Dark Light
-25%

মাগফিরাতের পথ ও পাথেয়

Availability:

Out of stock


বইয়ের নাম : মাগফিরাতের পথ ও পাথেয়
মূলবই : আসবাবুল মাগফিরাহ
লেখক : ইবনু রজব হাম্বলি রহ.
অনুবাদক : আহমাদ ইউসুফ শরীফ
প্রকাশনী : শব্দতরু
পৃষ্ঠা সংখ্যা : ৬৪

60.00 80.00

Out of stock

Compare

মাগফিরাত লাভের ক্ষেত্রে সবচেয়ে বড় বিষয় হলো মুমিনের আন্তরিক অনুশোচনা, অনুতাপ ও পুনরায় পাপ আর না করার আন্তরিক ইচ্ছা ও সিদ্ধান্ত। সেই সাথে আল্লাহর মহববত, কুবলিয়্যাত লাভের বিষয়টিও গুরুত্বপূর্ণ।
মাগফিরাত সম্পর্কে আল কুরআনে অসংখ্য আয়াত ও রাসূল (স:) হতে অনেক হাদিস বর্ণিত হয়েছে। আল কুরআনে বর্ণিত সেসব আয়াত ও রাসূল (স:) এর হাদীসসমূহ কে উপজীব্য করে ইবনে রজব আল-হাম্বলি (রহ.) এক অনবদ্য লিখে গেছেন। যার নাম ” আসবাবুল মাগফিরাহ ” । অভিজ্ঞ অনুবাদক আহমাদ ইউসুফ শরীফ কতৃক বাংলায় অনুবাদের পর যার নাম দেয়া হয়েছে “মাগফিরাতের পথ ও পাথেয় “।
.
সার-সংক্ষেপঃ-
বইতে লেখক মাগফিরাত লাভের উপায় গুলোকে তিনটি অধ্যায়ে বিভক্ত করে আলোচনা করেছেন। যথা-
১। মাগফিরাত লাভের প্রথম উপায়ঃ-
আল্লাহর নিকট হতে মাগফিরাত লাভ করতে হলে আল্লাহ তায়ালার সীমাহীন দয়া ও ক্ষমার সীফাতের কথা মনে করে দুআ করতে হবে। কেননা দুআ হলো এমন এক নিয়ামত যার মাধ্যমে সকল গুনাহ আল্লাহ ক্ষমা করে দিতে পারেন। দুআর কার্যকারিতার কথা উল্লেখ করে পবিত্র কুরআনের সূরা মুমিনের ৬০ নম্বর আয়াতে আল্লাহ বলেন “তোমরা আমাকে ডাকো, আমি তোমাদের ডাকে সাড়া দিবো”। তবে দুআ কবুল হওয়ার জন্য বেশকিছু শর্ত, পদ্ধতি, সময় ও নির্দিষ্ট স্থান রয়েছে। আমরা যদি এগুলোর প্রতি লক্ষ্য কায়মনোবাক্যে আল্লাহর কাছে দোয়া করতে পারি তাহলেই কেবল তিনি আমাদের দোয়াসমূহ কবুল করবেন।
.
২। মাগফিরাত লাভের দ্বিতীয় উপায়ঃ-
এ অধ্যায়ে লেখক ইস্তিগফার ও মাগফিরাত কাকে বলে সে সম্পর্কে আলোকপাত করেছেন। এছাড়া কোন কোন সময় ইসতিগফার হয়ে ওঠে দোয়া কবুলের অন্তরায়। ইসতিগফারের উত্তম পদ্ধতি কি তা জানা যাবে এই অধ্যায় পড়ে । এই অধ্যায়ের শেষে লেখক আলোচনা করেছেন তওবা ও ইসতিগফারের বিভিন্ন বিধান সম্পর্কে।
.
৩। মাগফিরাতের লাভের তৃতীয় উপায়ঃ-
মাগফিরাত লাভের তৃতীয় উপায় হলো তাওহিদ। আল্লাহ তায়ালার সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ইবাদত তাওহিদ । তাওহিদ হলো একমাত্র আল্লাহকে সবকিছুর স্রষ্টা হিসেবে স্বীকার করা। এবং তার সাথে কোন কিছুর শরীক না করা। কেননা আল্লাহ তায়ালা সব গুনাহ ক্ষমা করলেও শিরকের গুনাহ কখনো ক্ষমা করেন না। আল্লাহর ইবাদতের ক্ষেত্রে প্রথম শর্ত হলো তাওহিদ। আল কুরআনে আল্লাহ তায়ালা বলেন-
নিশ্চয় আল্লাহ তাঁর সাথে শরীক করা ক্ষমা করবেন না। এটা ছাড়া অন্য সব যাকে ইচ্ছে মাফ করবেন এবং যে আল্লাহর সাথে শরীক করল, সে এক মহা অপবাদ আরোপ করল।” (সূরা নিসা -৪৪)
এছাড়াও এই অধ্যায়ে তাওহিদের স্বরুপ সম্পর্কে আলোচনা স্থান পেয়েছে।
.
বইটি কেন পড়বেন??
১। কারণ এতে আলোচিত হয়েছে তাওবা, ইসতিগফার ও মাগফিরাতের বিভিন্ন দিক।
১। আপনি যদি দোয়া কবুলের স্থান, পদ্ধতি, ও সময় সম্পর্কে ধারণা পেত্র চান তাহলে বইটি অবশ্যই পড়ুন।
৩। আপনি যদি তাওহিদের গুরুত্ব ও অপরিহার্যতা সম্পর্কে জানতে চান তাহলে বইটি আপনার জনই।
.
ব্যক্তিগত অনূভুতিঃ-
ব্যক্তিগত অনূভুতি যদি বলতেই হয় তাহলে বলবো বইটি এককথায় অসাধারন। সংক্ষিপ্ত পরিসরে দৈনন্দিন ইবাদতের ক্ষেত্রে তাওবা, মাগফিরাত, তাওহিদ, ইসতিগফার সম্পর্কে বেশ ফলপ্রসূ আলোচনা উঠে এসেছে। সকল দ্বীনদার মু’মিনের জন্য এই বই অসাধারণ ও অনবদ্য একটি রচনা হবে বলে আশা করি।
.
শেষ কথাঃ-
পরিশেষে বলতে হয় এত সুন্দর একটি বই পাঠকের হাতে পৌছানোর উদ্যোগ নেওয়ার জন্য লেখক, অনুবাদক, প্রকাশক সহ সংশ্লিষ্ট সকলকে আল্লাহ উত্তম প্রতিদান দিন।

Weight 0.150 kg

মাগফিরাত লাভের ক্ষেত্রে সবচেয়ে বড় বিষয় হলো মুমিনের আন্তরিক অনুশোচনা, অনুতাপ ও পুনরায় পাপ আর না করার আন্তরিক ইচ্ছা ও সিদ্ধান্ত। সেই সাথে আল্লাহর মহববত, কুবলিয়্যাত লাভের বিষয়টিও গুরুত্বপূর্ণ।
মাগফিরাত সম্পর্কে আল কুরআনে অসংখ্য আয়াত ও রাসূল (স:) হতে অনেক হাদিস বর্ণিত হয়েছে। আল কুরআনে বর্ণিত সেসব আয়াত ও রাসূল (স:) এর হাদীসসমূহ কে উপজীব্য করে ইবনে রজব আল-হাম্বলি (রহ.) এক অনবদ্য লিখে গেছেন। যার নাম ” আসবাবুল মাগফিরাহ ” । অভিজ্ঞ অনুবাদক আহমাদ ইউসুফ শরীফ কতৃক বাংলায় অনুবাদের পর যার নাম দেয়া হয়েছে “মাগফিরাতের পথ ও পাথেয় “।
.
সার-সংক্ষেপঃ-
বইতে লেখক মাগফিরাত লাভের উপায় গুলোকে তিনটি অধ্যায়ে বিভক্ত করে আলোচনা করেছেন। যথা-
১। মাগফিরাত লাভের প্রথম উপায়ঃ-
আল্লাহর নিকট হতে মাগফিরাত লাভ করতে হলে আল্লাহ তায়ালার সীমাহীন দয়া ও ক্ষমার সীফাতের কথা মনে করে দুআ করতে হবে। কেননা দুআ হলো এমন এক নিয়ামত যার মাধ্যমে সকল গুনাহ আল্লাহ ক্ষমা করে দিতে পারেন। দুআর কার্যকারিতার কথা উল্লেখ করে পবিত্র কুরআনের সূরা মুমিনের ৬০ নম্বর আয়াতে আল্লাহ বলেন “তোমরা আমাকে ডাকো, আমি তোমাদের ডাকে সাড়া দিবো”। তবে দুআ কবুল হওয়ার জন্য বেশকিছু শর্ত, পদ্ধতি, সময় ও নির্দিষ্ট স্থান রয়েছে। আমরা যদি এগুলোর প্রতি লক্ষ্য কায়মনোবাক্যে আল্লাহর কাছে দোয়া করতে পারি তাহলেই কেবল তিনি আমাদের দোয়াসমূহ কবুল করবেন।
.
২। মাগফিরাত লাভের দ্বিতীয় উপায়ঃ-
এ অধ্যায়ে লেখক ইস্তিগফার ও মাগফিরাত কাকে বলে সে সম্পর্কে আলোকপাত করেছেন। এছাড়া কোন কোন সময় ইসতিগফার হয়ে ওঠে দোয়া কবুলের অন্তরায়। ইসতিগফারের উত্তম পদ্ধতি কি তা জানা যাবে এই অধ্যায় পড়ে । এই অধ্যায়ের শেষে লেখক আলোচনা করেছেন তওবা ও ইসতিগফারের বিভিন্ন বিধান সম্পর্কে।
.
৩। মাগফিরাতের লাভের তৃতীয় উপায়ঃ-
মাগফিরাত লাভের তৃতীয় উপায় হলো তাওহিদ। আল্লাহ তায়ালার সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ইবাদত তাওহিদ । তাওহিদ হলো একমাত্র আল্লাহকে সবকিছুর স্রষ্টা হিসেবে স্বীকার করা। এবং তার সাথে কোন কিছুর শরীক না করা। কেননা আল্লাহ তায়ালা সব গুনাহ ক্ষমা করলেও শিরকের গুনাহ কখনো ক্ষমা করেন না। আল্লাহর ইবাদতের ক্ষেত্রে প্রথম শর্ত হলো তাওহিদ। আল কুরআনে আল্লাহ তায়ালা বলেন-
নিশ্চয় আল্লাহ তাঁর সাথে শরীক করা ক্ষমা করবেন না। এটা ছাড়া অন্য সব যাকে ইচ্ছে মাফ করবেন এবং যে আল্লাহর সাথে শরীক করল, সে এক মহা অপবাদ আরোপ করল।” (সূরা নিসা -৪৪)
এছাড়াও এই অধ্যায়ে তাওহিদের স্বরুপ সম্পর্কে আলোচনা স্থান পেয়েছে।
.
বইটি কেন পড়বেন??
১। কারণ এতে আলোচিত হয়েছে তাওবা, ইসতিগফার ও মাগফিরাতের বিভিন্ন দিক।
১। আপনি যদি দোয়া কবুলের স্থান, পদ্ধতি, ও সময় সম্পর্কে ধারণা পেত্র চান তাহলে বইটি অবশ্যই পড়ুন।
৩। আপনি যদি তাওহিদের গুরুত্ব ও অপরিহার্যতা সম্পর্কে জানতে চান তাহলে বইটি আপনার জনই।

Based on 0 reviews

0.0 overall
0
0
0
0
0

Be the first to review “মাগফিরাতের পথ ও পাথেয়”

There are no reviews yet.

You may also like…

SHOPPING CART

close