হারিয়েছি পথ, কোন নায়ে রাখব পা
কোন পথে গেলে পাবো মুক্তির দেখা
স্রষ্টার সৃষ্টির সেরা হয়েও হারিয়েছি মনুষ্যত্ব।
হ্যাঁ কবি দাউদুল ইসলাম যথার্থই বলেছেন। মনের খেয়াল খুশি মত চলাই প্রবৃত্তির দাসত্ব। পৃথিবীর সৌন্দর্য, মনোমুগ্ধকর পরিবেশে মুগ্ধতা এবং নিরর্থক কাজ-কর্মের প্রতি আসক্তি তৈরির মাধ্যমে প্রবৃত্তি মানুষকে প্রতারিত করে থাকে। প্রবৃত্তির মুখাপেক্ষী হলে মানুষের মধ্যে মনুষ্যত্ব থাকে না। নিয়ম-কানুন, ধর্ম-কর্ম বলতে কোনো কিছুর অস্তিত্ব প্রবৃত্তিপূজারির মধ্যে অবশিষ্ট থাকে না। এজন্য প্রবৃত্তির দাসত্ব মানুষের বড় শত্রু।বুসতি রহ. বলেন, ‘প্রবৃত্তিকে তোমার অধীন করো, অন্যথায় প্রবৃত্তিই তোমাকে তার অধীন করে ফেলবে।’কুপ্রবৃত্তির অনুসরণ কল্যাণকে বাধাগ্রস্থ করে, বিবেককে করে প্রান্তিকতার শিকার। কেননা, তা প্রসব করে নোংরা চরিত্র, প্রকাশ করে লাঞ্ছনাদায়ক কর্মকাণ্ড, মানবতার আচ্ছাদনকে করে কলঙ্কিত এবং অনিষ্টতার প্রবেশদারকে করে অবারিত।প্রবৃত্তি মানুষের সবচেয়ে বড় শত্রু। যত শত্রুর বিরুদ্ধে মানুষকে সংগ্রাম করতে হয়, যুদ্ধ করতে হয়, তার মধ্যে প্রবৃত্তি সবচেয়ে কঠিন শত্রুযার বিরুদ্ধে যুদ্ধ করা অপরিহার্য দায়িত্ব। কিন্তু কীভাবে করবেন সে যুদ্ধ?
আরবের পাঠকনন্দিত লেখক শাইখ সালেহ-আল মুনাজ্জিদ ইতিবাউল হাওয়া ও শাহওয়াত গ্রন্থদ্বয়ে তুলে ধরেছেন সে যুদ্ধের বিভিন্ন কৌশল। সুতরাং প্রবৃত্তির সুষ্ঠু পরিচালনার জন্য পড়ুন-প্রবৃত্তির দাসত্ব।
There are no reviews yet.