মহানবী হজরত মুহাম্মদ (সা.) রাহমাতুল্লিল আলামীন’ বা সমগ্র বিশ্বজগতের জন্য রহমত স্বরূপ। তিনি শুধুমাত্র মুসলমানদের জন্যই প্রেরিত হননি; তাঁকে (সা.) প্রেরণ করা হয় সমগ্র সৃষ্টিকূলের জন্য। তিনি (সা.) বিশ্ববাসীকে আজীবন যেমন শান্তির বাণী শুনিয়েছেন, বাস্তবেও বিশ্বশান্তি প্রতিষ্ঠা করতে সক্ষম হয়েছিলেন। বিশ্বশান্তি প্রতিষ্ঠায় তাঁর (সা.) অসাধারণ সাফল্যের ক্ষেত্রে ঐতিহাসিক মদিনা সনদের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে। হজরত মুহাম্মদ (সা.) মদিনায় হিজরত করার পর সেখানকার ইহুদী, নাসারা, পৌত্তলিক এবং মুসলমানসহ সকল জাতি-গােষ্ঠীর সমান নাগরিক অধিকার নিশ্চিত করে যে সনদ তৈরি করেছিলেন তা ইতিহাসে প্রথম লিখিত শাসনতন্ত্র হিসেবে স্বীকৃত। বিভিন্ন ধর্ম ও সম্প্রদায়ের লােককে একই সমাজে, একই রাষ্ট্রে কীভাবে মিলেমিশে বসবাস করতে হয় সে শিক্ষা লাভ করা যায় মদিনা সনদ থেকে। এ সনদ পরমতসহিষ্ণুতা ও উদারতার এক প্রকৃষ্ট উদাহরণ। মদিনা সনদ ছাড়াও ইসলামের ইতিহাসে আরও দুটি গুরুত্বপূর্ণ দলিল রয়েছে, এর একটি হুদায়বিয়ার সন্ধি এবং অন্যটি বিদায়হজ্জের ভাষণ। শান্তিপূর্ণ সহাবস্থান, পারস্পরিক নিরাপত্তা, পরিশীলিত জীবনাচারের জন্যে মানবজীবনে এ তিনটি গুরুত্বপূর্ণ দলিলের ইতিবাচক ও অনবদ্য ভূমিকা রয়েছে। রাহমাতুল্লিল আলামীন হজরত মুহাম্মদ (সা.) সর্বজনীন ভ্রাতৃত্ববােধের ভিত্তিতে একটি জাতি, একটি সাম্রাজ্য ও একটি ধর্ম প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। পৃথিবীর ইতিহাসে এটি বিরল দৃষ্টান্ত।
Weight | 0.8 kg |
---|
There are no reviews yet.