-9%

আজানের জবাবে কী রহস্য লুকিয়ে আছে। আজানের জবাব দেবার সময় মুয়াজ্জিন যে কথাগুলো বলেন, শ্রোতার জন্যও সেগুলো বলে জবাব দেওয়া সুন্নাত। ব্যতিক্রম কেবল দুটি বাক্যে—’হাইয়া আলাস সালাহ, হাইয়া আলাল ফালাহ’।
.
এ দুটি বাক্যে মুয়াজ্জিনের অনুরূপ না বলে বরং—لاَ حَوْلَ وَلاَ قُوَّةَ إِلاَّ بِاللَّهِ—লা হাওলা ওয়ালা ক্বুওয়াতা ইল্লা বিল্লাহ—জবাব দিতে হয়। কিন্তু কেন এই ব্যতিক্রম?
.
ইমাম ইবনুল কাইয়িম রাহিমাহুল্লাহ বলেছেন, আজানের জবাবের ক্ষেত্রে নবিজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম থেকে বিশুদ্ধ সূত্রে যে হাদিসটি বর্ণিত হয়েছে, তা হলো, তিনি হাইয়া আলাস সালাহ, হাইয়া আলাল ফালাহর জবাবে ওই বাক্যগুলোই না বলে বরং ‘লা হাওলা ওয়ালা ক্বুওয়াতা ইল্লা বিল্লাহ’ বলে জবাব দিতেন।
.
এতে একটি চমকপ্রদ রহস্য লুকিয়ে রয়েছে। মুয়াজ্জিন ও শ্রোতা উভয়ের অবস্থা বিবেচনায়, এভাবে জবাব দেওয়াই অধিক সংগত। কারণ, আজানের উল্লিখিত দুই বাক্য ছাড়া অন্য সব বাক্যই ‘যিকির’। অতএব, মুয়াজ্জিন ও শ্রোতা উভয়ের জন্যই তা পাঠ করা সুন্নাত।
.
পক্ষান্তরে আলোচ্য বাক্য দুটি যিকির নয়; বরং সালাতের প্রতি আহ্বান। শ্রোতাকে যেহেতু এই আহ্বানে সাড়া দিতে হবে, তাই তার জন্য উত্তম, সেই কথাটিই আবার না বলে বরং আল্লাহর কাছে শক্তি, সামর্থ্য প্রার্থনা করা। আর আল্লাহর কাছে সাহায্য ও শক্তি প্রার্থনার দুআ হলো—
لاَ حَوْلَ وَلاَ قُوَّةَ إِلاَّ بِاللَّهِ
(লা হাওলা ওয়ালা ক্বুওয়াতা ইল্লা বিল্লাহ)
.
অর্থ : আল্লাহর সাহায্য ছাড়া (পাপ কাজ থেকে দূরে থাকার) কোনো উপায় এবং (সৎকাজ করার) কোনো শক্তি কারো নেই।
.
‘হাইয়া আলাস সালাহ’ বই থেকে নেওয়া…
Weight | 0.5 kg |
---|
There are no reviews yet.