ইমাম আহমাদ ইবনু হাম্বল রাহিমাহুল্লাহর পুত্র সালিহ বলেন, ‘কখনো কখনো আমার বাবাকে দেখতাম, মাটি বা দস্তরখানে অযত্নে পড়ে থাকা রুটির টুকরো কুড়াতেন। পরম যত্নের সঙ্গে তার গায়ে লেগে থাকা ময়লা ঝেড়ে ফেলতেন। এরপর পানিতে ভিজিয়ে লবণ দিয়ে খেতেন। আমি কখনো তাকে আনার, আতা বা অন্য কোনো ফল কিনতে দেখিনি। তবে হ্যাঁ, মাঝেমধ্যে তিনি খেজুর বা আঙুর কিনতেন। তরমুজ কিনে রুটি দিয়ে খেতেন।
.
কখনো রুটির ব্যবস্থা করা হলে এক পাত্রের মধ্যেই ডাল, চর্বি ও খেজুর রেখে খেতেন। তবে তিনি সাধারণত সিরকা দিয়েই রুটি ও রুটি জাতীয় খাবার খেতেন। তার তরকারিতে মরিচ বা রসুন দেওয়া হতো না।’
.
একবার আমির ইসহাক ইবনু ইবরাহিম তার খাদেম নায়সাবুরিকে বলেন, ‘ইমাম আহমাদ ইফতারে সাধারণত কী খান, একটু জেনে আসো। আমি তাকে ইফতারে দাওয়াত করতে চাই এবং তার রুচিসম্মত খাবারের ব্যবস্থা করতে চাই। ইফতারের সময় নায়সাবুরি গিয়ে দেখেন, তার ইফতারের জন্য দুটি রুটি এবং একটি শসার ব্যবস্থা করা হয়েছে। তিনি তৃপ্তিভরে সেই রুটি ও শসা খাচ্ছেন।
.
আমিরকে এই সংবাদ জানানো হলে তিনি বলেন, এই সামান্য খাবার দিয়ে যিনি ইফতার করেন, তিনি কিছুতেই আমাদের দাওয়াত গ্রহণ করবেন না।
There are no reviews yet.