“নব্যক্রুসেডের পদধ্বনি”
Maktabatul Hasan -এর এই আয়োজনে কেন আপনি সাড়া দেবেন?
এ এক বিস্ময়কর বাস্তবতা; সভ্যতার তথাকথিত ঠিকাদার ভল্লুক সন্ত্রাসীরা যখন অমানবিক তাণ্ডব চালিয়ে মুসলিম ভূখণ্ডগুলোকে রক্তাক্ত ও ক্ষত-বিক্ষত করে– তখন তা হয়ে যায় বিচ্ছিন্ন ঘটনা। আর মুসলিম মুজাহিদরা যখন পৃথিবীর শান্তি-শৃঙ্খলা ও নিরাপত্তার স্বার্থে মহান আল্লাহ রাব্বুল আলামীনের বিশেষ বিধান কার্যকরে সচেষ্ট হয় তখন সেটাকে অভিহিত করা হয় “মৌলবাদ-সন্ত্রাসবাদ-জঙ্গিবাদ” ইত্যাদি নামে।
একবিংশ শতাব্দীর ধর্মযুদ্ধের রুপ ও উদাহরণে পরিবর্তন এসেছে। ভল্লুক সন্ত্রাসী ব্রেন্টন টারান্ট ক্রাইস্টচার্চে যে ট্রাজেডি ঘটিয়েছিল তা ধর্মযুদ্ধের পরিবর্তিত রূপগুলিরই অন্যতম। যদিওবা এক মমতাময়ী (!) প্রধানমন্ত্রির চাতুর্যপূর্ণ সহমর্মিতা দেখে মুসলমানদের অনেকেই প্রকৃত বাস্তবতা উপলব্ধি থেকে নিজেদেরকে দূরে রেখেছে।
মুসলিম উম্মাহর উপর চলমান ‘সন্ত্রাসী হামলাগুলো’ মুসলিম নিধনে ইহুদি খ্রিস্টানদের যৌথ মহড়ার খন্ডচিত্র মাত্র। একদিকে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার নামে পশ্চিমা শাসকগোষ্ঠী বছরের পর বছর প্রকাশ্যে মুসলমানদের নিধন করছে। আবার এটাকে তারা বৈধতাও দিচ্ছে কথিত শান্তি প্রতিষ্ঠার কথা বলে। অপরদিকে আড়ালের সন্ত্রাসীরা (পশ্চিমাদের ভাষায় অজ্ঞাতরা) মাঠের তৎপরতায় নতুন ও ভিন্ন মাত্রা যোগ করেছে।
নব্যক্রুসেডারদের পদধ্বনি শোনা যাচ্ছে। পৃথিবীর আকাশকে তারা অন্ধকারাচ্ছন্ন করে রেখেছে। তবে ইনশাআল্লাহ— এই অন্ধকার এক সময় কেটে যাবে। সুপ্রভাতের দেখা পাবে পৃথিবীবাসী।
ক্রুসেডার সন্ত্রাসীদের লক্ষ্য-আদর্শ এক ও অভিন্ন, একথা অত্যন্ত দৃঢ়তার সাথেই বলা যায়। তাদের অভিন্ন আদর্শ হল ইসলাম ও মুসলমানদের বিরুদ্ধে আগ্রাসন জারি রেখে নিজেদের কর্তৃত্ববাদ ধরে রাখা। সেইসাথে মুসলিম নিধন করে ইসলামের পুনর্জাগরণ ঠেকানো কিংবা বিলম্বিত করা। কেননা ইসলাম ও মুসলমানদের অগ্রযাত্রা তারা সহ্য করতে পারে নি, পারবেও না। এই সহ্য করতে না পারার জ্বলন ও দহন থেকেই তাদের যতসব ক্রুসেডীয় তৎপরতা।
There are no reviews yet.