You may be interested in…
-
মাক আসলাফ
সালাফের দরবারবিমুখতা
সালাফের দরবারবিমুখতা
আমাদের সত্যনিষ্ঠ মহান মনীষীরা রাজা-বাদশাদের কাছ থেকে সর্বাবস্থায় সর্বোচ্চ দূরত্ব অবলম্বন করতেন। বৈষয়িক জগতের আবিলতা ও অশুচিতায় জড়িয়ে যাওয়ার ভয়ে কীভাবে তারা শাসকগোষ্ঠীর দর্শন, তাদের দরবারে গমনাগমন থেকে নিজে বিরত থাকতেন এবং অন্যদেরকে বিরত থাকতে কড়া তাগিদ দিতেন, কখনো শাসকের সামনে উপস্থিত হয়ে গেলে কীভাবে তাদের অগ্নিঝরা উচ্চকণ্ঠে নিনাদিত হতো সত্যের আপোসহীন দাবি, মজলুমের মোকাদ্দমা, শাসকের বিভিন্ন অন্যায়, অনাচার ও অবিচারের কঠোর প্রতিবাদ—এসব জীবন্ত গল্প ও তাদের বাস্তব অভিজ্ঞতা-নিংড়ানো মুক্তোসদৃশ উপদেশমালায় সমৃদ্ধ হয়েছে এই গ্রন্থ।
গ্রন্থটি হিজরী তৃতীয় শতাব্দী—মানে, আজ থেকে প্রায় ১২০০ বছর আগে লেখা। অথচ আজও তা কত প্রাসঙ্গিক, পাঠক বইটি হাতে নিলেই তা টের পাবেন!
বরং দরবারময় বর্তমানের চেয়ে কোনো যুগে মনে হয় এটা এত প্রাসঙ্গিক ছিল না। আলেম ও ইসলামপন্থীদের জবুথবু অসহায়ত্ব, প্রশাসনের সঙ্গে দৃষ্টিকটু পর্যায়ে মাখামাখি, ন্যায্য ও অন্যায্য বিভিন্ন অজুহাতে শাসকের দরবারে গমন, তাদের অন্তরঙ্গ সান্নিধ্য ও কৃপাদৃষ্টি লাভের প্রাণান্তকর প্রয়াস—সর্বোপরি গণমানুষের প্রতি শাসকের নির্লজ্জ জুলুমবাজি, মুসলমানদের প্রতি নানাবিধ উৎপীড়ন ও অন্যায় আচরণের সামনেও মুখ বুজে নীরব দর্শক হয়ে থাকার লাঞ্ছনাকর দৃশ্য সর্বত্রই বিরাজমান।
এটা দীন ও উম্মাহর সঙ্গে বিশ্বাসঘাকতা। ঈমান ও বিবেকের সঙ্গে প্রতারণা। মহান সালাফের সালেহীনের প্রতি বে-ওফাদারি। আলেমদের ইতিহাস ও মর্যাদার সঙ্গে নেহায়েত অশিষ্টাচারসুলভ ও বেমানান।
সালাফে সালেহীন কীভাবে শাসকের দরবার থেকে বাঁচার প্রাণপণ চেষ্টা করতেন আর তাদের অনুসারী হওয়ার দাবিদার আমরা আজ কীভাবে শাসকের কৃপাদৃষ্টি লাভের কুপ্রতিযোগিতায় লিপ্ত, সেই ফারাক তুলে ধরা হয়েছে বইটিতে।
লেখক—ইমাম আবু বকর মাররুযি রহ. (মৃত্যু: ২৭৫ হি.)
অনুবাদ, সংযোজন ও সম্পাদনা—শাইখ মীযান হারুন
পৃষ্ঠা সংখ্যা—১১২SKU: n/a -
মাক বায়ান
সীরাতুন নবি ৪
কেউ যদি আল্লাহকে ভালোবাসতে চায়, আল্লাহর দয়া পেতে চায়, পরকালীন সাফল্য অর্জন করতে চায়—তাকে অবশ্যই নবি মুহাম্মাদ স.-এর আদর্শ আঁকড়ে ধরতে হবে। কেননা আল্লাহ তাআলা বলেন, “(হে মুহাম্মাদ!) তুমি বলে দাও, ‘যদি তোমরা যথার্থই আল্লাহকে ভালোবাসো, তা হলে আমার অনুসরণ করো, আল্লাহ তোমাদের ভালোবাসবেন এবং তোমাদের গোনাহ মাফ করে দেবেন।’” [সূরা আ ল ইমরান : ৩১]
.
কাজেই আল্লাহকে পেতে হলে, অবশ্যই নবিজিকে মেনে চলতে হবে। তাঁর রেখে-যাওয়া সুন্নাহর অনুসরণ করতে হবে। তাঁর আদর্শ বাস্তবায়ন করতে হবে জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে। তবেই কেবল ইহকালীন শান্তি ও পরকালীন নাজাত পাওয়া সম্ভব হবে।
.
বিভিন্ন পরিস্থিতিতে নবিজি কী ধরনের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন, কোন কোন দিক-নির্দেশনা রেখে গেছেন আমাদের জন্যে ইত্যাদি বিষয়ে বিস্তারিত ধারণা রাখতে হবে প্রতিটি মুসলিমকে। আর এই বিষয়ে জানার সবচেয়ে সহজ মাধ্যম হচ্ছে “সীরাত”। তাই এমন একটি বিশুদ্ধ সীরাত-গ্রন্থ আমাদের সামনে থাকা জরুরি, যেখানে কোনো ঐতিহাসিক বর্ণনা বা দুর্বল হাদীস থাকবে না। বরং স্বয়ং নবিজির জবানের মাধ্যমে ও তাঁর সাহাবিদের জবানের আলোকে নবিজির জীবনী বর্ণিত হবে। যেটাকে মুসলিমরা দলিল হিসেবে ব্যবহার করতে পারবে নির্দ্বিধায়। তবে হাদীসের বিপুল ভাণ্ডার থেকে অনুসন্ধান চালিয়ে—বিশুদ্ধ হাদীসগুলো নবিজির জন্ম থেকে মৃত্যু পর্যন্ত সময়ের ক্রমধারা অনুসারে সাজানোটা অত্যন্ত কষ্টসাধ্য কাজ।
.
আল-হামদু লিল্লাহ, সেই কষ্টসাধ্য কাজটিই সম্পন্ন করেছেন আরব-বিশ্বের বিখ্যাত হাদীসবিশারদ শাইখ ইবরাহীম আলি রহ.। তিনি “সহীহুস সীরাতিন নাবাবিয়্যাহ” নামে বিশুদ্ধ হাদীসের বর্ণনার আলোকে নবিজির সীরাত লিখেছেন। যেখানে কোনো দুর্বল হাদীস কিংবা ঐতিহাসিকদের দেওয়া বর্ণনা স্থান দেননি। না, এটি কেবল আমাদের দাবি নয়। বরং সামসময়িক বিখ্যাত মুহাদ্দিসরাও এ কথার স্বীকৃতি দিয়েছেন। শাইখ ড. উমার সুলাইমান আশকার এ সীরাত-গ্রন্থ সম্পর্কে মন্তব্য করতে গিয়ে বলেন, “নবি স.-এর সীরাত-বিষয়ক বর্ণনার বিক্ষিপ্ত ও বিপুল পরিমাণ তথ্যকে এই গবেষক তাঁর এই গ্রন্থে একত্র করতে সক্ষম হয়েছেন। এসব বর্ণনাকে সুবিন্যস্ত বিষয়াবলীতে বিভক্ত করে, এদের মধ্যে আন্তঃসম্পর্ক স্থাপনের ক্ষেত্রেও তিনি সমানভাবে সফল। এই গ্রন্থের সবচেয়ে বড় বিশেষত্ব হলো—এখানে কেবল বিশুদ্ধ বর্ণনাকে স্থান দেওয়া হয়েছে। এ গ্রন্থকে দুর্বল ও জাল হাদীস থেকে দূরে রাখা হয়েছে।” [সীরাতুন নবি : ১/১৮]
.
জর্দান বিশ্ববিদ্যালয়ের হাদীস বিভাগের সাবেক অধ্যাপক শাইখ ড. হুম্মাম আবদুর রহীম এই সীরাত সম্পর্কে মন্তব্য করতে গিয়ে বলেছেন, “অনেক বছরের অক্লান্ত চেষ্টা, সাধনা ও অধ্যবসায়ের পর (হাদীস-ভিত্তিক সীরাত রচনার) এ প্রচেষ্টা সফল হলো। (এ গ্রন্থে) লেখক সীরাতের বিচিত্র তথ্যাবলি জমা করার পাশাপাশি, বিপুল-সংখক হাদীসের মানগত অবস্থান উল্লেখ করেছেন এবং দুর্বোধ্য শব্দগুলোর ব্যাখ্যা দিয়েছেন। এ কথা বলতে পারি, মুহাদ্দিসদের দৃষ্টিকোণ থেকে সীরাত লেখার ক্ষেত্রে এ গ্রন্থটি অচিরেই অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ সূচনাকর্মের মর্যাদা লাভ করবে।” [সীরাতুন নবি : ১/২২]
.
শাইখ ইবরাহীম আলি’র এ কিতাবটি আজও আরবের মুহাদ্দিসদের নিকট রেফারেন্স-বুক হিসেবে সমাদৃত। কিতাবটি পাঠের মাধ্যমে প্রিয় নবি স.-এর জীবনে ঘটে-যাওয়া ঘটনাগুলোর এক নিখাঁদ চিত্র আমাদের সামনে ফুটে উঠবে, যার মধ্যে থাকবে না কোনও সন্দেহ-সংশয়। রাসূল স.-এর নির্ভুল জীবনী জানার মাধ্যমে তাঁর সঙ্গে আমাদের ভালোবাসা আরও সুদৃঢ় হবে।
.
বই : সীরাতুন নবি (সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম)
লেখক : শাইখ ইবরাহীম আলি (রহিমাহুল্লাহ)
অনুবাদক : শাইখ জিয়াউর রহমান মুন্সীSKU: n/a -
সমর্পণ-সন্দীপন
দরজা এখনও খোলা
তুমি যে পথে হাঁটছ, ওটা অন্ধকারের পথ। বিন্দুমাত্র আলো নেই ওখানে। ও পথ যতই পাড়ি দেবে, ততই হারিয়ে যাবে নিকষকালো আঁধারে। তুমি অন্ধকারে হাঁটবে আর পথহারা হবে। আঁধারের বাঁদুরেরা তোমায় ভয় দেখাবে ক্ষণে ক্ষণে। একাকী তুমি আরও ভীতসন্ত্রস্ত হয়ে পড়বে। ভীত-বিহ্বল চিত্তে একসময় ক্লান্ত-পরিশ্রান্ত হয়ে তলিয়ে যাবে অতল ভয়ানক খাঁদে। পথিক! তোমায় আলোর পথে ডাকছি। এখানে আলোআঁধারি খেলা নেই। নেই আঁধারের বাঁদুরের কোনো স্থান। চারিদিকে কেবল আলো আর আলো। এখানকার আলো থেকে ছিটকে-পড়া পুণ্যময় রশ্মিগুলো, তোমায় নিত্য ডাকছে হাতছানি দিয়ে। এ পথে হাঁটলে তুমি কখনও পথহারা হবে না। অতল তলে হারিয়ে যাবে না। এর শেষটা মিশে আছে জান্নাতের সাথে। এ পথের দরজা এখনও খোলা আছে। এসো তবে ফিরে… বই : দরজা এখনও খোলা লেখক : ইমাম ইবনু আবিদ দুনইয়া (রহিমাহুল্লাহ) অনুবাদক : মুহাম্মাদ ইউসুফ আলী বইয়ের নাম- দরজা এখনো খোলা লেখক- ইমাম ইবনু আবিদ দুনইয়া (রাহিমাহুল্লাহ) অনুবাদক- এম এ ইউসুফ আলী প্রকাশনী- সমর্পণ প্রকাশন মোট পৃষ্ঠা : ৭২ বইয়ের ধরণ- আত্মশুদ্ধি, আত্মিক উন্নয়ন, ইসলামিSKU: n/a -
Bookish Publisher, নোমান আলী খান
উপমার শৈল্পিকতায় মুগ্ধময় কুরআন
▪বইয়ের নাম :- উপমার শৈল্পিকতায় মুগ্ধময় কুরআন
▪লেখক :- নোমান আলি খান
▪প্রকাশক :- বুকিশ পাবলিশার্স|| “উপমার শৈল্পিকতায় মুগ্ধময় কুর’আন” – উস্তাদ নোমান আলী খান ||আল-কুর’আনের প্রজ্ঞাময় পবিত্র জীবনব্যবস্থার সাথে তার সাহিত্য শৈলিও যে মু’জিযার অন্তর্ভুক্ত সেকথা কতোজনই বা জানে! বাংলাভাষায় আলঙ্কারিক কুর’আনের সাহিত্যশৈলির উপর কাজ নেই বললেই চলে। অথচ এর উপলব্ধি কুরআনের সাহিত্যমান, চ্যালেঞ্জ ও এর মূল্যায়ন বুঝতে বেশ জরুরী। সাইয়েদ কুতুব শহীদ (রাহিমাহুল্লাহ) প্রথম স্বতন্ত্রভাবে বিস্তৃত পরিসরে এর রচনা শুরু করেন তার “তাফসির ফি যিলালিল কুর’আন” এর অনন্য ভূমিকা হিসেবে স্বতন্ত্র “আল-কুরআনের শৈল্পিক সৌন্দর্য” বইতে। আমরা এখানে উপমা ও বাগধারার ক্ষেত্রে অনন্য এক মাত্রা যোগ করবো ইন শাআ আল্লাহ।কুর’আনে রয়েছে বর্ণনা, যুক্তি, উপমা ও বাগধারা-অভিব্যক্তিসহ উচ্চমাত্রিক সাহিত্য-অলঙ্কারের সমাবেশ। কুর’আন নাযিলের পর মুশরিকরা কেন একে পরাজিত করতে সেসময়কার সবচেয়ে উচ্চ শিক্ষিত কবি-সাহিত্যিকদের পাঠাতো? তারাই বা কেন বলতো “এ কুর’আন মানুষের পক্ষে রচনা করা অসম্ভব”, অথচ এ তো তাদেরই ভাষায় নাযিলকৃত! ফলে, তখনকার কাফির-মুশরিকরা কুর’আনের অনন্যতা ও অলঙ্কার বুঝতে পেরে যেভাবে নুইয়ে পড়তো, আজ আমরা মুসলিমরাও সেই অনন্য শক্তি ও শৈলি থেকে দূরে, বিস্মৃত। অথচ এর সৌন্দর্য, শৈলি, চ্যালেঞ্জ ও মূল্যায়ন আমাদেরকে কুর’আনের অমূল্যতা বুঝতে ও এর প্রতি ভালোবাসার তীব্রতা জাগাতে অনন্য ভূমিকা পালন করে।কুর’আনের অলঙ্কারের এই উপমা-বাগধারার অভ্রভেদী বয়ান ও সেই বর্ণনায় বর্ণিত অনন্য শৈলির হেদায়াত সরলভাবে বর্ণিত হয়েছে উস্তাদ নোমান আলী খানের সংকলন গ্রন্থ “উপমার শৈল্পিকতায় মুগ্ধময় কুর’আন” বইটিতে। এসব উপমা মুমিনদের প্রাণে দেয় দৃঢ়তা আর অলঙ্কারের নিশ্ছেদ্র শক্তি অবিশ্বাসীদের অন্ধ বিশ্বাসকে করে ভঙ্গুর।আমাদের জন্য দোয়া করবেন যেন সামনে আরো ভালো কিছু আনতে পারি বাংলায় নতুন সংযোজন হিসেবে; বিশেষত কুর’আনের ভালোবাসায় সিক্ত হতে।কন্টেন্ট তৈয়ারঃ Nouman Ali Khan Collection In Banglaপ্রকাশনায়ঃ Bookish PublisherSKU: n/a
Cart totals
Subtotal | ₹2,004.00 |
---|---|
Shipping |
Shipping to West Bengal. |
Total | ₹2,214.00 |