অনেক নৃ-তাত্ত্বিকের মতে ধর্ম বহু-ঈশ্বরবাদ থেকে ধাপে ধাপে একেশ্বরবাদের দিকে ধাবিত হয়েছে। এই প্রক্রিয়ার প্রথমদিকে মানুষ প্রাকৃতিক শক্তির উপর দেবত্ব আরোপ করত এবং ধীরে ধীরে সকল অতি প্রাকৃতিক শক্তিকে দুইটি প্রধান দেবতা (একজন ‘মঙ্গল’-এর দেবতা ও অপরজন ‘অমঙ্গল’-এর দেবতা) হিসেবে কল্পনা করে এবং শেষ পর্যন্ত একেশ্বরবাদের ধারণায় উপনীত হয়।
সুতরাং তাদের মতে, ধর্ম কোনো স্বর্গীয় উৎস থেকে আসেনি বরং তা আদিম মানুষের বৈজ্ঞানিক জ্ঞানের অভাবপ্রসূত কুসংস্কারের ফসল মাত্র। এসব তাত্ত্বিকগণের মতে, বিজ্ঞান একসময় প্রকৃতির সকল ঘটনার গোপন রহস্য উন্মোচন করে ধর্মকে অকার্যকর প্রমাণ করবে এবং ফলশ্রুতিতে ধর্মের বিলুপ্তি ঘটবে।
অথচ এক চূড়ান্ত সত্তায় বিশ্বাসের ক্ষেত্রে মানুষের জন্মগত বৈশিষ্ট্য উপরোক্ত মতের বিপরীত মতকেই সমর্থন করে; আর তা হলো মানুষ শুরুতে একত্ববাদের ওপরেই ছিল কিন্তু সময়ের সাথে সাথে বহু ঈশ্বরবাদী হয়ে পড়ে। যেসব তথাকথিত আদিম গোত্র আবিষ্কৃত হয়েছে তাদের মাঝেও একজন চূড়ান্ত সত্তায় বিশ্বাসের প্রমাণ মেলে।
There are no reviews yet.