You may be interested in…
-
মাক বায়ান
তাবিয়িদের চোখে দুনিয়া
রাতের বেলা আল্লাহ তাআলা আমাদের সবচেয়ে নিকটবর্তী আসমানে অবতরণ করেন। আমাদের ডাকতে থাকেন। তিনি বলতে থাকেন, ‘কেউ আছে কি মাগফিরাত কামনাকারী, আমি তাকে মাফ করব? কেউ কি আছে প্রার্থনাকারী, আমি তার ডাকে সাড়া দেবো? কেউ কি আছে দুআকারী, আমি তার দুআ কবুল করব?’ [মুসলিম : ১৬৫০]
তাঁর সে ডাকে কতজনই-বা সাড়া দেয়। আমরা তো সারাদিন দুনিয়ার জন্যে দৌড়াদৌড়ি করি, আর রাতের বেলা মরার মতো ঘুমাই। অথচ তাবিয়িরা আল্লাহর ভয়ে এতটাই ভীত থাকতেন যে, রাতের বেলা ঘুমোতে পারতেন না ঠিকমতো।
আমির ইবনু কায়েস রহিমাহুল্লাহ-কে তার মেয়ে একদিন জিজ্ঞেস করল, “কী ব্যাপার বাবা! আমি (রাতের বেলা) সবাইকে ঘুমোতে দেখি, কিন্তু আপনাকে কখনও ঘুমোতে দেখি না যে!”
তখন আমির ইবনু কায়েস জবাব দিলেন, “মেয়ে আমার! জাহান্নাম তো তোমার বাবাকে ঘুমোতে দেয় না।” [তাবিয়িদের চোখে দুনিয়া, হাদীস : ০১]SKU: n/a -
সিয়ান
নট ফর সেল
১. পর্দাসংক্রান্ত ফিকহের আলোচনায় যাব না। আমি সহজভাষায় যতটুকু বুঝি, পর্দা বলতে বোঝানো হয়েছে এমন পোশাক যা শরীরের রং আকৃতিকে ঢেকে রাখে এবং এমন আচরণ যা ভুল বোঝাবুঝি সৃষ্টি হতে মানুষকে নিরাপদ রাখে। নারীদের আল্লাহ সুন্দর করে সৃষ্টি করেছেন, তাদের চুল থেকে নখ পর্যন্ত সবই আকর্ষনীয়। বিশ্বাস না হলে যেকোনো ভাষায় যেকোনো কবির প্রেমের কবিতা পড়ুন। তাই আল্লাহ তাদের শুধু মুখ (তবে বাইরে মুখও ঢেকে রাখা উত্তম) এবং হাত ছাড়া বাকি সবটুকুই ঢেকে নিজেদের কেবল তাদের জন্য উন্মুক্ত রাখতে বলেছেন, যারা বিসংবাদিতভাবে মেয়েটির ভালো চায় বা অন্তত ক্ষতি চায় না। পুরুষদের যেহেতু আল্লাহ ভারী কাজের দায়িত্ব দিয়েছেন, তাদের এমন আহামরি কোনো সৌন্দর্য দেননি; সুতরাং তাদের জন্য শারীরিক পর্দার পরিধিও অনেক কম করে দিয়েছেন। আচরণের দিক থেকে পুরুষদের নিয়ন্ত্রণ কম বিধায় তাদের জন্য পর্দা অনেক বেশি কঠোর করে দেওয়া হয়েছে। দৃষ্টি থেকে শুরু করে বাড়িতে প্রবেশ পর্যন্ত সর্বত্র তাদের সাবধানতা অবলম্বন করার কথা বলা হয়েছে। এদিক থেকে মেয়েদের কোমল স্বরে অপ্রয়োজনীয় গল্প গুজব থেকে বিরত থাকা ছাড়া আর তেমন কোন বাধা দেওয়া হয়নি। কথাবার্তা কেবল প্রয়োজনীয় বিষয়ের মধ্যেই সীমিত রাখার ব্যাপারে তাগিদ দেওয়া হয়েছে। কেননা অপ্রয়োজনীয় কথাবার্তা এবং অনিয়ন্ত্রিত আচরণ থেকে কী কী হয় তা নিয়েই পৃথিবীর তাবৎ নাটক, সিনেমা, উপন্যাস রচনা করা হয়। আর সেগুলো পড়ে পাঠক চোখের জল ফেলেন; যাকে এই বেদনার মধ্যে দিয়ে অতিক্রম করতে হয় তার কথা তো বাদই দিলাম। ২. কিছু বই মানুষকে হাসায়, কিছু বই সবাইকে কাঁদায়। কিছু বই আবার খুলে দেয় অন্তর্দৃষ্টি। চোখের সামনে মেলে ধরে নতুন এক পৃথিবী। পাপ-পঙ্কিলতাকে পাশ কাটিয়ে মানুষ তখন অর্জন করে এগিয়ে চলার শক্তি। ধীরে ধীরে সে বুঝতে শেখে, বস্তুবাদী এ জগতে সবকিছু বিক্রি হবার নয়। নিজের মাকে বিক্রি করা যায় না! নিজের বোনকে কখনো পণ্য ভাবা যায় না! . তেমনই একটি বই—নট ফর সেল। লেখিকা খুব সুনিপুণভাবে এবং দক্ষ হাতে কলম চালিয়েছেন। চমৎকার কতগুলো শব্দের মজবুত গাঁথুনি দিয়ে তৈরি করেছেন একেকটি প্রবন্ধগল্প। গল্পগুলো আপনাকে ভাবাবে, আপনার চিন্তার খোরাক যোগাবে। মনের গহীন কোণে ঘুমিয়ে থাকা সত্তাটিকে জাগ্রত করে তুলবে। কখনো কৌতুকের ছলে, কখনো-বা গাম্ভীর্যের আভরণে নির্মম কিছু সত্য খুব সহজ করে বলা হয়েছে এখানে। . মনোমুগ্ধকর এক প্রচ্ছদ আর চাঞ্চল্যকর সব অনুচ্ছেদ দ্বারা নির্মিত হয়েছে ‘নট ফর সেল’। বইটিতে আপনি খুঁজে পাবেন বইমেলার গল্প, পাবেন ভালো শাশুড়ি আর বউদের গল্প; আছে পর্দা এবং পর্দাহীনতার গল্প, আছে সুখ আর সভ্যতার গল্প।
SKU: n/a -
পথিক প্রকাশন
কিতাবুল ফিতান ১ম খন্ড
সাঈদ ইবনুল মুসাইয়্যাব রহিমাহুল্লাহ থেকে বর্ণিত—তিনি বলেন, শামদেশে ব্যাপক ফিতনা দেখা দিবে। যখনই উক্ত দেশের কোনো প্রান্তের ফিতনা একটু শান্ত হবে, তখনই অন্য প্রান্তে উত্তপ্ত হয়ে উঠবে। এভাবে চলতে থাকবে, যা কখনো স্থিতিশীল হবে না, একপর্যায়ে একজন ঘোষক আসমান থেকে ঘোষণা করবে, হে লোকসকল! নিঃসন্দেহে অমুক হচ্ছে (ইমাম মাহদি) তোমাদের আমির।
নোট: এই হাদিসটির সত্যতা ইতিমধ্যেই আমরা দেখতে পাচ্ছি। বর্তমানে সিরিয়ার যুদ্ধবিগ্রহ আস্তে আস্তে বর্তমান পৃথিবির সকল সুপার পাওয়ারদের গ্রাস করে ফেলছে। খুব শীঘ্রই আমরা এসব সুপার পাওয়ারদের পতন দেখতে পাবো ইনশা আল্লাহ। আর সিরিয়ার এই ফিতনা চলবে ১২ থেকে ১৮ বছর, ইতিমধ্যেই আমরা ৯ বছর অতিবাহিত করে ফেলেছি। তাই বর্তমান জালেম সুপার পাওয়ারদের পতন ও মুসলমানদের সুদিন খুব বেশি দূরে নয় ইনশা আল্লাহ। তবে তার আগে মুসলমানদের সন্তান প্রসব বেদনার মত অনেক দুর্যোগ অতিবাহিত করতে হবে।
[কিতাবুল ফিতান : ৬৭৩]
[মুজামুত তাবরানি : ৪৬৬৬; মাকতু, যয়িফ]SKU: n/a
Cart totals
Subtotal | ₹7,210.00 |
---|---|
Shipping |
Shipping to West Bengal. |
Total | ₹7,460.00 |