পৃথিবীর বুকে সর্ব প্রথম শিরকের উৎপত্তি ঘটে নুহ সম্প্রদায়ের মাঝে।তাদের মাঝে শিরক ছড়িয়ে পড়ার
পর আল্লাহ তাআলা হযরত নুহ আ.কে তাদের কাছে নবী বানিয়ে পাঠান। তিনি স্বীয় সম্প্রদায়কে শিরক থেকে বারণ করেন। যারা তাঁর কথা মেনে নিল এবং তাওহীদকে গ্রহণ করল তারা মুক্তি পেল ।
আর যারা শিরকের ওপরই অটল রইল
আল্লাহ তা’আলা তাদেরকে মহাপ্লাবন দিয়ে ধ্বংস করে দিলেন।
এরপর দীর্ঘ একটা সময় পর্যন্ত পৃথিবীতে কেবল তাওহীদই বিদ্যমান ছিল ।
দীর্ঘ বিরতির পর শয়তান আবার সঙ্গোপনে সক্রিয় হল। শয়তানের প্রত্যক্ষ ভূমিকা ও অবিরাম চেষ্টায় পৃথিবীতে আবারো শিরক জেঁকে বসল।
মানুষকে শিরক থেকে নিবৃত করতে আল্লাহ তাআলাও যুগে যুগে নবী -রাসুল পাঠানো অব্যাহত রাখলেন।
সর্বশেষ খাতিমুন নবিয়্যিন মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে পাঠালেন। তার একান্ত চেষ্টায় শিরক পৃথিবী থেকে বিদায় নিতে শুরু করল।
সকালে তাওহীদের প্রতি ধাবিত হতে লাগল ।
কিন্তু কিছু মানুষের অলী ও বুযুর্গানে দ্বীনের প্রতি অতি ভক্তির কারণে তাওহিদে বিশ্বাসী মুসলিম সম্প্রদায়ের মাঝেই আবার শিরকের সূত্রপাত ঘটল ।
কবরের উপর মাজার নির্মাণ মাজারে গিয়ে দোআ করা মাজারের নামে মান্নত করার মাধ্যমে তারাও শিরকে জড়িয়ে পড়ল । তারা একে বুজুর্গদের উসীলা’
গ্রহণ হিসেবে অভিহিত করতে শুরু করল।
তারা মনে করল মাযহাবের প্রতি সম্মান প্রদর্শনের মাধ্যমে তারা আল্লাহ তাআলার সান্নিধ্য অর্জন করছে। অথচ তারা ভুলে গেল পূর্ববর্তী মুশরিকরাও মূর্তিপূজার সূচনালগ্নে একই করেছিল যুক্তি পেশ করেছিল।
পবিত্র কোরআনে ইরশাদ হয়েছে-
الا لله الذين الخالص والذين اتخذوا من دونه اولياء ما نعبدهم الا ليقربونا الى الله زلفى ان الله يحكم بينهم في ما هم فيه يختلفون.
অর্থাৎ জেনে রেখ,। অবিমিশ্র অনুগত্য আল্লাহর প্রাপ্য। যারা আল্লাহর পরিবর্তে অন্যকে অভিভাবকরূপে গ্রহণ করে, তারা বলে আমরা তো এদের পূজা এজন্যই করে যে, এরা আমাদেরকে আল্লাহর সান্নিধ্য এনে দিবে।
তারা যে বিষয়ে মতভেদ করছে আল্লাহ তার ফায়সালা করে দিবেন । [সূরা যুমার -3]
আবু জেহেল, আবুলাহাবরাও বিশ্বাস করত, আল্লাহ তাআলাই হচ্ছেন সবচেয়ে বড় ইলাহ। তিনি স্রষ্টা কিন্তু তারা আল্লাহ তা’আলার সাথে শরীফ করত ।
তারাও মনে করত, মূর্তিরা তাদের আল্লাহর সান্নিধ্য অর্জনে উসিলা হবে ।
তারা আল্লাহর কাছে তাদের জন্য সুপারিশ করবে।
(আরো বিস্তারিত জানতে বইটি পড়ুন)
There are no reviews yet.