আমি জানি, প্রণয়রথের সারথি ছেলেরাই। ওরাই দাঁড়িয়ে থাকে তোমার পথের ধারে। দেখলেই মনোযোগ আকর্ষণের চেষ্টা করে। সুযোগ পেলে গোলাপ ধরিয়ে দিতে চায় হাতে। মেসেঞ্জারে নক করে বারবার জ্বালাতন করে। কিন্তু তোমার আশকারা না পেলে ওরা তো এমনটা করার সাহস পেত না। কাননে ফাগুনহাওয়া দেখেই ভ্রমর ব্যাকুল হয়। তুমি নম্রতা দেখাও, তাই সে গোঁ ধরে এগোতে থাকে। তুমি সদর-দরজা খুলে দিয়েছ, আর সে প্রবেশ করেছে। দুয়ার যদি বন্ধ রাখতে, তবে সে ডাকাতের বেশে প্রবেশ করা সুযোগ পেত না। বুনো নেকড়ে তো ভেড়ির গোশত খেয়েই বিদেয় হয়। কিন্তু ওই ডাকাত তোমার কাছে যা চায়, সেটা ভেড়ির গোশতের চেয়েও মূল্যবান। সেই মূল্যবান জিনিসের সুরক্ষাদ্বার তুমি নিজ হাতে খুলে দিয়েছ। এরপর ডাকাত প্রবেশ করেছে। সে যদি এখন তোমাকে সর্বস্বান্ত করে, তবে এর দায় কি ওর একার?
.
প্রেমিকরা মুখে মুখে যা বলে, সেইটা বিশ্বাস কোরো না। ওদের অভিনয়ের ফাঁদে পা দিয়ো না। ওরা তোমার সাথে বন্ধুর মতো কথা বলে, ‘আমরা তো যাস্ট ফ্রেন্ড’ এই ধরনের মুখরোচক বুলি আওড়ায়। ডাহা মিথ্যা কথা! আল্লাহর শপথ, সব মিথ্যা কথা। সুযোগ পেলেই সে নেকড়ের মতন ঝাঁপিয়ে পড়বে। ছিঁড়েখুবলে খাবে তোমার পবিত্র দেহ। ওর হাসি বন্ধুত্বের হাসি না। ওর দুষ্টুমি নিছক ছেলেমানুষি না। অভিমান, ন্যাকামো, বাচ্চামো—এ সবকিছুর পেছনে ভিন্ন কোনো মতলব লুকিয়ে আছে।
.
আমি জানি, কথাগুলো বিশ্বাস করবে না তুমি। কারণ, সে একাকী তোমায় নিয়ে কীসব মন্তব্য করে, সেইটা কোনোদিন শোনোনি। ছেলেদের আসরে তোমার দেহ নিয়ে কী কী অশ্লীল মন্তব্য করা হয় সেটা যদি একবার বলতে পারতাম, তবেই হয়তো টনক নড়ত। কিন্তু ওসব বলতেও গা ঘিনঘিন করে। কল্পনার জগতে ওরা তোমাকে নগ্ন করে জিভের জল ফেলে। মোবাইলের স্ক্রিনে তোমার ছবি ভাসিয়ে যৌনতার অতলপারাবারে ডুব-সাঁতার কাটে।
.
এগুলো যদি পাশ কাটিয়ে যেতে চাও, তবে ক্ষতি তোমারই হবে। একদিন হয়তো তোমাকে ভুলিয়েভালিয়ে নিয়ে যাবে লিটনের ফ্ল্যাটে। ব্যস, বাকিটুকু ইতিহাস। তবে এই ইতিহাস স্বর্ণাক্ষরে লেখা থাকবে না। এটা লেখা হবে তোমার শেষ সম্ভ্রমটুকু দিয়ে। ক্ষণিকের আনন্দের মাশুল পুরোটা জীবন ধরে দিয়ে যেতে হবে। এদিকে তুমি কলঙ্কের ছাপ নিয়ে সারাক্ষণ হতাশার সাগরে হাবুডুবু খাবে, আর সে নিত্যনতুন ফাঁদ পেতে অন্য কোনো শিকারের আশায় বসে থাকবে। কিন্তু লাঞ্ছনা আর অপমানের বোঝা মাথায় নিয়ে তোমাকে গুমরে গুমরে মরতে হবে। না সমাজ তোমায় ক্ষমা করবে, আর না নিজেই নিজেকে ক্ষমা করতে পারবে। হয়তো আর কোনোদিনই দখিনাহাওয়া এসে দোলা দেবে না কল্পনার বাতায়নে। বসন্তের বাতাসটুকু খেলা করবে না হৃদয়ের ওঠোনে।
.
#তুমি_ফিরবে_বলে (ফিমেইল ভার্সন) থেকে একটুখানি..
সাবিল পাবলিকেশন্স
Compare
তুমি ফিরবে বলে (ফিমেইল ভার্সন)
Availability:
5 in stock
বই : তুমি ফিরবে বলে (ফিমেইল ভার্সন)
লেখক : Jakaria Masud
শারঈ সম্পাদক : হাফিজ আল মুনাদী
গায়ের দাম : ২৬৫
পৃষ্ঠা সংখ্যা : ১৯০
বাইন্ডিং : পেপার বাঁধাই
বইয়ের সংক্ষিপ্ত বিবরণ : মোটিভেশনাল
#সাবিল_পাবলিকেশন
₹240.00 ₹265.00
5 in stock
Weight | 0.5 kg |
---|
Based on 0 reviews
Be the first to review “তুমি ফিরবে বলে (ফিমেইল ভার্সন)”
You may also like…
-
সমর্পণ-সন্দীপন
দরজা এখনও খোলা
তুমি যে পথে হাঁটছ, ওটা অন্ধকারের পথ। বিন্দুমাত্র আলো নেই ওখানে। ও পথ যতই পাড়ি দেবে, ততই হারিয়ে যাবে নিকষকালো আঁধারে। তুমি অন্ধকারে হাঁটবে আর পথহারা হবে। আঁধারের বাঁদুরেরা তোমায় ভয় দেখাবে ক্ষণে ক্ষণে। একাকী তুমি আরও ভীতসন্ত্রস্ত হয়ে পড়বে। ভীত-বিহ্বল চিত্তে একসময় ক্লান্ত-পরিশ্রান্ত হয়ে তলিয়ে যাবে অতল ভয়ানক খাঁদে। পথিক! তোমায় আলোর পথে ডাকছি। এখানে আলোআঁধারি খেলা নেই। নেই আঁধারের বাঁদুরের কোনো স্থান। চারিদিকে কেবল আলো আর আলো। এখানকার আলো থেকে ছিটকে-পড়া পুণ্যময় রশ্মিগুলো, তোমায় নিত্য ডাকছে হাতছানি দিয়ে। এ পথে হাঁটলে তুমি কখনও পথহারা হবে না। অতল তলে হারিয়ে যাবে না। এর শেষটা মিশে আছে জান্নাতের সাথে। এ পথের দরজা এখনও খোলা আছে। এসো তবে ফিরে… বই : দরজা এখনও খোলা লেখক : ইমাম ইবনু আবিদ দুনইয়া (রহিমাহুল্লাহ) অনুবাদক : মুহাম্মাদ ইউসুফ আলী বইয়ের নাম- দরজা এখনো খোলা লেখক- ইমাম ইবনু আবিদ দুনইয়া (রাহিমাহুল্লাহ) অনুবাদক- এম এ ইউসুফ আলী প্রকাশনী- সমর্পণ প্রকাশন মোট পৃষ্ঠা : ৭২ বইয়ের ধরণ- আত্মশুদ্ধি, আত্মিক উন্নয়ন, ইসলামিSKU: n/a
There are no reviews yet.