এক নাগাড়ে, এক বসায় পড়েছি এমন বই সম্ভবত খুব নগণ্য, এত নগণ্যের ভীড়ে এই বইটি অবশ্যই অগ্রগণ্য। আল্লাহর নাম গুলোর, গুণ গুলোর ব্যাখ্যা এতটা সুন্দর হতে পারে, কেউ একজন এতটা সুন্দরভাবে বুঝিয়ে দিতে পারে, না পড়লে হয়তো জানা হতো না, বুঝা হতো না, হতাশার চাদরে হাপিতাশ করতে থাকা মনটা কে হয়তো বুঝাতে পারতাম না অনেক কিছু।
এক বুক স্বপ্ন নিয়ে পথ চলছি, ক্লান্ত হয়ে দেহ এলিয়ে মুখ থুবড়ে পড়ে আছি, আবার মাঝরাতে স্বপ্ন হারানোর ভয়ে কাঁদছি, নিজের মাঝেই নিজেকে অজানা মত করে খুজছি, অথচ একটিবারের জন্যও মনে করতে পারিনি, একটি বারের জন্যও চিন্তা কোণে ভেসে উঠেনি, আস সামাদ তথা স্বয়ংসম্পূর্ণ এর কথা!
মরতে মরতে বেছে যাওয়া, বাইকের পিছন থেকে হুট করে চিৎকে পড়া,ভিন্ন পাশ থেকে তেড়ে আসা ট্রাকের চাপায় পিষ্ট হতে যাওয়া, মনটার কোণে ছোট্ট করে ভাবার অবকাশ দেয়নি আল হাফীয তথা মহারক্ষক এর কথা! এই তো পিষ্ট হয়ে শেষ হচ্ছিলাম, রক্ষা করলেন কে, ভাবতে গিয়েও ভাবা হয়নি, জেনে শুনেও বুঝাতে চেষ্টা করিনি, আল হাফীয তথা মহা রক্ষক এর কথা টুকু!
হেডফোন কানে গুজে ফুটপাত ধরে হেটে যাচ্ছি, হেডফোনের শব্দে, গানের তরঙ্গে অঙ্গ যখন ঢেউ উঠছিল, ঠিক তখনই চোখটাকে ঐ খোলা ম্যানহোলের ডাকনায় কে নিয়ে গেল, সুক্ষ্ম ভাবে তীক্ষ্ম ভাবে ভেবে দেখা হয়নি, মনে পড়েনি আল লাতীফ তথা সূক্ষ্মদর্শীর কথাটুকু।
হসপিটালের বারান্দায়, এম্বুলেন্স এর সাইরিন শব্দে, কিছুক্ষণ আগে হাসি খুশি দৌড়ে আসা ছেলেটার হঠাত করে থমকে যাওয়া, রাস্তার পাশে হাত ফেতে, পা ছেটে যে মানুষটা ভিক্ষা চাচ্ছে, যে মানুষটা খাচ্ছে , তাকে দেখেও সেই আমার তখনো ভাবনায় উদয় হয়নি আশ শাফী তথা আরোগ্যদাতার কথা । আমি এখনো সুস্থ আছি, এই জিনিসটা দেখেও দেখা হয়নি কে আমাকে সুস্থতা দিয়েছেন ।
আযানের সূরে মাথা না দিয়ে ঘুমাচ্ছি, রাস্তার পাশে টঙের দোকানে চায়ের কাপে ধোয়া তুলে জীবনের যত পাপ অর্জন করছি তার হিসাব না মিলিয়ে পরের সমালোচনায় নিজেকে হিরু বানাচ্ছি, হেটে যাওয়া রমণী কে শুনাব বলে শিস মারছি, বাজে বাজে শব্দে নিজের মনে সুখের ঢেউ তুলছি, অথচ ভাবছিনা এত গুনাহ, এত পাপ স্বত্তেও কে আমাকে সুস্থ রেখেছেন! কে আমার উপর রহম করে আমাকে পথ চলাচ্ছেন, একটিবারও ভাবছিনা আল গাফুর তথা ক্ষমাশীলের কথা।
বইয়ের শেষে একটা কথা লিখে দেওয়া আছে, যে হৃদয় তৃষ্ণার্ত থাকে এক পশলা বৃষ্টির, যে পথভোলা পথিক খোঁজে ফেরে পথ, সপে দেওয়ার তাড়নায় যে নয়নযুগল হয়ে উঠে অশ্রুসিক্ত, পাপে নিমজ্জিত যে অন্তর অন্মেষণ করে বেড়ার রহমতের বারিধারা তাদের জন্যই তিনি আমার রব । বইটি আসলেই তাই! আমি নির্দ্বিধায় বলতে পারি বইটি ভর করার ক্ষমতা রাখে পাঠক পাঠিকার চিন্তায়।
যে আমি কাঁদছি, খুব অসুস্থ শরীরে বিছানায় ছটপট করছি, যে আমি খুব হতাশায় আশাহীন চিত্তে হাপিতাশ করছি সে আমার জন্য বইটা এক পশলা বৃষ্টির ন্যায়। আমাকে ভাবানোর জন্য, অবুঝ মনটাকে বুঝানোর জন্য, হাত ধরে, হাটিহাটি পা পা করে হামাগুড়ি থেকে হাটানো অতঃপর দৌড়ানো শিখানোর জন্যই বইটি। যদি কখন খুব ভেঙে পড়ি, অথবা ভ্রষ্ট হয়ে সম্ভাবনা থাকে যখন নষ্ট হওয়ার তবে মনে করিয়ে দেওয়ার জন্য হলেও এমন একটা বই দরকার আছে। প্রতিটা অধ্যায়ে লাইনে প্রতিলাইনে নিজেকে আবিষ্কার করেছি, নিজের দূর্বলতার মানসিক প্রশান্তি কে হাতের কাছে পেয়েও কিভাবে হারিয়েছি তা বুঝেছি। আর প্রশান্তি খুজে পেয়েছি, আর রাহমান এর প্রতিটা গুণের মাঝে।
রিভিউটি লিখেছেন – প্রিয় Mohammad Maruful Islam ভাই।
nakib990 –
আমার পড়া বই গুলির মধ্যে অন্যতম বই ‘তিনিই আমার রব’। আসাধারণ একটি বই। বইটি পড়ার পর আল্লাহ সম্পর্কে ধারণাটাই এক অতিউচ্চ পর্যায়ে পৌঁছে যাবে ইনশাআল্লাহ। তখন আপনার মনে হবে সত্যি আল্লাহকে নিয়ে এইভাবেতো কোনদিন ভাবিনি।
এই বইতে আল্লাহর 99 টি নামের মধ্যে 10টি নামের গুনাবলী নিয়ে আলচনা করা হয়েছে। ইনশাআল্লাহ আমি নিশ্চিত যে বইটি পড়ার পর আল্লাহর বাঁকি নামগুলির গুনাবলী সম্পর্কে জানার ক্ষিদে তৈরি হবে আপনার মধ্যে।
nakib990 –
Nazir ali –
আমরা প্রায় সকলেই জানি, আল্লাহর ৯৯ টি নাম আছে কিন্তু আমরা কখনো কী এই নাম গুলো নিয়ে চিন্তা করেছি। একবারও কী এই নামগুলোর মর্মার্থ বোঝার চেষ্টা করেছি। তাহলে প্রশ্ন থেকে যায় আমরা আমাদের সৃষ্টিকর্তা সম্পর্কে কতটুকু জানি?। আমাদের কী একটুও অন্তর চাই না আমার রব সম্পর্কে জানার যিনি তার নিয়ামত দিয়ে আমাদেরকে সর্বদা ঘিরে রেখেছে। সেই মহান রবের গুনাবলী সম্পর্কে পড়ুন ‘তিনিই আমার রব’ বইটি। বইটিতে আল্লাহর ৯৯ টি নামের মধ্যে ১০ টি নামের মর্মার্থ অসাধারণ ভাবনায় ফুটে উঠেছে।
Nazir ali –
Lekha Lekhi (verified owner) –
Jazakallah
Lekha Lekhi –