Dark Light
-25%
,

উমার ইবন আল-খাত্তাব (প্রথম খণ্ড)

Availability:

Out of stock


উমার ইবন আল-খাত্তাব (প্রথম খণ্ড)

Author : . আলি মুহাম্মাদ সাল্লাবি
Category : খুলাফায়ে রাশেদিন

562.00 750.00

Out of stock

Compare

‘আমার পরে যদি কেউ নবী হতো, সে হতো উমার।’
কী ছিল উমারের মাঝে যে নবীজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তার সম্পর্কে এমন কথা বলেছিলেন! কেন শয়তান তাকে দেখলে অন্য পথে পালাত? দীর্ঘ দশ বছর কীভাবে নবীন এক ইসলামি রাষ্ট্রের হাল ধরে রেখেছিলেন শক্ত হাতে? কেন ফিতনা ফেঁপে ওঠার সাহস করেনি তার সময়ে?
ড. সাল্লাবি ছড়ানো-ছিটানো সব উৎস থেকে বিশুদ্ধ বর্ণনাগুলো ছেকে জহুরির চোখে বিশ্লেষণ করেছেন তার জীবন ও শাসনকাল। শুধু ঘটনার পর ঘটনা নয়; যারা পেছনের কাহিনি জানতে চান, তাদের জন্যই উমার ইবনুলখাত্তাব রা. : জীবন শাসন

প্রতিনিধি এবং প্রশাসকদের নিয়োগ করার প্রাক্কালে উমার রা. একটি দলিল লেখাতেন। কয়েকজন আনসারকে সেই দলিলের সাক্ষী রাখা হতো। তাতে শর্ত আরোপ করা হতো যে, নিয়োগপ্রাপ্ত প্রতিনিধি কোনো অনারবীয় ঘোড়ায় চড়তে পারবেন না, মিহি আটার রুটি খাবেন না, চিকন সুতার কাপড় পরবেন না এবং বিপদগ্রস্ত মুসলিমদের প্রয়োজনের সময় তাদেরকে বিমুখ করতে পারবেন না। তারপর তিনি বলতেন, ‘হে আল্লাহ আপনি সাক্ষী থাকুন।’

এই শর্তগুলোর ফলে প্রশাসকরা একটি সাধারণ, সংযমী জীবনযাপন করতে এবং জনগণের প্রতি নম্র আচরণ করতে বাধ্য থাকতেন। উম্মাহর চরিত্র সংশোধনের প্রথম ধাপ হলো মধ্যম মানের সাধারণ জীবনযাত্রা, পোশাক-পরিচ্ছদ এবং যানবাহন ব্যবহারে তাদেরকে অভ্যস্ত করানো।

*
খালিফাহ হওয়ার পর একদিন উমার রা. মনে মনে ভাবছিলেন, আমি তো এখন খালিফাহ। আমার চেয়ে ভালো আর কে আছে! নিজের দম্ভিত মনকে শাসন করতে অতীতের কথা মনে করিয়ে দিলেন। মিম্বারে উঠে সবার উদ্দেশ্যে বললেন, ‘আজ সেসব দিনের কথা মনে পড়ছে। আমি তখন আমার খালার গবাদি পশু চরাতাম। তিনি ছিলেন বানু মাখযূম গোত্রের। আমাকে তিনি মুঠো ভর্তি খেজুর কিশমিশ দিতেন। সারা বেলার জন্য ওগুলোই যথেষ্ট ছিল। কি নিদারুণ যাতনাময় দিন ছিল সেগুলো!’ বলতে বলতে একটা দীর্ঘশ্বাস বেরিয়ে এল মনের অজান্তে।

মিম্বার ছেড়ে দাঁড়াতেই আবদুর-রাহমান ইবন আওফ তাকে থামালেন, ‘এ কী করলেন আমিরুল-মুমিনিন? আপনি তো নিজেই নিজের মান খোয়ালেন!’
‘একা একা বসে ভাবছিলাম আমি তো খালিফাহ। আমার চেয়ে ভালো আর কে আছে? তাই নিজেকে মনে করিয়ে দিলাম একসময় কী ছিলাম আমি!’

অন্য একটি বর্ণনামতে তিনি বলেছিলেন, ‘নিজের মধ্যে কিছু [অহমিকা] চোখে পড়ল। তাই চাইলাম নিজেকে একটু নামিয়ে আনতে।’

*
তার অন্তরের আল্লাহভীরুতা, বুদ্ধির প্রখরতা, দৃষ্টির দূরদর্শিতা, ব্যক্তিত্বের মূর্ছনা এবং নেতৃত্বের মুনশিয়ানার কাছে এই উম্মাহ চিরকাল ঋণী।

সত্যিই আবু বাক্‌রের পর উমারই ছিলেন উম্মাহর শ্রেষ্ঠ সন্তান। এই উম্মাহ ও ফিতনার মাঝে তিনি ছিলেন এক অভেদ্য দেয়াল, এক বন্ধ দরজা। আততায়ীর হাতে তার শহিদ হওয়ার মধ্য দিয়ে যেদিন সেই দরজা ভেঙে গিয়েছে; আর তা বন্ধ করা যায়নি—যাবেও না হয়তো আর কোনোদিন।

*
ইসলামের ইতিহাসে উমার ইবনুল-খাত্তাব যেন রোমাঞ্চের প্রতিশব্দ। ঠিক যেদিন তরবারি হাতে হত্যা করতে নেমেছিলেন নবীজিকে, সেদিনই ইসলাম বরণ করেন এই লৌহমানব। ঘোরতর শত্রু থেকে এক লহমায় হয়ে ওঠেন ইসলামের অন্যতম শক্তি।

নবীজির হাত ধরে জন্ম নিয়েছিল যে মুসলিম-রাষ্ট্র, আবু বাকরের হাতে যে-রাষ্ট্র পার করেছে কৈশোর, উমারের সময়ে সেই ইসলামি রাষ্ট্র যেন ১৮ বছরের টগবগে তরুণ। ব্যক্তিত্বের মূর্ছনা আর নেতৃত্বের মুনশিয়ানায় দিকে দিকে ছড়িয়ে দিয়েছেন রাষ্ট্রের সীমানা। তার হাতেই প্রতিষ্ঠা পায় রাষ্ট্রীয় নানা অবকাঠামো। বর্তমান সময়ে উম্মাহর এই টালমাটাল অবস্থায় একে সঠিক আইলের উপর রাখতে প্রয়োজন এমনই এক শক্ত ব্যক্তিত্ব। হয়তো তার এই জীবনীর আলোয় বেরিয়ে আসবে তেমনই এক ভবিষ্যৎ নেতা! ইনশাআল্লাহ।

Weight 0.455 kg

Based on 0 reviews

0.0 overall
0
0
0
0
0

Be the first to review “উমার ইবন আল-খাত্তাব (প্রথম খণ্ড)”

There are no reviews yet.

SHOPPING CART

close