অচেনা আপন

অচেনা আপন-২ -এর কিছু চুম্বক অংশ
( জেসমিনের অনুভূতি)
কেনো জানি মনে হচ্ছে এই মেইলটাই আপনাকে লেখা আমার শেষ মেইল। আপনাকে নিয়ে ভাবতে ভাবতে আমি ভাবনার অতলান্ত রূপ দেখেছি, ভাবনারও যে সৌন্দর্য্য আছে তা আপনাকে নিয়ে না ভাবলে জানতেই পারতাম না।আপনার জন্যে অপেক্ষা করতে করতে আমি ধৈর্য শিখেছি, কষ্টকে শোষণ করে জীবনের অংশ বানানো শিখেছি। আপনার জন্যে বুকের ভেতরে যে ভালবাসার পদ্মপুকুর খোদিত হয়েছিল সেখানে এখন মানবতার পদ্মরা দলে দলে ফোটে আছে। আপনাকে দেখেই আমি শিখেছি। আপনার ভেতরের আকাশে অযুত নিযুত মানুষের ভালবাসা দেখে আমি বার বার বিমোহিত হয়েছি। আপনার স্পর্শে এই যে এতোসব আত্নিক গহনা আমার হস্তগত হয়েছে, অপরিমেয় দামের এইসব জিনিস কিন্তু আপনার জন্যেই আমি পেয়েছি। আপনাকে রক্ত- মাংসের মানুষ হিসেবে জীবনে না পেলেও আমার খেদ থাকার প্রশ্নই আসতো না। কিন্তু আমরা বস্তুগত জগতে বসবাস করছি। আমাদের রক্ত -মাংসের শরীরেরও কিছু চাওয়া পাওয়া থাকে। সে তার প্রিয়জনের হাতটা একটু স্পর্শের সীমায় দেখতে চায়, শরীরের গন্ধ অনুভব করতে চায়, কথা বলে মনের ভিতরের জমে থাকা না- বলা কথার পাথর সরাতে চায়।আমারও সেই চাওয়া অবশ্যই আছে। আর সেই চাওয়া পূরণের আশায় থাকা অবশ্যই কোনো অন্যায় না।
অচেনা আপন-২
মুহাম্মদ ফজলুল হক।