একবার ইমাম গাযালী জুরজানি রাহিমাহুল্লাহ ইমাম আবু নাসর ইসমাঈলী রাহিমাহুল্লাহ-র কাছে যান। তার কাছ থেকে গুরুত্বপূর্ণ কিছু বিষয় নোট করেন। এরপর সেখান থেকে আবার তূশ শহরের উদ্দেশ্যে রওয়ানা করেন। পথিমধ্যে তিনি একদল ছিনতাইকারীর কবলে পড়েন। ছিনতাইকারীরা তার সব কিছু লুট করে পালাতে থাকলে তিনি চিৎকারে বলতে থকেন, ছিনতাইকারীরা আমার সব নিয়ে পালাচ্ছে। তার চিৎকার শুনে ইমাম আসআদ মীহানী ছিনতাইকারীদের পিছু নেন। একজন ছিনতাইকারী পেছনে ফিরে তাকে বলে, ‘জান বাঁচাতে চাইলে ফিরে যাও।’
ইমাম গাযালী রাহিমাহুল্লাহ তখন অনুনয়-বিনয় করে বলেন, ‘আমি তোমাদের থেকে কিছুই চাই না। শুধু আমার নোট-খাতাটা ফিরিয়ে দাও। এ নোট-খাতা নিয়ে তোমাদের কোনো লাভ হবে না।’
ছিনতাইকারী বলে, ‘কীসের নোট-খাতা?’
তিনি বলেন, ‘তোমার হাতের ওই থলেটিতেই নোট-খাতাটি রাখা আছে। সেখানে বেশকিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নোট করে রেখেছি। এগুলোর জন্যই আমি এই দীর্ঘ সফরের কষ্ট সহ্য করছি। ওটাই আমার জ্ঞান। সুতরাং, আমাকে ওটা ফেরত দাও।’
ছিনতাইকারী হেসে বলে ওঠে, ‘আপনি এটাকে কীভাবে জ্ঞান বলতে পারেন। এটা জ্ঞান হলে আমরা তা ছিনিয়ে নিতে পারতাম না। আর আপনিও নিঃস্ব হয়ে যেতেন না।’ তারপর ছিনতাইকারী তা ফিরিয়ে দেয়।
ইমাম গাযালী বলেন, ‘এরপর আমার হুঁশ ফিরে আসে। তূশ শহরে ফিরে এসে টানা তিন বছর শুধু মুখস্থ করতে থাকি। এভাবে সমস্ত নোট মুখস্থ করে ফেলি। এখন ছিনতাইকারী সব লুট করে পালালেও আমার কিছুই আসবে-যাবে না।
There are no reviews yet.