||নারীদের সুগন্ধি প্রসাধনী ব্যবহার||
ইসলামের দৃষ্টিতে নারীদের জন্য পরপুরুষদের নিকট পারফিউম বা সুগন্ধি ব্যবহার করে গমনের ব্যাপারে কঠোরভাবে নিষেধ করা হয়েছে।
যেমন হাদীসে বর্ণিত হয়েছে, কেননা নবী করীম ﷺ বলেছেন,
أَيُّمَا امْرَأَةٍ اسْتَعْطَرَتْ فَمَرَّتْ عَلَى قَوْمٍ لِيَجِدُوا مِنْ رِيحِهَا فَهِيَ زَانِيَةٌ
যে নারী সুগন্ধি ব্যবহার করে লোকজনের নিকট দিয়ে গমন করে, ফলে লোক সকল তার ঘ্রাণ পায়, সে নারী ব্যভিচারিণী। [নাসাঈ- ৫১২৬; মুসনাদে আহমাদ- ৮৭৭৩; মুসনাদে বাযযার- ৮২৫৪; মুসান্নাফে ইবনে আবী শাইবাহ- ২৬৮৬৪; মুসনাদে আবু ইয়ালা- ৬৪৪৭৯; ফয়যুল ক্বদীর- ৩/১৫৫]
কেননা, নারী দেহের সুগন্ধ পরপুরুষকে প্রবলভাবে আকর্ষণ করে বা যৌনতার দিকে আহ্বান করে। তবে স্বামী, মাহরাম (যাদের সাথে বিবাহ হারাম) এবং মহিলা অঙ্গনে তা ব্যবহারে কোনো দোষ নেই। ঘ্রাণ ছড়িয়ে যায় এমন সুগন্ধি ব্যবহার করে বাহিরে গমন নিষেধ। তবে হালকা সুগন্ধি, যেটাতে ঘ্রাণ ছড়ায় না তা ব্যবহার করাতে সমস্যা নেই।
মহিলারা সুগন্ধি ব্যবহার করলে এবং ঘরের বাইরে যাওয়ার পর কোনো পরপুরুষের মাধ্যমে তার দেহের সুঘ্রাণ পাওয়ার উপক্রম হবে বলে ধারণা হলে তাদের ওপর আবশ্যক হলো, সুগন্ধির স্থানটি এমনভাবে ধুয়ে ফেলা যেন কোনো সুগন্ধি অবশিষ্ট না থাকে। তবে এতে গোসল করা আবশ্যক নয়।
নবী ﷺ বলেন,
أَيُّمَا امْرَأَة تَطَيَّبَت ثُمَّ خَرَجَت إِلَى المسجِدِ لَم تُقبَل لهَا صَلاَةٌ حَتى تَغتَسِل
যে নারী সুগন্ধি ব্যবহার করে মসজিদে যায়, সে নারীর গোসল না করা পর্যন্ত কোনো নামাজ কবুল হবে না। [সুনানে ইবনে মাজাহ- ৪০০২]
বিস্তারিত জানতে পড়ুন মুহস্বানাত – পৃষ্ঠা ১২২
There are no reviews yet.