একটা সময় ছিল যখন অনলাইন জগত ছিল সেকুলাঙ্গারদের কবলে, ইন্টারনেটে কেউ ইসলাম নিয়ে কথা বললে সবাই ছেঁকে ধরত। এরপর আসলো একটা সময় যখন আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তা’আলা চাইলেন তাঁর দ্বীনের কথা অনলাইনে ছড়াক, তাই তিনি তাঁর কিছু বান্দাকে এই কাজে নিয়োজিত করলেন। কিন্তু দেখা গেল যখন মুসলিম ভাইয়েরা বুদ্ধিমত্তার সাথে যুক্তিতর্কের মাধ্যমে সেকুলাঙ্গারদের ধরাশায়ী করতে লাগলেন তখন সেই সেকুলাঙ্গাররা কুযুক্তি আর হাসি-ঠাট্টার মাধ্যমে আলোচ্য বিষয়গুলো থেকে মানুষদের দূরে সরিয়ে নিতে লাগলো। তখনই আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তা’আলার ইচ্ছায় তাঁর এমন কিছু বান্দার আবির্ভাব ঘটলো যারা সেকুলাঙ্গারদের হাসি-ঠাট্টার জবাব হাসি-ঠাট্টার মাধ্যমেই দিবে, কিন্তু দু’পক্ষের মাঝে মৌলিক কিছু পার্থক্য থাকবে।
অনলাইন জগতে ‘হুজুর হয়ে’ এমনই একটি দল যারা এই কাজটি সুনিপুণভাবে করে যাওয়ার চেষ্টা করছে। সময়টা এমন এসেছে যে মিডিয়ার কল্যাণে (নাকি অকল্যাণে?) মানুষ এত নেতিবাচক বিষয় চারিদিকে দেখে যে তারা হাসি-ঠাট্টার মাধ্যমে বাস্তবতা থেকে দূরে থাকতে চায়। তাই ‘হুজুর হয়ে’ চেষ্টা করলো হাসি-ঠাট্টার মাধ্যমেই জনসাধারণকে বাস্তবতায় ফিরিয়ে আনার জন্য। তারা হাসির ছলে আমাদের সমাজের অনেক গুরুত্বপূর্ণ বিষয় আর অসংগতিগুলো তুলে ধরছে যেগুলো আমরা অনেকেই উপলব্ধি করি না বা করলেও মুখ ফুটে কিছু বলতে পারি না। তাদের প্রচেষ্টা এমনই হয় যেন প্রত্যেক কাজেই কিছু না কিছু শিক্ষামূলক থাকে এবং সঠিক পথনির্দেশ পাওয়া যায়।
তাদের এই উদ্যোগ যেন অনলাইনেই সীমাবদ্ধ না থাকে এবং অফলাইনের মানুষও যেন এ থেকে উপকৃত হতে পারে সেজন্য ‘সমর্পণ প্রকাশন’-এর উদ্যোগে এবং শাইখ আলী হাসান উসামা-র শার’ঈ সম্পাদনায় প্রকাশিত হচ্ছে ‘হুজুর হয়ে’ টিমের রম্য রচনা সমগ্র ‘হুজুর হয়ে হাসো কেন?’। আমরা দু’আ করি যেন আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তা’আলা এর মাধ্যমে রসবোধসম্পন্ন চিন্তাশীল মানুষদের ইসলাম সম্পর্কে আগ্রহী করে তোলেন এবং একে তাদের হিদায়াতের মাধ্যম বানিয়ে দেন।
হুজুর হয়ে হাসো কেন
1 in stock
বই: হুজুর হয়ে হাসো কেন
₹140.00 ₹175.00
1 in stock
Weight | 0.4 kg |
---|
Based on 0 reviews
Be the first to review “হুজুর হয়ে হাসো কেন”
You may also like…
-
আরিফ আজাদ, গার্ডিয়ান পাবলিকেশন্স
প্যারাডক্সিক্যাল সাজিদ
বর্তমান যুগ হলো প্রেজেন্টাশানের যুগ। একটা জিনিসকে আপনি কিভাবে, কতোটা সহজে, কতোটা সাবলীলভাবে, কতোটা মাধুর্যতায় প্রেজেন্টেশান করছেন তার উপর কিন্তু অনেক কিছুই নির্ভর করে।
ন্যাচারালি, মানুষের একটা স্বভাব হচ্ছে – এরা তত্ত্বকথা খুব কম হজম করতে পারে। এরা চায় সহজবোধ্যতা।
প্যারাডক্সিক্যাল সাজিদ এ লেখক আরিফ আজাদ ঠিক এই পদ্ধতিই বেছে নিয়েছেন। তিনি গতানুগতিক লেকচার বা তত্বকথার ধাঁচে না গিয়ে, বক্তব্যের বিষয়গুলোকে গল্পের ধাঁচে ফেলে সাজিয়েছেন। প্রতিটি গল্পের শুরুতেই আছে মজার, আগ্রহ উদ্দীপক একটি সূচনা। কোথাও বা গল্পের কেন্দ্রীয় চরিত্র সাজিদের সাথে তাঁর বন্ধু আরিফের খুনসুটি, কোথাও বা মজার কোন স্মৃতির রোমন্থন, কোথাও বা আছে সিরিয়াস কোন ব্যাপারে সিরিয়াস কোন হুশিয়ারি। গল্পে মজা আছে, আনন্দ আছে। মোটামুটি, সার্থক গল্পে যা যা উপাদান থাকা দরকার, যা যা থাকলে পাঠকের গল্প পাঠে বিরক্তি আসেনা, রুচি হারায় না- তার সবকিছুর এক সম্মিলিত সন্নিবেশ যেন লেখক আরিফ আজাদের এই সিরিজের একেকটি এপিসোড।
গল্পে গল্পে যুক্তি খন্ডন, পাল্টা যুক্তি ছুঁড়ে দেওয়া, পরম মমতায় অবিশ্বাসের অন্ধকার দূরীকরণে এ যেন এক বিশ্বস্ত শিল্পী।
SKU: n/a
There are no reviews yet.