অ্যাপল সাইডার ভিনিগার দিয়ে কীভাবে কোন রোগের মোকাবিলা করবেন! সেইসব পদ্ধতি স্বাস্থ্যবিষয়ক একটি ওয়েবসাইট অবলম্বনে এখানে দেওয়া হল।
ডায়রিয়া: এই রোগ হলে পানির সঙ্গে খনিকটা অ্যাপল সাইডার ভিনিগার মিশিয়ে পান করুন। এর অ্যান্টিবায়োটিক উপাদান ডায়রিয়া সৃষ্টিকারী ব্যাক্টেরিয়ার বিরুদ্ধে কাজ করে ডায়রিয়া নিরাময়ে সাহায্য করে। এতে থাকা পেকটিন পেটের সমস্যা দূর করে ডায়রিয়া নিরাময় করে।
ডায়াবেটিস: টাইপ-টু ডায়াবেটিস রোগীদের ইনসুলিন সংবেদনশীলতার উন্নতি করতে ও খাবার সময় রক্তের গ্লুকোজের মাত্রা কমাতে অ্যাপল সাইডার ভিনিগার সহায়তা করে। রাতে দুই টেবিল-চামচ অ্যাপল সাইডার ভিনিগার খাওয়ার মাধ্যমে চার শতাংশ রক্তের শর্করা কমানো যায়। তবে এটা মনে রাখা প্রয়োজন যে, অ্যাপল সাইডার ভিনিগার কখনও ডায়াবেটিস রোগীর ওষুধের বিকল্প নয়।
গলার স্বর ভাঙলে: অ্যাপল সাইডার ভিনিগারের শক্তিশালী অ্যান্টিবায়োটিক উপাদান গলার সংক্রমণ কমিয়ে গলার স্বর ভাঙার সমস্যা সমাধান করে। সমপরিমাণ পানি ও অ্যাপল সাইডার ভিনিগার মিশিয়ে প্রতি ঘণ্টায় গারগল করলে গলার খুশখুশেভাব দূর হবে।
জমাট বাঁধা ঠাণ্ডা: অতিরিক্ত ঠাণ্ডার সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে এক গ্লাস পানিতে এক টেবিল-চামচ অ্যাপল সাইডার ভিনিগার মিশিয়ে পান করুন। অ্যাপল সাইডার ভিনিগারের পটাশিয়াম জমে থাকা শ্লেষ্মা বা কফ পাতলা করে বের হয়ে যেতে সাহায্য করে। এতে করে নাকের সমস্যার উপশম ঘটে। এর অ্যান্টিবায়োটিক উপাদান ঠাণ্ডা সৃষ্টিকারী জীবাণু ধ্বংস করে।
ওজন নিয়ন্ত্রণ: অ্যাপল সাইডার ভিনিগার রক্তের শর্করা এবং ইনসুলিনের মাত্রা কমিয়ে ওজন নিয়ন্ত্রণ করে। গবেষণায় দেখা যায়, উচ্চ ক্যালরির খাবারের সঙ্গে দুই টেবিল-চামচ অ্যাপল সাইডার ভিনেগার পান করলে তা ২০০ থেকে ২৭৫ কম ক্যালরি গ্রহণে সহায়তা করে।
ভিনেগার এসিটিক এসিডের (CH3COOH) ৬-১০% ও পানির মিশ্রণে তৈরি | চিনি বা ইথানলকে গাজন প্রক্রিয়ার মাধ্যমে এসিটিক এসিডে পরিণত করা হয়। এটি সাধারণতঃ রান্নাকর্মে ব্যবহৃত হয়। নির্দিষ্ট ব্যাকটেরিয়া ব্যবহার করেও এটি প্রস্তুত হয়। [১][২] রান্নাকর্মে প্রায়শঃই আচার-চাটনী ও সালাদে এটি ব্যবহার করা হয়। ইতালীয় রান্নায় ভিনেগার, তৈল এবং লবণ আবশ্যকীয় উপাদান হিসেবে বিবেচিত। গৃহস্থালী পরিষ্কার, পুড়ে যাওয়া, চিকিৎসায় পথ্য ইত্যাদি বহুবিধ ক্ষেত্রে এর স্বার্থক প্রয়োগ ঘটেছে। ভিনেগারে বিভিন্ন রকমের ফলমূল যেমন: আপেল, আঁখ, নারিকেল, খেজুর, নাশপাতি, টমেটো; শস্য হিসেবে চাউল, গম সহ মধু দিয়ে প্রস্তুত করা হয়। এ সকল ফল বা শস্যের নামানুসারে ভিনেগারের নামকরণ করা হয়ে থাকে। অধিকাংশ ফলের ভিনেগার ইউরোপে প্রস্তুত করা হয়। স্বতন্ত্র ফল দিয়ে প্রস্তুত এ সকল ভিনেগার উচ্চ মূল্যে বিক্রয়ের আদর্শ বাজার হিসেবে চিহ্নিত।[৪] এছাড়াও, কোরিয়া, চীনেও ফল দিয়ে ভিনেগার প্রস্তুত করে থাকে। স্বাদ অক্ষুণ্ন ও গন্ধযুক্ত করতে মশলাজাতীয় উপাদানের প্রয়োগ লক্ষ্য করা যায়। ব্রিটিশ দ্বীপপুঞ্জগুলো সামুদ্রিক খাবারের স্টলে ভিনেগারের মধ্যে মরিচ ব্যাপকভাবে প্রভাব বিস্তার করেছে। মিষ্টিজাতীয় ভিনেগার ক্যান্টনিজ উদ্ভূত যা চাউল ও চিনির সাথে আদাজাতীয় মসলা ব্যবহার করা হয়।
There are no reviews yet.