মাগফিরাত লাভের ক্ষেত্রে সবচেয়ে বড় বিষয় হলো মুমিনের আন্তরিক অনুশোচনা, অনুতাপ ও পুনরায় পাপ আর না করার আন্তরিক ইচ্ছা ও সিদ্ধান্ত। সেই সাথে আল্লাহর মহববত, কুবলিয়্যাত লাভের বিষয়টিও গুরুত্বপূর্ণ।
মাগফিরাত সম্পর্কে আল কুরআনে অসংখ্য আয়াত ও রাসূল (স:) হতে অনেক হাদিস বর্ণিত হয়েছে। আল কুরআনে বর্ণিত সেসব আয়াত ও রাসূল (স:) এর হাদীসসমূহ কে উপজীব্য করে ইবনে রজব আল-হাম্বলি (রহ.) এক অনবদ্য লিখে গেছেন। যার নাম ” আসবাবুল মাগফিরাহ ” । অভিজ্ঞ অনুবাদক আহমাদ ইউসুফ শরীফ কতৃক বাংলায় অনুবাদের পর যার নাম দেয়া হয়েছে “মাগফিরাতের পথ ও পাথেয় “।
.
▶ সার-সংক্ষেপঃ-
বইতে লেখক মাগফিরাত লাভের উপায় গুলোকে তিনটি অধ্যায়ে বিভক্ত করে আলোচনা করেছেন। যথা-
১। মাগফিরাত লাভের প্রথম উপায়ঃ-
আল্লাহর নিকট হতে মাগফিরাত লাভ করতে হলে আল্লাহ তায়ালার সীমাহীন দয়া ও ক্ষমার সীফাতের কথা মনে করে দুআ করতে হবে। কেননা দুআ হলো এমন এক নিয়ামত যার মাধ্যমে সকল গুনাহ আল্লাহ ক্ষমা করে দিতে পারেন। দুআর কার্যকারিতার কথা উল্লেখ করে পবিত্র কুরআনের সূরা মুমিনের ৬০ নম্বর আয়াতে আল্লাহ বলেন “তোমরা আমাকে ডাকো, আমি তোমাদের ডাকে সাড়া দিবো”। তবে দুআ কবুল হওয়ার জন্য বেশকিছু শর্ত, পদ্ধতি, সময় ও নির্দিষ্ট স্থান রয়েছে। আমরা যদি এগুলোর প্রতি লক্ষ্য কায়মনোবাক্যে আল্লাহর কাছে দোয়া করতে পারি তাহলেই কেবল তিনি আমাদের দোয়াসমূহ কবুল করবেন।
.
২। মাগফিরাত লাভের দ্বিতীয় উপায়ঃ-
এ অধ্যায়ে লেখক ইস্তিগফার ও মাগফিরাত কাকে বলে সে সম্পর্কে আলোকপাত করেছেন। এছাড়া কোন কোন সময় ইসতিগফার হয়ে ওঠে দোয়া কবুলের অন্তরায়। ইসতিগফারের উত্তম পদ্ধতি কি তা জানা যাবে এই অধ্যায় পড়ে । এই অধ্যায়ের শেষে লেখক আলোচনা করেছেন তওবা ও ইসতিগফারের বিভিন্ন বিধান সম্পর্কে।
.
৩। মাগফিরাতের লাভের তৃতীয় উপায়ঃ-
মাগফিরাত লাভের তৃতীয় উপায় হলো তাওহিদ। আল্লাহ তায়ালার সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ইবাদত তাওহিদ । তাওহিদ হলো একমাত্র আল্লাহকে সবকিছুর স্রষ্টা হিসেবে স্বীকার করা। এবং তার সাথে কোন কিছুর শরীক না করা। কেননা আল্লাহ তায়ালা সব গুনাহ ক্ষমা করলেও শিরকের গুনাহ কখনো ক্ষমা করেন না। আল্লাহর ইবাদতের ক্ষেত্রে প্রথম শর্ত হলো তাওহিদ। আল কুরআনে আল্লাহ তায়ালা বলেন-
নিশ্চয় আল্লাহ তাঁর সাথে শরীক করা ক্ষমা করবেন না। এটা ছাড়া অন্য সব যাকে ইচ্ছে মাফ করবেন এবং যে আল্লাহর সাথে শরীক করল, সে এক মহা অপবাদ আরোপ করল।” (সূরা নিসা -৪৪)
এছাড়াও এই অধ্যায়ে তাওহিদের স্বরুপ সম্পর্কে আলোচনা স্থান পেয়েছে।
.
▶ বইটি কেন পড়বেন??
১। কারণ এতে আলোচিত হয়েছে তাওবা, ইসতিগফার ও মাগফিরাতের বিভিন্ন দিক।
১। আপনি যদি দোয়া কবুলের স্থান, পদ্ধতি, ও সময় সম্পর্কে ধারণা পেত্র চান তাহলে বইটি অবশ্যই পড়ুন।
৩। আপনি যদি তাওহিদের গুরুত্ব ও অপরিহার্যতা সম্পর্কে জানতে চান তাহলে বইটি আপনার জনই।
.
▶ ব্যক্তিগত অনূভুতিঃ-
ব্যক্তিগত অনূভুতি যদি বলতেই হয় তাহলে বলবো বইটি এককথায় অসাধারন। সংক্ষিপ্ত পরিসরে দৈনন্দিন ইবাদতের ক্ষেত্রে তাওবা, মাগফিরাত, তাওহিদ, ইসতিগফার সম্পর্কে বেশ ফলপ্রসূ আলোচনা উঠে এসেছে। সকল দ্বীনদার মু’মিনের জন্য এই বই অসাধারণ ও অনবদ্য একটি রচনা হবে বলে আশা করি।
.
▶ শেষ কথাঃ-
পরিশেষে বলতে হয় এত সুন্দর একটি বই পাঠকের হাতে পৌছানোর উদ্যোগ নেওয়ার জন্য লেখক, অনুবাদক, প্রকাশক সহ সংশ্লিষ্ট সকলকে আল্লাহ উত্তম প্রতিদান দিন।
Weight | 0.150 kg |
---|
মাগফিরাত লাভের ক্ষেত্রে সবচেয়ে বড় বিষয় হলো মুমিনের আন্তরিক অনুশোচনা, অনুতাপ ও পুনরায় পাপ আর না করার আন্তরিক ইচ্ছা ও সিদ্ধান্ত। সেই সাথে আল্লাহর মহববত, কুবলিয়্যাত লাভের বিষয়টিও গুরুত্বপূর্ণ।
মাগফিরাত সম্পর্কে আল কুরআনে অসংখ্য আয়াত ও রাসূল (স:) হতে অনেক হাদিস বর্ণিত হয়েছে। আল কুরআনে বর্ণিত সেসব আয়াত ও রাসূল (স:) এর হাদীসসমূহ কে উপজীব্য করে ইবনে রজব আল-হাম্বলি (রহ.) এক অনবদ্য লিখে গেছেন। যার নাম ” আসবাবুল মাগফিরাহ ” । অভিজ্ঞ অনুবাদক আহমাদ ইউসুফ শরীফ কতৃক বাংলায় অনুবাদের পর যার নাম দেয়া হয়েছে “মাগফিরাতের পথ ও পাথেয় “।
.
▶ সার-সংক্ষেপঃ-
বইতে লেখক মাগফিরাত লাভের উপায় গুলোকে তিনটি অধ্যায়ে বিভক্ত করে আলোচনা করেছেন। যথা-
১। মাগফিরাত লাভের প্রথম উপায়ঃ-
আল্লাহর নিকট হতে মাগফিরাত লাভ করতে হলে আল্লাহ তায়ালার সীমাহীন দয়া ও ক্ষমার সীফাতের কথা মনে করে দুআ করতে হবে। কেননা দুআ হলো এমন এক নিয়ামত যার মাধ্যমে সকল গুনাহ আল্লাহ ক্ষমা করে দিতে পারেন। দুআর কার্যকারিতার কথা উল্লেখ করে পবিত্র কুরআনের সূরা মুমিনের ৬০ নম্বর আয়াতে আল্লাহ বলেন “তোমরা আমাকে ডাকো, আমি তোমাদের ডাকে সাড়া দিবো”। তবে দুআ কবুল হওয়ার জন্য বেশকিছু শর্ত, পদ্ধতি, সময় ও নির্দিষ্ট স্থান রয়েছে। আমরা যদি এগুলোর প্রতি লক্ষ্য কায়মনোবাক্যে আল্লাহর কাছে দোয়া করতে পারি তাহলেই কেবল তিনি আমাদের দোয়াসমূহ কবুল করবেন।
.
২। মাগফিরাত লাভের দ্বিতীয় উপায়ঃ-
এ অধ্যায়ে লেখক ইস্তিগফার ও মাগফিরাত কাকে বলে সে সম্পর্কে আলোকপাত করেছেন। এছাড়া কোন কোন সময় ইসতিগফার হয়ে ওঠে দোয়া কবুলের অন্তরায়। ইসতিগফারের উত্তম পদ্ধতি কি তা জানা যাবে এই অধ্যায় পড়ে । এই অধ্যায়ের শেষে লেখক আলোচনা করেছেন তওবা ও ইসতিগফারের বিভিন্ন বিধান সম্পর্কে।
.
৩। মাগফিরাতের লাভের তৃতীয় উপায়ঃ-
মাগফিরাত লাভের তৃতীয় উপায় হলো তাওহিদ। আল্লাহ তায়ালার সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ইবাদত তাওহিদ । তাওহিদ হলো একমাত্র আল্লাহকে সবকিছুর স্রষ্টা হিসেবে স্বীকার করা। এবং তার সাথে কোন কিছুর শরীক না করা। কেননা আল্লাহ তায়ালা সব গুনাহ ক্ষমা করলেও শিরকের গুনাহ কখনো ক্ষমা করেন না। আল্লাহর ইবাদতের ক্ষেত্রে প্রথম শর্ত হলো তাওহিদ। আল কুরআনে আল্লাহ তায়ালা বলেন-
নিশ্চয় আল্লাহ তাঁর সাথে শরীক করা ক্ষমা করবেন না। এটা ছাড়া অন্য সব যাকে ইচ্ছে মাফ করবেন এবং যে আল্লাহর সাথে শরীক করল, সে এক মহা অপবাদ আরোপ করল।” (সূরা নিসা -৪৪)
এছাড়াও এই অধ্যায়ে তাওহিদের স্বরুপ সম্পর্কে আলোচনা স্থান পেয়েছে।
.
▶ বইটি কেন পড়বেন??
১। কারণ এতে আলোচিত হয়েছে তাওবা, ইসতিগফার ও মাগফিরাতের বিভিন্ন দিক।
১। আপনি যদি দোয়া কবুলের স্থান, পদ্ধতি, ও সময় সম্পর্কে ধারণা পেত্র চান তাহলে বইটি অবশ্যই পড়ুন।
৩। আপনি যদি তাওহিদের গুরুত্ব ও অপরিহার্যতা সম্পর্কে জানতে চান তাহলে বইটি আপনার জনই।
Based on 0 reviews
Be the first to review “মাগফিরাতের পথ ও পাথেয়”
You may also like…
-
মাক আসলাফ
সালাফের দরবারবিমুখতা
সালাফের দরবারবিমুখতা
আমাদের সত্যনিষ্ঠ মহান মনীষীরা রাজা-বাদশাদের কাছ থেকে সর্বাবস্থায় সর্বোচ্চ দূরত্ব অবলম্বন করতেন। বৈষয়িক জগতের আবিলতা ও অশুচিতায় জড়িয়ে যাওয়ার ভয়ে কীভাবে তারা শাসকগোষ্ঠীর দর্শন, তাদের দরবারে গমনাগমন থেকে নিজে বিরত থাকতেন এবং অন্যদেরকে বিরত থাকতে কড়া তাগিদ দিতেন, কখনো শাসকের সামনে উপস্থিত হয়ে গেলে কীভাবে তাদের অগ্নিঝরা উচ্চকণ্ঠে নিনাদিত হতো সত্যের আপোসহীন দাবি, মজলুমের মোকাদ্দমা, শাসকের বিভিন্ন অন্যায়, অনাচার ও অবিচারের কঠোর প্রতিবাদ—এসব জীবন্ত গল্প ও তাদের বাস্তব অভিজ্ঞতা-নিংড়ানো মুক্তোসদৃশ উপদেশমালায় সমৃদ্ধ হয়েছে এই গ্রন্থ।
গ্রন্থটি হিজরী তৃতীয় শতাব্দী—মানে, আজ থেকে প্রায় ১২০০ বছর আগে লেখা। অথচ আজও তা কত প্রাসঙ্গিক, পাঠক বইটি হাতে নিলেই তা টের পাবেন!
বরং দরবারময় বর্তমানের চেয়ে কোনো যুগে মনে হয় এটা এত প্রাসঙ্গিক ছিল না। আলেম ও ইসলামপন্থীদের জবুথবু অসহায়ত্ব, প্রশাসনের সঙ্গে দৃষ্টিকটু পর্যায়ে মাখামাখি, ন্যায্য ও অন্যায্য বিভিন্ন অজুহাতে শাসকের দরবারে গমন, তাদের অন্তরঙ্গ সান্নিধ্য ও কৃপাদৃষ্টি লাভের প্রাণান্তকর প্রয়াস—সর্বোপরি গণমানুষের প্রতি শাসকের নির্লজ্জ জুলুমবাজি, মুসলমানদের প্রতি নানাবিধ উৎপীড়ন ও অন্যায় আচরণের সামনেও মুখ বুজে নীরব দর্শক হয়ে থাকার লাঞ্ছনাকর দৃশ্য সর্বত্রই বিরাজমান।
এটা দীন ও উম্মাহর সঙ্গে বিশ্বাসঘাকতা। ঈমান ও বিবেকের সঙ্গে প্রতারণা। মহান সালাফের সালেহীনের প্রতি বে-ওফাদারি। আলেমদের ইতিহাস ও মর্যাদার সঙ্গে নেহায়েত অশিষ্টাচারসুলভ ও বেমানান।
সালাফে সালেহীন কীভাবে শাসকের দরবার থেকে বাঁচার প্রাণপণ চেষ্টা করতেন আর তাদের অনুসারী হওয়ার দাবিদার আমরা আজ কীভাবে শাসকের কৃপাদৃষ্টি লাভের কুপ্রতিযোগিতায় লিপ্ত, সেই ফারাক তুলে ধরা হয়েছে বইটিতে।
লেখক—ইমাম আবু বকর মাররুযি রহ. (মৃত্যু: ২৭৫ হি.)
অনুবাদ, সংযোজন ও সম্পাদনা—শাইখ মীযান হারুন
পৃষ্ঠা সংখ্যা—১১২SKU: n/a
There are no reviews yet.