আল্লাহ তাআলা তাঁকে শ্রেষ্ঠত্ব দিয়েছেন সমস্ত নবীর ওপর। তাঁকে নবীদের মধ্যে সর্বোত্তম বানিয়েছেন। বানিয়েছেন গোত্রের মধ্যে সর্বোত্তম। তারপর বানিয়েছেন ঘরের মধ্যে সর্বোত্তম। অবশেষে বানিয়েছেন অন্তরের দিক দিয়ে সর্বোত্তম। সবশেষে তাঁকে পাঠিয়েছেন কেয়ামতঅবধি সকল মানুষের নিকট। তাঁকে পাঠিয়েছেন সুসমৃদ্ধ ও সুসংক্ষিপ্ত বাণী দিয়ে। তাঁর জন্যে গনিমত হালাল করেছেন। জমিনকে তাঁর জন্যে মসজিদ বানিয়েছেন। মাটিকে তাঁর জন্যে পবিত্র করেছেন।
আল্লাহ তাঁর উম্মতের কাতারকে ফেরেশতাদের কাতারের সমতুল্য করেছেন। তাঁর মুজিযা হলো—আল্লাহর কালাম। তাঁর রিযিক রেখেছেন তাঁর বর্শার ফলার নিচে। আল্লাহ তাঁর বিরোধীদের লাঞ্ছিত করেছেন। তাঁর হাতে অর্পণ করেছেন জমিনের ধন-ভাÐারের চাবি। তাঁকে দিয়েছেন বারবার পঠিত হয় এমন সাতটি আয়াত। আল্লাহ তাআলা তাঁর দ্বারা নবীদের ধারা সমাপ্ত করেছেন।
কেয়ামতের দিন আদমসন্তানের সর্দার। কবর থেকে উত্থিত হবেন সর্বপ্রথম। প্রথম সুপারিশকারী। প্রথম সুপারিশ কবূলকৃত ব্যক্তি। সর্বপ্রথম জান্নাতের কড়া নাড়বেন। আল্লাহর কাছে সবচেয়ে সম্মানিত ব্যক্তি। তাঁর হাতে থাকবে প্রশংসার পতাকা। নবীগণ থাকবেন তাঁর পতাকাতলে। কেয়ামতের দিন মানুষ একত্রিত হলে তিনি হবেন তাদের মুখপাত্র। তাদের নৈরাশ্যের সময় সুসংবাদদাতা। তাঁর অনুসারী হবে সর্বাধিক। তিনি হবেন সুপারিশের অধিকারী। দাঁড়াবেন আরশের ডানে।
যদি আমাকে জিজ্ঞেস করো তাঁর নামায সম্পর্কে—
নামাযে দাঁড়িয়ে থাকতে থাকতে তাঁর কদম মোবারক ফুলে যেত।
তাঁর যুহদ? এক্ষেত্রে তার কোনো উপমা নেই।
তাঁর দান? তিনি ছিলেন সর্বশ্রেষ্ঠ দানশীল।
তাঁর চরিত্র? মহৎ! অতি মহৎ!
তাঁর ঘাম? সুরভিত মেশকাম্বর!
তাঁর চেহারা? উজ্জ্বল চাঁদ।
তাঁর চোখ? কাজল কালো!
তাঁর চুল? রেশম যেন!
তাঁর পা? সুকোমল, দুই পায়ে দীর্ঘসময় নামাযে দাঁড়িয়ে থাকতেন।
তাঁর কথা? নূর ও মুক্তার মালা।
তাঁর মজলিস? যিকির ও তাসবীহ!
তাঁর নীরবতা? ভাবনা ও ধ্যান-মগ্নতা!
তাঁর সহনশীলতা? অত্যন্ত দয়ালু!
তাঁর বীরত্ব? সাহসী বীর্যবান!
তাঁর নাম? মুহাম্মাদ—চির প্রশংসিত।
যদি আমায় জিজ্ঞেস করো, তোমরা তাঁর সম্পর্কে কী বলো? আগে তোমরা নবীর জন্যে রহমতের দুআ করো এবং তাঁর প্রতি সালাম প্রেরণ করো!
واكرم منك لم ترقط عيني / واجمل منك لم تلد النساء
خلقت مبرأً من كل عيب / كأنك قد خلقت كما تشاء
আমার চোখ কখনো আপনার মতো সম্ভ্রান্ত কাউকে দেখেনি
কোনো মা আপনার চাইতে সুন্দর কোনো সন্তান জন্ম দেয়নি
আপনাকে সৃষ্টি করা হয়েছে সব ধরনের দোষ থেকে মুক্ত করে
যেন আপনি সৃষ্টি হয়েছেন আপনারই ইচ্ছানুসারে।
–

দুনিয়া বিমুখ শত মনীষী
Out of stock
বই : দুনিয়া বিমুখ শত মনীষী।
লেখক : সিদ্দীক আল মিনশাভী।
অনুবাদক : আতাউল্লাহ আবদুল জলীল।
ওয়ালিউল্লাহ আবদুল জলীল।
প্রকাশনী : রাহনুমা প্রকাশনী
₹340.00 ₹460.00
Out of stock
Weight | 0.75 kg |
---|
Based on 0 reviews
Be the first to review “দুনিয়া বিমুখ শত মনীষী”
You may also like…
-
মাক আসলাফ
সালাফের দরবারবিমুখতা
সালাফের দরবারবিমুখতা
আমাদের সত্যনিষ্ঠ মহান মনীষীরা রাজা-বাদশাদের কাছ থেকে সর্বাবস্থায় সর্বোচ্চ দূরত্ব অবলম্বন করতেন। বৈষয়িক জগতের আবিলতা ও অশুচিতায় জড়িয়ে যাওয়ার ভয়ে কীভাবে তারা শাসকগোষ্ঠীর দর্শন, তাদের দরবারে গমনাগমন থেকে নিজে বিরত থাকতেন এবং অন্যদেরকে বিরত থাকতে কড়া তাগিদ দিতেন, কখনো শাসকের সামনে উপস্থিত হয়ে গেলে কীভাবে তাদের অগ্নিঝরা উচ্চকণ্ঠে নিনাদিত হতো সত্যের আপোসহীন দাবি, মজলুমের মোকাদ্দমা, শাসকের বিভিন্ন অন্যায়, অনাচার ও অবিচারের কঠোর প্রতিবাদ—এসব জীবন্ত গল্প ও তাদের বাস্তব অভিজ্ঞতা-নিংড়ানো মুক্তোসদৃশ উপদেশমালায় সমৃদ্ধ হয়েছে এই গ্রন্থ।
গ্রন্থটি হিজরী তৃতীয় শতাব্দী—মানে, আজ থেকে প্রায় ১২০০ বছর আগে লেখা। অথচ আজও তা কত প্রাসঙ্গিক, পাঠক বইটি হাতে নিলেই তা টের পাবেন!
বরং দরবারময় বর্তমানের চেয়ে কোনো যুগে মনে হয় এটা এত প্রাসঙ্গিক ছিল না। আলেম ও ইসলামপন্থীদের জবুথবু অসহায়ত্ব, প্রশাসনের সঙ্গে দৃষ্টিকটু পর্যায়ে মাখামাখি, ন্যায্য ও অন্যায্য বিভিন্ন অজুহাতে শাসকের দরবারে গমন, তাদের অন্তরঙ্গ সান্নিধ্য ও কৃপাদৃষ্টি লাভের প্রাণান্তকর প্রয়াস—সর্বোপরি গণমানুষের প্রতি শাসকের নির্লজ্জ জুলুমবাজি, মুসলমানদের প্রতি নানাবিধ উৎপীড়ন ও অন্যায় আচরণের সামনেও মুখ বুজে নীরব দর্শক হয়ে থাকার লাঞ্ছনাকর দৃশ্য সর্বত্রই বিরাজমান।
এটা দীন ও উম্মাহর সঙ্গে বিশ্বাসঘাকতা। ঈমান ও বিবেকের সঙ্গে প্রতারণা। মহান সালাফের সালেহীনের প্রতি বে-ওফাদারি। আলেমদের ইতিহাস ও মর্যাদার সঙ্গে নেহায়েত অশিষ্টাচারসুলভ ও বেমানান।
সালাফে সালেহীন কীভাবে শাসকের দরবার থেকে বাঁচার প্রাণপণ চেষ্টা করতেন আর তাদের অনুসারী হওয়ার দাবিদার আমরা আজ কীভাবে শাসকের কৃপাদৃষ্টি লাভের কুপ্রতিযোগিতায় লিপ্ত, সেই ফারাক তুলে ধরা হয়েছে বইটিতে।
লেখক—ইমাম আবু বকর মাররুযি রহ. (মৃত্যু: ২৭৫ হি.)
অনুবাদ, সংযোজন ও সম্পাদনা—শাইখ মীযান হারুন
পৃষ্ঠা সংখ্যা—১১২SKU: n/a
There are no reviews yet.