কিছু জিনিস আগুনে পুড়ে যায়, কিছু জিনিস বিশুদ্ধ হয়।
.
এই দ্বীন মহান, একমাত্র মহানেরাই একে বহনের ক্ষমতা রাখে। আর পরীক্ষার মাধ্যমেই সাধারণ আর অসাধারণের মধ্যেকার পার্থক্য স্পষ্ট হয়ে ওঠে। পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে তারা মহান হয়ে ওঠেন। হকপথের বৈশিষ্ট্যই পরীক্ষা। এই পরীক্ষা বিভিন্ন মাত্রার হতে পারে। বিভিন্ন ভাবে আসতে পারে। কিন্তু পরীক্ষা আসবেই। নিশ্চয় যে পথে চলতে গেলে বাধা আসে না, যে পথ কণ্টকাকীর্ণ নয়, সে পথ দ্বীন ইসলামের পথ নয়।
.
যুগে যুগে সত্যপথের পথিকেরা সবচেয়ে বেশি যে পরীক্ষাগুলোর মুখোমুখি হয়েছেন তার অন্যতম বন্দিত্ব। কারাগার – জীবিতদের কবর, বিষাদের ঘর, সত্যবাদীদের জন্য অভিজ্ঞতা আর শত্রুদের আনন্দের উৎসস্থল এই কারাগার। অনেকের জন্য এ হল সত্যের পথ থেকে বিচ্যুত হওয়া, দ্বীনকে তুচ্ছ মূল্যে বিকিয়ে দেয়া, বিশ্বাসঘাতকতা, পরাজয় আর ইমানহারা হবার জায়গা।
.
আবার অনেকের জন্য কারাগার হল নবী ইউসুফের আ. পাঠশালা। এমন এক জায়গা যেখানে বান্দা অনুভব করে যুহদ ও ইবাদতের স্বাদ, ইমানের মিষ্টতা, সময়ের বারাকাহ আর আখিরাতের তীব্র কামনা। এমন এক পাঠশালা যেখানে স্বীয় প্রতিপালকের স্মরণে পাথরের মতো শক্ত হৃদয়ও কোমল হয়, প্রাণহীন, আশাহত, কলুষিত, অবাধ্য চোখেও নামে অনুতাপ আর তাওবাহর বৃষ্টি। কারাগার এমন এক পাঠশালা যেখানে মস্তিষ্কে মজুদ করা ‘ইলম হৃদয়ের গভীরে প্রোথিত হয়, ‘ইলম আমলে পরিণত হয়, সত্যের পথে চলার সংকল্প দৃঢ় হয় আর বান্দা অর্জন করে রবের নৈকট্য।
নবী ইউসুফের আ. পাঠশালা
Out of stock
বইঃ নবী ইউসুফের আ. পাঠশালা
লেখক : শাইখ আহমাদ মুসা জিবরিল
প্রকাশনী : Ilmhouse Publication
বিষয় : ইবাদত, আত্মশুদ্ধি ও অনুপ্রেরণা
₹100.00
Out of stock
Weight | 0.35 kg |
---|
Based on 0 reviews
Be the first to review “নবী ইউসুফের আ. পাঠশালা”
You may also like…
-
প্রকাশন, মাক আসলাফ
নবীজির দিনলিপি
স্ত্রীদের সাথে খাবার গ্রহণকালে রাসূল স. অত্যন্ত সরস কথোপকথন চালাতেন। এমনকি তিনি এই কাজকে উৎসাহিত করতেন।
নবীজি ﷺ বলেন, “স্ত্রীর মুখে এক লোকমা খাবার তুলে দেয়াও সাদাকা।”
আয়িশা রা. তার সাথে রাসূল ﷺ এর খাবার গ্রহণের একটা সুন্দর ঘটনা ব্যক্ত করেন,
“আমার মাসিক চলাকালে আল্লাহর রাসূল ﷺ তাঁর সাথে খাবার গ্রহণের জন্য ডাকতেন। তিনি গোশতযুক্ত একটা হাড় নিয়ে আমাকে সেটা থেকে খাওয়ার ওয়াদা করাতেন। আমি কিছুটা খেয়ে বাকি অংশ রেখে দিতাম। তারপর তিনি সেটা তুলে নিতেন এবং আমি যে জায়গা থেকে মুখ লাগিয়ে খেয়েছি তিনিও ঠিক সেই জায়গায় মুখ লাগিয়ে কিছু গোশত খেতেন। এরপর তিনি কখনো কিছু পানি চাইতেন এবং ওয়াদা নিতেন যাতে প্রথমে আমি পান করি। আমি সেটা নিতাম, পান করতাম এবং রেখে দিতাম। তারপর তিনি সেটা নিতেন এবং আমি পাত্রের যেখানে মুখ লাগিয়ে পান করেছি তিনিও সেস্থানে মুখ লাগিয়ে পান করতেন।”
কতই-না প্রেমময় বার্তা এমন স্বামী তাঁর প্রিয়তমা স্ত্রীর কাছে পাঠাতেন! আর কী পরিমাণ আনন্দই-না তিনি তাকে দিতেন! নিঃসন্দেহে এই খাবার শরীরের সাথে মনকেও প্রফুল্লিত করতো!
” নবীজির দিনলিপি ” বই থেকে।
SKU: n/a
There are no reviews yet.