আমরা সবাই সুখী হতে চাই, সুখী জীবনের খোঁজে ঘুরে বেড়াই। কিন্তু ‘সুখ’ নামক ‘সোনার হরিণ’ খুঁজে পাওয়া কি এত সহজ!কিছু মানুষ সুখ লাভের আশায় সুবিশাল অট্টালিকা নির্মাণ করে, মহামূল্য বিলাস-সামগ্রীর মাঝে ডুবে থাকে, মনের বাসনা পূরণে কোটি কোটি টাকা ব্যয় করে। এতকিছুর পরও দেখা যায়, হতাশা ও বিষণ্নতা কিছুতেই তাদের পিছু ছাড়ে না। এসবের মাঝে যদি সুখ না থাকে, তবে প্রকৃত সুখ কোথায়?! বক্ষ্যমাণ গ্রন্থে আরববিশ্বের প্রখ্যাত লেখক ও গবেষক ড. মুহাম্মদ ইবনে আবদুর রহমান আরিফি এই প্রশ্নেরই উত্তর দিয়েছেন। তিনি এতে নববী আদর্শের আলোকে জীবন সাজানোর নানা কৌশল উল্লেখ করেছেন। লিখেছেন, জীবন কীভাবে সুখময় করা যায়, সংকট কীভাবে এড়ানো যায়, দুঃখ কীভাবে জয় করা যায়। অদ্যাবধি বেশ কয়েকটি ভাষায় বইটির অনুবাদ প্রকাশিত হয়েছে। বাংলা ভাষায়ও এর একাধিক অনুবাদ রয়েছে এবং যতদিন মুসলিম জাতি এই দুনিয়ায় থাকবে, ততদিন আরও অনুবাদ হতে থাকবে।
মাকতাবাতুল হেরা সূচনালগ্ন থেকেই শুদ্ধ ও সুন্দরভাবে দীনী কিতাবাদি প্রকাশের নিমিত্তে কাজ করে এসেছে। আর সেই প্রচেষ্টারই অভূতপূর্ব প্রতিফলন ঘটেছে আলোচ্য গ্রন্থে। অনুবাদকের বিশেষ অনুরোধে বইটি সম্পাদনা করে দিয়েছেন উসতাদে মুহাতারাম মাওলানা যাইনুল আবিদীন সাহেব। পাশাপাশি সম্পাদনা, অলংকরণ ও বানান সংশোধনে অংশগ্রহণ করেছেন মাওলানাআহসান ইলিয়াস, মাওলানা জাকির এবং মুহাম্মদ আমানুল্লাহ আবিদ। তাদের সুদীর্ঘ প্রচেষ্টায় বইটি আলোর মুখ দেখতে পেয়েছে। সুপরিচিত প্রচ্ছদশিল্পী হামীম কেফায়েতের অভিজ্ঞ হাতের ছোঁয়ায় বইটির প্রচ্ছদে শিল্প ও আভিজাত্যের অপূর্ব সমন্বয় ফুটে উঠেছে। আর ৮০ গ্রাম ক্রিম পেপার, ঝকঝকে মুদ্রণ, মজবুত বাঁধাই, সব মিলে আলোচ্য গ্রন্থটি এর অন্য সব অনুবাদের তুলনায় স্বাতন্ত্র্য লাভ করেছে এবং প্রকাশের পর অল্পসময়ের মধ্যে ‘ঈর্ষণীয়’ জনপ্রিয়তা অর্জন করেছে।
এই মুহূর্তে আমরা বিশেষ কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করছি মাকতাবাতুল ইসলাম কর্তৃপক্ষের প্রতি। তারা এর অভ্যন্তরীণ সমস্যাগুলোর ব্যাপারে অনলাইনে-অফলাইনে আলোচনা না করলে হয়তো এতবেশি গুরুত্ব ও সতর্কতার সাথে দীর্ঘ এক বছর সময় নিয়ে বইটির কাজ করা হতো না।
আল্লাহ রাব্বুল আলামিন এর লেখক, অনুবাদক, সম্পাদনা পরিষদ এবং সংশ্লিষ্ট সকলকে শায়ানে শান জাযা দান করুন। আমিন।
There are no reviews yet.