যদি এই কাজটি এভাবে না করে ওইভাবে করতাম, তা হলে হয়তো এমনটা হতো না” অথবা “ইশ, আমি যদি এই কাজটি করতাম, তা হলে আজ আমার এমন বিপদ হতো না”—ইত্যাদি কথা বলা উচিত নয়। রাসূলুল্লাহ স. বলেন,
“…আর যদি তোমাদের ওপর কোনো (বিপর্যয়) আসে, তা হলে এমন কথা বলবে না যে, ‘ইশ, যদি আমি এমনটি না করতাম, তা হলে আমার আজ এমন পরিণাম ভুগতে হতো না’; বরং বলবে, ‘আল্লাহ (তাকদীরে) যা নির্ধারণ করে রেখেছিলেন, তা-ই হয়েছে।’ ‘যদি’ কথাটা শয়তানের দরজা খুলে দেয়।” (মুসলিম, আস সহীহ : ৬৪৪১)
মহিমান্বিত আল্লাহ ওয়াদা করেছেন যে, তিনি মুমিনদের অন্তরে প্রশান্তি দান করবেন এবং হিদায়াতের পথে পরিচালিত করবেন, যদি তারা আন্দাজ-অনুমান থেকে বিরত থাকে। আল্লাহ বলেন,
مَا أَصَابَ مِن مُّصِيبَةٍ إِلَّا بِإِذْنِ اللَّـهِ ۗ وَمَن يُؤْمِن بِاللَّـهِ يَهْدِ قَلْبَهُ ۚ وَاللَّـهُ بِكُلِّ شَيْءٍ عَلِيمٌ
“আল্লাহর নির্দেশ ব্যতিরেকে কোনো বিপদ আসে না, আর যে আল্লাহর প্রতি বিশ্বাস করে, তিনি তার অন্তরকে সৎপথ প্রদর্শন করেন। আল্লাহ সর্ববিষয়ে সম্যক পরিজ্ঞাত।” (সূরা তাগাবুন, ৬৪ : ১১)
ইবনু আব্বাস র. বলেন, “‘আল্লাহ তার অন্তরকে সৎপথ প্রদর্শন করেন’-এর অর্থ হচ্ছে : আল্লাহ তার অন্তরকে নিশ্চয়তার দিকে পরিচালিত করবেন। তাই সে নিঃসংশয়চিত্তে বুঝতে পারবে যে, সে যা পেয়েছে তা কখনোই তাকে ছেড়ে যেত না। আর যে জিনিস সে পায়নি, তা কখনও তার হওয়ারই ছিল না।” (তাবারি, আত তাফসীর : ২৩/৪২)
Based on 0 reviews
Be the first to review “বিপদ যখন নিয়ামত”
You may also like…
-
সমর্পণ-সন্দীপন
রবের আশ্রয়ে
তুলা রাশি কোনো লোককে দিয়ে বাটি-চালান দেওয়ার দৃশ্য; ঘরবন্দি, শরীরবন্দির নাম দিয়ে শিরকি তাবিজের ব্যবহার; কুরআন-হাদীসে বর্ণিত দুআগুলো বাদ দিয়ে শিরক-কুফর-মিশ্রিত মন্ত্র দ্বারা ঝারফুঁক—এগুলো এখনও গ্রামে বেশ প্রচলিত। গাঁয়ের লোকেরা অসুস্থ হলেই দৌড়ে যায় ভণ্ড কবিরাজদের কাছে। আর কবিরাজরা দুষ্ট জিন কিংবা শয়তানের সহযোগিতা নিয়ে বিভ্রান্ত করে সরলপ্রাণ মানুষদের। অনেক সময় মোটা অঙ্কের টাকাও হাতিয়ে নেয় আশু-বিপদের ভয় দেখিয়ে। কিন্তু দিনশেষে ওদের চেষ্টা-তদবিরের মাধ্যমে রোগ-ব্যাধি আর সারে না। আল্লাহ তাআলা কুরআন নামক এক বিশেষ নিয়ামাত এই উম্মাহকে দিয়েছেন। তিনি বলেছেন, “আর আমি কুরআন নাজিল করেছি, যা মুমিনদের জন্য শিফা ও রহমত।” [সূরা বানী ইসরাঈল, ৮২] আমরা যদি কুরআনকে আর কুরআনের ব্যাখা হাদীসকে আঁকড়ে ধরতাম, তবে হয়তো কোনো কবিরাজ, জাদুকর কিংবা ফকিরদের কাছে দৌড়তে হতো না দৈনন্দিন সমস্যাগুলো নিয়ে। গলায় বাঁধতে হতো না কুফুরি-কালামের তাবিজ, কোমরে ঝুলত না রঙিন পৈতা, বাজুতে থাকত না কড়ি কিংবা শেকড়বাকড়। কুরআন-সুন্নাহ’য় বর্ণিত দুআ-দরুদের মাধ্যমেই জিন, জাদু, বদনজর, ওয়াসওয়াসা ও বিভিন্ন রোগবালাই থেকে বাঁচাতে পারতাম নিজেদের। আশার কথা হলো, ইদানীং অনেকেই সচেতন হয়েছেন বা হচ্ছেন। শিরক-কুফর-যুক্ত তাবিজ-তুমার-মাদুলির বদলে কুরআন-সুন্নাহ’য় বর্ণিত দুআ, যিকর ও চিকিৎসা-পদ্ধতির শরণাপন্ন হচ্ছেন। মন্ত্র দিয়ে ঝাড়ফুঁক করানোর বদলে সুন্নাহ-নির্দেশিত পন্থায় ঝাড়ফুঁক করাচ্ছেন। আলহামদুলিল্লাহ, তাদের জন্যেই হাফিয আল-মুনাদি লিখেছেন “রবের আশ্রয়ে”। বইটিতে মানুষের বানানো কোনো মন্ত্র কিংবা শিরকি-পদ্ধতি স্থান পায়নি। নিরেট কুরআন-সুন্নাহ’র নির্যাস থেকে জিন-জাদু-বদনজর ও রুকইয়ার পদ্ধতি বাতলে দিয়েছেন লেখক। ইন শা আল্লাহ বইটি আমাদের জন্য উল্লেখযোগ্য পথনির্দেশক হিসেবে কাজ করবে। . লেখক : হাফিজ আল মুনাদি পৃষ্ঠা : 200 পেপার : ৮০গ্রাম (অফসেট) বাঁধাই : পেপারব্যাক প্রকাশনী- সমর্পণ প্রকাশন
বইয়ের নাম- রবের আশ্রয়ে লেখক- হাফিজ আল মুনাদি সম্পাদনা- সমর্পণ টিম প্রকাশনী- সমর্পণ প্রকাশন মোট পৃষ্ঠা : ২০০ বইয়ের ধরণ- কুরআন ও সুন্নাহ ভিত্তিক চিকিৎসা (রুকইয়্যাহ)
SKU: n/a
There are no reviews yet.