Weight | 1.1 kg |
---|
মীনা বুক হাউস
Compare
মুকাশাফাতুল কুলুব
Availability:
2 in stock
মুকাশাফাতুল কুলুব
₹350.00
2 in stock
2 in stock
₹350.00
2 in stock
CompareWeight | 1.1 kg |
---|
সালাফের দরবারবিমুখতা
আমাদের সত্যনিষ্ঠ মহান মনীষীরা রাজা-বাদশাদের কাছ থেকে সর্বাবস্থায় সর্বোচ্চ দূরত্ব অবলম্বন করতেন। বৈষয়িক জগতের আবিলতা ও অশুচিতায় জড়িয়ে যাওয়ার ভয়ে কীভাবে তারা শাসকগোষ্ঠীর দর্শন, তাদের দরবারে গমনাগমন থেকে নিজে বিরত থাকতেন এবং অন্যদেরকে বিরত থাকতে কড়া তাগিদ দিতেন, কখনো শাসকের সামনে উপস্থিত হয়ে গেলে কীভাবে তাদের অগ্নিঝরা উচ্চকণ্ঠে নিনাদিত হতো সত্যের আপোসহীন দাবি, মজলুমের মোকাদ্দমা, শাসকের বিভিন্ন অন্যায়, অনাচার ও অবিচারের কঠোর প্রতিবাদ—এসব জীবন্ত গল্প ও তাদের বাস্তব অভিজ্ঞতা-নিংড়ানো মুক্তোসদৃশ উপদেশমালায় সমৃদ্ধ হয়েছে এই গ্রন্থ।
গ্রন্থটি হিজরী তৃতীয় শতাব্দী—মানে, আজ থেকে প্রায় ১২০০ বছর আগে লেখা। অথচ আজও তা কত প্রাসঙ্গিক, পাঠক বইটি হাতে নিলেই তা টের পাবেন!
বরং দরবারময় বর্তমানের চেয়ে কোনো যুগে মনে হয় এটা এত প্রাসঙ্গিক ছিল না। আলেম ও ইসলামপন্থীদের জবুথবু অসহায়ত্ব, প্রশাসনের সঙ্গে দৃষ্টিকটু পর্যায়ে মাখামাখি, ন্যায্য ও অন্যায্য বিভিন্ন অজুহাতে শাসকের দরবারে গমন, তাদের অন্তরঙ্গ সান্নিধ্য ও কৃপাদৃষ্টি লাভের প্রাণান্তকর প্রয়াস—সর্বোপরি গণমানুষের প্রতি শাসকের নির্লজ্জ জুলুমবাজি, মুসলমানদের প্রতি নানাবিধ উৎপীড়ন ও অন্যায় আচরণের সামনেও মুখ বুজে নীরব দর্শক হয়ে থাকার লাঞ্ছনাকর দৃশ্য সর্বত্রই বিরাজমান।
এটা দীন ও উম্মাহর সঙ্গে বিশ্বাসঘাকতা। ঈমান ও বিবেকের সঙ্গে প্রতারণা। মহান সালাফের সালেহীনের প্রতি বে-ওফাদারি। আলেমদের ইতিহাস ও মর্যাদার সঙ্গে নেহায়েত অশিষ্টাচারসুলভ ও বেমানান।
সালাফে সালেহীন কীভাবে শাসকের দরবার থেকে বাঁচার প্রাণপণ চেষ্টা করতেন আর তাদের অনুসারী হওয়ার দাবিদার আমরা আজ কীভাবে শাসকের কৃপাদৃষ্টি লাভের কুপ্রতিযোগিতায় লিপ্ত, সেই ফারাক তুলে ধরা হয়েছে বইটিতে।
লেখক—ইমাম আবু বকর মাররুযি রহ. (মৃত্যু: ২৭৫ হি.)
অনুবাদ, সংযোজন ও সম্পাদনা—শাইখ মীযান হারুন
পৃষ্ঠা সংখ্যা—১১২
মনের একটি রোগ হলো, সে নিজেকে মুক্তির দ্বারপ্রান্তে উপনীত মনে করে। সেভাবে, বিভিন্ন যিকির-আযকার ও ইবাদাত-বন্দেগী দিয়ে মুক্তির দরজায় কড়া নাড়বে আর দরজা তার জন্য সুন্দরভাবে খুলে যাবে। অথচ বাস্তবে দেখা যায় অবাধ্যতা আর পাপাচারের মাধ্যমে সে নিজেই মুক্তির দরজাকে বন্ধ করে ফেলার সকল আয়োজন সম্পন্ন করে রাখে।
.
হুসাইন বিন ইয়াহয়া আমাকে জাফর বিন মুহাম্মাদ থেকে বর্ণনা করেছেন, তিনিবলেন, আমি মাসরূক রাহিমাহুল্লাহ-কে বলতে শুনেছি, রাবিয়া আদাওয়ীয়াহ রাহিমাহাল্লাহ একবার সালিহ মিররির মজলিসের পাশ দিয়ে অতিক্রম করছিলেন। সে সময় সালিহ বলছিলেন, ‘যে ব্যক্তি দরজার কড়া অনবরত নাড়াতেই থাকবে আশা করা যায় তার জন্য দরজা খোলা হবে।’
.
এই কথা শুনে রাবিয়া বললেন, ‘দরজা খোলাই থাকে। কিন্তু বান্দা নিজেই তো সেই দরজা থেকে পলায়ন করে।’
.
ভুল পথে পা বাড়িয়ে উদ্দিষ্ট স্থানে পৌঁছার আশা করা যায় না। সুতরাং একজন বান্দা নিজের জন্য কুপ্রবৃত্তির দরজা উন্মুক্ত করে কীভাবে মুক্তির আশা করতে পারে? যে ব্যক্তি আল্লাহ তাআলার অবাধ্যতা থেকে নিজেকে বারণ করতে পারে না তার মুক্তি তো সদূর পরাহত।
.
ইবনু আবিদ দুনয়া রাহিমাহুল্লাহ বলেন, কোন এক জ্ঞানী ব্যক্তি বলেছেন, ‘তোমার ভেতর পঙ্কিলতা থাকলে তুমি মুক্তি পাবে বলে আশা কোরো না।’
.
এই সমস্যার সমাধান বিষয়ে বিশিষ্ট আবেদ সিররি সাকতী রাহিমাহুল্লাহ বলেছেন, এর থেকে প্রতিকারের উপায় হলো, হিদায়াতের পথে চলা, হালাল খাদ্য ভক্ষণ করা এবং পরিপূর্ণ আল্লাহভীতি অর্জন করা।
.
বই : আত্মশুদ্ধি
There are no reviews yet.