বর্তমান বিশ্বের বিরাজমান পরিস্থিতি থেকে পৃথক করে ক্রুসেডযুদ্ধের কাহিনি পড়া ও পর্যালোচনা করা কোনোমতেই সমীচীন হবে না। ক্রুসেড কাহিনি পড়ার সময় মাথায় রাখতে হবে আজকের ফিলিস্তিন, ইরাক, আফগানিস্তান, চেচনিয়া, কাশ্মীর। মাথায় রাখতে হবে মুসলিম উম্মাহর অন্যান্য বিধ্বস্ত ভূখণ্ডগুলোকেও।
ইহুদি, আমেরিকান, হিন্দু এবং রুশদের হাতে এই রাজ্যগুলোর পতনের কারণ হুবহু সেগুলোই যেগুলোর কারণে ক্রুসেডারদের হাতে সিরিয়া ও ফিলিস্তিনের পতন হয়েছিল। আরও গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলোআমাদের বর্তমান সংকট থেকে মুক্তির পথও সেটিইযা মাড়িয়ে গেছেন মুসলিম উম্মাহর অতীত মুজাহিদ ও সংস্কারকগণ।
আমরা এই গ্রন্থে ক্রুসেডযুদ্ধের কাহিনির সূচনা ও ইমাদুদ্দিন জিনকি সম্পর্কে উন্মুক্ত আলোচনা করেছি। সামনে রয়েছে নুরুদ্দিন মাহমুদ, সালাহুদ্দিন আইয়ুবি এবং তাদের পরবর্তী সংস্কারকগণের ইতিহাসের পাতাগুলো। আমাদের যাত্রা দুইশ বছরের ইতিহাসকে লক্ষ্য করে। অথচ আমরা এ পর্যন্ত কেবল পঞ্চাশ বছরের ইতিহাস অতিক্রম করলাম।
বাস্তবে ইতিহাস একটি উপভোগ্য ও আকর্ষণীয় বিষয়; কিন্তু এই উপভোগ্যতা ও আকর্ষণীয়তাই সবকিছু নয়, বরং গুরুত্বের মূল কারণ হলোএই ইতিহাস বারবার ফিরে ফিরে আসে। সুতরাং ইতিহাসপাঠের মূল উদ্দেশ্য হলো, উপকারী দিকগুলোর পুনরাবৃত্তি ঘটানো এবং ভুলগুলোকে এড়িয়ে চলা এবং শিক্ষা নেওয়া। ইতিহাস এক অফুরন্ত ভান্ডার, অকূল সমুদ্র।
আল্লাহর কাছে মিনতি জানাই, তিনি যেন আমাদের প্রতিটি উদ্দেশ্য পূর্ণ করেন এবং ইতিহাসের পাঠ ও শিক্ষার মাধ্যমে বিরাজমান সংকট থেকে উদ্ধার করেন।
আল্লাহ সবকিছু পারেন এবং তিনিই একমাত্র মিনতি পূরণের উপযুক্ত।
হে আল্লাহ, তুমি ইসলাম ও মুসলিমদেরকে দৃঢ়তা ও সম্মান দাও!
-ড. রাগিব সারজানি
কায়রো, ১মার্চ ২০০৮
চার খলিফার জীবন ও শাসনব্যবস্থা






There are no reviews yet.