©️মাকতাবাতুল বায়ান
| ওহির আলোয় আলোকিত হোক অবনি |
মাক বায়ান
Showing all 11 results
-
মাক বায়ান
আত্মশুদ্ধি
মনের একটি রোগ হলো, সে নিজেকে মুক্তির দ্বারপ্রান্তে উপনীত মনে করে। সেভাবে, বিভিন্ন যিকির-আযকার ও ইবাদাত-বন্দেগী দিয়ে মুক্তির দরজায় কড়া নাড়বে আর দরজা তার জন্য সুন্দরভাবে খুলে যাবে। অথচ বাস্তবে দেখা যায় অবাধ্যতা আর পাপাচারের মাধ্যমে সে নিজেই মুক্তির দরজাকে বন্ধ করে ফেলার সকল আয়োজন সম্পন্ন করে রাখে।
.
হুসাইন বিন ইয়াহয়া আমাকে জাফর বিন মুহাম্মাদ থেকে বর্ণনা করেছেন, তিনিবলেন, আমি মাসরূক রাহিমাহুল্লাহ-কে বলতে শুনেছি, রাবিয়া আদাওয়ীয়াহ রাহিমাহাল্লাহ একবার সালিহ মিররির মজলিসের পাশ দিয়ে অতিক্রম করছিলেন। সে সময় সালিহ বলছিলেন, ‘যে ব্যক্তি দরজার কড়া অনবরত নাড়াতেই থাকবে আশা করা যায় তার জন্য দরজা খোলা হবে।’
.
এই কথা শুনে রাবিয়া বললেন, ‘দরজা খোলাই থাকে। কিন্তু বান্দা নিজেই তো সেই দরজা থেকে পলায়ন করে।’
.
ভুল পথে পা বাড়িয়ে উদ্দিষ্ট স্থানে পৌঁছার আশা করা যায় না। সুতরাং একজন বান্দা নিজের জন্য কুপ্রবৃত্তির দরজা উন্মুক্ত করে কীভাবে মুক্তির আশা করতে পারে? যে ব্যক্তি আল্লাহ তাআলার অবাধ্যতা থেকে নিজেকে বারণ করতে পারে না তার মুক্তি তো সদূর পরাহত।
.
ইবনু আবিদ দুনয়া রাহিমাহুল্লাহ বলেন, কোন এক জ্ঞানী ব্যক্তি বলেছেন, ‘তোমার ভেতর পঙ্কিলতা থাকলে তুমি মুক্তি পাবে বলে আশা কোরো না।’
.
এই সমস্যার সমাধান বিষয়ে বিশিষ্ট আবেদ সিররি সাকতী রাহিমাহুল্লাহ বলেছেন, এর থেকে প্রতিকারের উপায় হলো, হিদায়াতের পথে চলা, হালাল খাদ্য ভক্ষণ করা এবং পরিপূর্ণ আল্লাহভীতি অর্জন করা।
.
বই : আত্মশুদ্ধিSKU: n/a -
মাক বায়ান
আল্লাহর উপর তাওয়াক্কুল
উমার ইবনুল খাত্তাব (রা)-এর সাথে কজন ইয়ামানি লোকের দেখা হলো। যারা ফসল ফলানো বাদ দিয়ে অলসভাবে বসে ছিল। তিনি তাদের জিজ্ঞেস করলেন, “তোমরা কারা?”
.
তারা বলল, “আমরা হলাম তাওয়াক্কুলকারী।”
.
উমার (রা) বললেন, “তোমরা বরং অলস বসে-থাকা লোক! তাওয়াক্কুলকারী তো সে, যে যমীনে বীজ ফেলে, তারপর আল্লাহর উপর তাওয়াক্কুল করে।”
.
বই : আল্লাহর উপর তাওয়াক্কুল
হাদীস নং : ১০SKU: n/a -
মাক বায়ান
তাবিয়িদের চোখে দুনিয়া
রাতের বেলা আল্লাহ তাআলা আমাদের সবচেয়ে নিকটবর্তী আসমানে অবতরণ করেন। আমাদের ডাকতে থাকেন। তিনি বলতে থাকেন, ‘কেউ আছে কি মাগফিরাত কামনাকারী, আমি তাকে মাফ করব? কেউ কি আছে প্রার্থনাকারী, আমি তার ডাকে সাড়া দেবো? কেউ কি আছে দুআকারী, আমি তার দুআ কবুল করব?’ [মুসলিম : ১৬৫০]
তাঁর সে ডাকে কতজনই-বা সাড়া দেয়। আমরা তো সারাদিন দুনিয়ার জন্যে দৌড়াদৌড়ি করি, আর রাতের বেলা মরার মতো ঘুমাই। অথচ তাবিয়িরা আল্লাহর ভয়ে এতটাই ভীত থাকতেন যে, রাতের বেলা ঘুমোতে পারতেন না ঠিকমতো।
আমির ইবনু কায়েস রহিমাহুল্লাহ-কে তার মেয়ে একদিন জিজ্ঞেস করল, “কী ব্যাপার বাবা! আমি (রাতের বেলা) সবাইকে ঘুমোতে দেখি, কিন্তু আপনাকে কখনও ঘুমোতে দেখি না যে!”
তখন আমির ইবনু কায়েস জবাব দিলেন, “মেয়ে আমার! জাহান্নাম তো তোমার বাবাকে ঘুমোতে দেয় না।” [তাবিয়িদের চোখে দুনিয়া, হাদীস : ০১]SKU: n/a -
প্রকাশন, মাক বায়ান
মুমিনের পাথেয় (কিতাবুয যুহদের অনুবাদ) ১ ও ২
বইয়ের নাম : মুমিনের পাথেয় (কিতাবুয যুহদের অনুবাদ) ১ ও ২
লেখক : ইমাম আবদুল্লাহ ইবনুল মুবারাক রাহিমাহুল্লাহ
অনুবাদক : আবদুস সাত্তার আইনী
তাহকিক : শায়খ আহমাদ ফরিদ
সম্পাদক : মাকতাবাতুল বায়ানসম্পাদনা পরিষদ
পৃষ্ঠা : ৫০৪
সর্বোচ্চ খুচরা মূল্য : ৭৩০ টাকা
বইয়ের ধরণ : আত্মোন্নয়নমূলক, আত্মশুদ্ধিমূলক
বাইণ্ডিং : হার্ডকভারSKU: n/a -
মাক বায়ান
সীরাতুন নবি ২
আরব-বিশ্বের বিখ্যাত হাদীসবিশারদ শাইখ ইবরাহীম আলি রহ.-এর লেখা সীরাত-গ্রন্থটি এখন বাংলায়।
শাইখের এ কিতাবটি আজও আরবের মুহাদ্দিসদের নিকট রেফারেন্স-বুক হিসেবে সমাদৃত।
.
আল-হামদু লিল্লাহ, ইতোমধ্যেই সীরাতটির সবগুলো খণ্ড (১-৪) প্রকাশিত হয়েছে।
কিতাবটির বৈশিষ্ট্য :১) বিশ্বের সর্বাধিক বিশুদ্ধ সীরাত-গ্রন্থের একমাত্র বাংলা অনুবাদ।
২) এটিই একমাত্র সীরাতগ্রন্থ, যেখানে কোনও দুর্বল ঐতিহাসিক তথ্য স্থান পায়নি।
৩) নবি-জীবনের প্রতিটি ঘটনা বিশুদ্ধ হাদীসের ভিত্তিতে এ কিতাবে সংকলন করা হয়েছে।
৪) প্রায় তের শ বছর পূর্বে মূসা ইবনু উকবা রহ. এবং ইবনু ইসহাক রহ. রচিত সীরাতের মতো প্রাচীনতম সীরাতগ্রন্থগুলোর স্টাইল অনুসরণ করেই কিতাবটি রচনা করা হয়েছে।
৫) প্রতিটি টীকায় হাদীসের বিস্তারিত তথ্যসূত্র ও বিভিন্ন মুহাদ্দিসদের চুলচেরা বিশ্লেষণ দেওয়া হয়েছে। আগ্রহী পাঠকগণ চাইলেই মূলসূত্র মিলিয়ে দেখতে পারবেন।
৬) বিভিন্ন পরিস্থিতিতে নবিজি কী ধরনের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন, কোন পন্থা অবলম্বন করেছেন আর কী নির্দেশনা দিয়েছেন আমাদের জন্যে, তার নির্ভরযোগ্য বর্ণনা পাওয়া যাবে এ সীরাতে।
৭) নবিজির জীবনী তাঁর জবানে এবং তাঁর সাহাবিদের জবানের মাধ্যমে জানার সৌভাগ্য লাভ করা যাবে।
8) এই সীরাত পাঠের মাধ্যমে আমরা আমাদের জীবনকে সুন্নাহর আলোয় আলোকিত করার সাহস ও শক্তি পাব ইন শা আল্লাহ।SKU: n/a -
মাক বায়ান
সীরাতুন নবি ৩
হাদীসভিত্তিক সর্বাধিক_বিশুদ্ধ_সীরাতগ্রন্থ “সহীহুস সীরাতিন নাবাবিয়্যাহ “-এর একমাত্র বাংলা অনুবাদ।
.কিতাবটির বৈশিষ্ট্য :
• এটিই একমাত্র সীরাতগ্রন্থ, যেখানে কোনও দুর্বল ঐতিহাসিক তথ্য স্থান পায়নি।• নবি-জীবনের প্রতিটি ঘটনা বিশুদ্ধ হাদীসের ভিত্তিতে এ কিতাবে সংকলন করা হয়েছে।• প্রায় তের শ বছর পূর্বে মূসা ইবনু উকবা এবং ইবনু ইসহাক রচিত সীরাতের মতো প্রাচীনতম সীরাতগ্রন্থগুলোর স্টাইল অনুসরণ করেই কিতাবটি রচনা করা হয়েছে।
• প্রতিটি টীকায় হাদীসের বিস্তারিত তথ্যসূত্র ও বিভিন্ন মুহাদ্দিসদের চুলচেরা বিশ্লেষণ দেওয়া হয়েছে। আগ্রহী পাঠকগণ চাইলেই মূলসূত্র মিলিয়ে দেখতে পারবেন।
• বিভিন্ন পরিস্থিতিতে নবিজি কী ধরনের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন, কোন পন্থা অবলম্বন করেছেন আর কী নির্দেশনা দিয়েছেন আমাদের জন্যে, তার নির্ভরযোগ্য বর্ণনা পাওয়া যাবে এ সীরাতে।
• নবিজির জীবনী তাঁর জবানে এবং তাঁর সাহাবিদের জবানের মাধ্যমে জানার সৌভাগ্য লাভ করা যাবে।
• এই সীরাত পাঠের মাধ্যমে আমরা আমাদের জীবনকে সুন্নাহর আলোয় আলোকিত করার সাহস ও শক্তি পাব ইন শা আল্লাহ।
.
.
লেখক: শাইখ ইবরাহীম আলি রহ.
নিরীক্ষক ও পর্যালোচক : ড. উমার সুলাইমান আশ্কার, ড. হাম্মাম আবদুর রহীম সাঈদ রহ.
অনুবাদক : শাইখ জিয়াউর রহমান মুন্সীSKU: n/a -
মাক বায়ান
সীরাতুন নবি ৪
কেউ যদি আল্লাহকে ভালোবাসতে চায়, আল্লাহর দয়া পেতে চায়, পরকালীন সাফল্য অর্জন করতে চায়—তাকে অবশ্যই নবি মুহাম্মাদ স.-এর আদর্শ আঁকড়ে ধরতে হবে। কেননা আল্লাহ তাআলা বলেন, “(হে মুহাম্মাদ!) তুমি বলে দাও, ‘যদি তোমরা যথার্থই আল্লাহকে ভালোবাসো, তা হলে আমার অনুসরণ করো, আল্লাহ তোমাদের ভালোবাসবেন এবং তোমাদের গোনাহ মাফ করে দেবেন।’” [সূরা আ ল ইমরান : ৩১]
.
কাজেই আল্লাহকে পেতে হলে, অবশ্যই নবিজিকে মেনে চলতে হবে। তাঁর রেখে-যাওয়া সুন্নাহর অনুসরণ করতে হবে। তাঁর আদর্শ বাস্তবায়ন করতে হবে জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে। তবেই কেবল ইহকালীন শান্তি ও পরকালীন নাজাত পাওয়া সম্ভব হবে।
.
বিভিন্ন পরিস্থিতিতে নবিজি কী ধরনের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন, কোন কোন দিক-নির্দেশনা রেখে গেছেন আমাদের জন্যে ইত্যাদি বিষয়ে বিস্তারিত ধারণা রাখতে হবে প্রতিটি মুসলিমকে। আর এই বিষয়ে জানার সবচেয়ে সহজ মাধ্যম হচ্ছে “সীরাত”। তাই এমন একটি বিশুদ্ধ সীরাত-গ্রন্থ আমাদের সামনে থাকা জরুরি, যেখানে কোনো ঐতিহাসিক বর্ণনা বা দুর্বল হাদীস থাকবে না। বরং স্বয়ং নবিজির জবানের মাধ্যমে ও তাঁর সাহাবিদের জবানের আলোকে নবিজির জীবনী বর্ণিত হবে। যেটাকে মুসলিমরা দলিল হিসেবে ব্যবহার করতে পারবে নির্দ্বিধায়। তবে হাদীসের বিপুল ভাণ্ডার থেকে অনুসন্ধান চালিয়ে—বিশুদ্ধ হাদীসগুলো নবিজির জন্ম থেকে মৃত্যু পর্যন্ত সময়ের ক্রমধারা অনুসারে সাজানোটা অত্যন্ত কষ্টসাধ্য কাজ।
.
আল-হামদু লিল্লাহ, সেই কষ্টসাধ্য কাজটিই সম্পন্ন করেছেন আরব-বিশ্বের বিখ্যাত হাদীসবিশারদ শাইখ ইবরাহীম আলি রহ.। তিনি “সহীহুস সীরাতিন নাবাবিয়্যাহ” নামে বিশুদ্ধ হাদীসের বর্ণনার আলোকে নবিজির সীরাত লিখেছেন। যেখানে কোনো দুর্বল হাদীস কিংবা ঐতিহাসিকদের দেওয়া বর্ণনা স্থান দেননি। না, এটি কেবল আমাদের দাবি নয়। বরং সামসময়িক বিখ্যাত মুহাদ্দিসরাও এ কথার স্বীকৃতি দিয়েছেন। শাইখ ড. উমার সুলাইমান আশকার এ সীরাত-গ্রন্থ সম্পর্কে মন্তব্য করতে গিয়ে বলেন, “নবি স.-এর সীরাত-বিষয়ক বর্ণনার বিক্ষিপ্ত ও বিপুল পরিমাণ তথ্যকে এই গবেষক তাঁর এই গ্রন্থে একত্র করতে সক্ষম হয়েছেন। এসব বর্ণনাকে সুবিন্যস্ত বিষয়াবলীতে বিভক্ত করে, এদের মধ্যে আন্তঃসম্পর্ক স্থাপনের ক্ষেত্রেও তিনি সমানভাবে সফল। এই গ্রন্থের সবচেয়ে বড় বিশেষত্ব হলো—এখানে কেবল বিশুদ্ধ বর্ণনাকে স্থান দেওয়া হয়েছে। এ গ্রন্থকে দুর্বল ও জাল হাদীস থেকে দূরে রাখা হয়েছে।” [সীরাতুন নবি : ১/১৮]
.
জর্দান বিশ্ববিদ্যালয়ের হাদীস বিভাগের সাবেক অধ্যাপক শাইখ ড. হুম্মাম আবদুর রহীম এই সীরাত সম্পর্কে মন্তব্য করতে গিয়ে বলেছেন, “অনেক বছরের অক্লান্ত চেষ্টা, সাধনা ও অধ্যবসায়ের পর (হাদীস-ভিত্তিক সীরাত রচনার) এ প্রচেষ্টা সফল হলো। (এ গ্রন্থে) লেখক সীরাতের বিচিত্র তথ্যাবলি জমা করার পাশাপাশি, বিপুল-সংখক হাদীসের মানগত অবস্থান উল্লেখ করেছেন এবং দুর্বোধ্য শব্দগুলোর ব্যাখ্যা দিয়েছেন। এ কথা বলতে পারি, মুহাদ্দিসদের দৃষ্টিকোণ থেকে সীরাত লেখার ক্ষেত্রে এ গ্রন্থটি অচিরেই অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ সূচনাকর্মের মর্যাদা লাভ করবে।” [সীরাতুন নবি : ১/২২]
.
শাইখ ইবরাহীম আলি’র এ কিতাবটি আজও আরবের মুহাদ্দিসদের নিকট রেফারেন্স-বুক হিসেবে সমাদৃত। কিতাবটি পাঠের মাধ্যমে প্রিয় নবি স.-এর জীবনে ঘটে-যাওয়া ঘটনাগুলোর এক নিখাঁদ চিত্র আমাদের সামনে ফুটে উঠবে, যার মধ্যে থাকবে না কোনও সন্দেহ-সংশয়। রাসূল স.-এর নির্ভুল জীবনী জানার মাধ্যমে তাঁর সঙ্গে আমাদের ভালোবাসা আরও সুদৃঢ় হবে।
.
বই : সীরাতুন নবি (সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম)
লেখক : শাইখ ইবরাহীম আলি (রহিমাহুল্লাহ)
অনুবাদক : শাইখ জিয়াউর রহমান মুন্সীSKU: n/a