যে ব্যক্তি সৃষ্টির ভয়ে সৎকাজের আদেশ এবং অসৎকাজে নিষেধকরণ হতে বিরত থাকে, তার মধ্য হতে আনুগত্যের প্রভাব উঠে যায়। ফলে সে যখন নিজ সন্তান কিংবা অধীনস্থদের আদেশ করে, তারা তাকে মান্য করে না।’
‘পাপের দরুন বান্দা যে দরজাই খুলতে যায়, তা বন্ধ পায়। সে যে কাজেই হাত দেয়, তা কঠিন হয়ে যায়। অন্যদিকে যে বান্দা আল্লাহকে ভয় করে, তার বিষয়াদি তিনি সহজ করে দেন। অতএব তাকওয়ার বিপরীত পথে চলা মানে ব্যক্তি নিজের কাজকে কঠিন করে ফেলল।’
এভাবে একের পর এক পাপের ক্ষতি বলে গেছেন ইমাম ইবনুল-কাইয়্যিম (রহ.) তার এই বইতে। পাপ থেকে বেঁচে থাকতে, আত্মাকে যাবতীয় রোগ বালাই থেকে সুস্থ করতে এটি ওষুধের মতো ভূমিকা পালন করবে ইন শা আল্লাহ।
আত্মার এই অপমৃত্যু রোধে নিজেকেই সবার আগে সোচ্চার হতে হয়। নিতে হয় জরুরী ব্যবস্থা। আজ থেকে শত বছর আগে এই বিষয়ে ইমাম ইবনুল-কাইয়্যিম বইটি লেখেন। আত্মার ব্যাধি, রিজিকে সংকীর্ণতা, কাজে কর্মে বরকত হারিয়ে ফেলা, মনের কাঠিন্য, প্রেমরোগ, সমকামিতা, শয়তান এবং তার দোসরদের ঘনিষ্ঠতা—মোট কথা মুমিনের হৃদয়-রাজ্যে আসা কঠিন থেকে কঠিন বিপদ আপদ মূলে যে পাপাচার দায়ী থাকে, সেই পাপের ক্ষতি, পাপের ফাঁদ এবং এ থেকে পরিত্রাণের উপায় সবিস্তারে আলোচনা করা হয়েছে এই বইতে।
There are no reviews yet.