-
বই: অন্তরের আমল (প্রথম খণ্ড)
-
লেখক: মুহাম্মাদ সালেহ আল মুনাজ্জিদ
-
প্রকাশনী: রুহামা পাবলিকেশন
-
বিষয়: ইবাদত, আত্মশুদ্ধি ও অনুপ্রেরণা
-
অনুবাদ: আব্দুল্লাহ ইউসুফ
-
পৃষ্ঠা সংখ্যা: ৪৩২
-
ধরন: হার্ড বাইন্ডিং
8 in stock
₹405.00 ₹540.00
8 in stock
Compare
Weight | 0.75 kg |
---|
চারপাশে ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে অনেক অসংগতি। আপাতদৃষ্টিতে এসব অসংগতি সাধারণ মনে হলেও কখনো কখনো এসব অসংগতি বিরাট ফাটল হয়ে আড়াল করে দেয় সরল সঠিক পথ। এসকল অসংগতির স্বরুপ উন্মোচন করেছেন তরুণ আলেম আবদুল্লাহ আল মাসউদ। একইসাথে বাতলে দেয়া হয়েছে সমাধানও। অসংগতি- Abdullah Al Masud পৃষ্ঠা সংখ্যা: ১৫২
স্ত্রীদের সাথে খাবার গ্রহণকালে রাসূল স. অত্যন্ত সরস কথোপকথন চালাতেন। এমনকি তিনি এই কাজকে উৎসাহিত করতেন।
নবীজি ﷺ বলেন, “স্ত্রীর মুখে এক লোকমা খাবার তুলে দেয়াও সাদাকা।”
আয়িশা রা. তার সাথে রাসূল ﷺ এর খাবার গ্রহণের একটা সুন্দর ঘটনা ব্যক্ত করেন,
“আমার মাসিক চলাকালে আল্লাহর রাসূল ﷺ তাঁর সাথে খাবার গ্রহণের জন্য ডাকতেন। তিনি গোশতযুক্ত একটা হাড় নিয়ে আমাকে সেটা থেকে খাওয়ার ওয়াদা করাতেন। আমি কিছুটা খেয়ে বাকি অংশ রেখে দিতাম। তারপর তিনি সেটা তুলে নিতেন এবং আমি যে জায়গা থেকে মুখ লাগিয়ে খেয়েছি তিনিও ঠিক সেই জায়গায় মুখ লাগিয়ে কিছু গোশত খেতেন। এরপর তিনি কখনো কিছু পানি চাইতেন এবং ওয়াদা নিতেন যাতে প্রথমে আমি পান করি। আমি সেটা নিতাম, পান করতাম এবং রেখে দিতাম। তারপর তিনি সেটা নিতেন এবং আমি পাত্রের যেখানে মুখ লাগিয়ে পান করেছি তিনিও সেস্থানে মুখ লাগিয়ে পান করতেন।”
কতই-না প্রেমময় বার্তা এমন স্বামী তাঁর প্রিয়তমা স্ত্রীর কাছে পাঠাতেন! আর কী পরিমাণ আনন্দই-না তিনি তাকে দিতেন! নিঃসন্দেহে এই খাবার শরীরের সাথে মনকেও প্রফুল্লিত করতো!
” নবীজির দিনলিপি ” বই থেকে।
“দয়া করে ঘুম থেকে জেগে উঠুন। আপনার বাচ্চা আর বাচ্চাদের সামনে ধেয়ে আসা ভয়াবহ বিপদকে উপলব্ধি করুন। এই বিপদাসন্ন সময়ে আপনাদের চাইতে শক্ত হাত তারা আর কোথাও পাবেনা, পেতে পারে না। বিশ্বাস করুন, এই চোরাবালি থেকে তাদের উদ্ধারের জন্যে আজ আপনাদেরকেই দরকার, ভীষণভাবে দরকার।”
মনের একটি রোগ হলো, সে নিজেকে মুক্তির দ্বারপ্রান্তে উপনীত মনে করে। সেভাবে, বিভিন্ন যিকির-আযকার ও ইবাদাত-বন্দেগী দিয়ে মুক্তির দরজায় কড়া নাড়বে আর দরজা তার জন্য সুন্দরভাবে খুলে যাবে। অথচ বাস্তবে দেখা যায় অবাধ্যতা আর পাপাচারের মাধ্যমে সে নিজেই মুক্তির দরজাকে বন্ধ করে ফেলার সকল আয়োজন সম্পন্ন করে রাখে।
.
হুসাইন বিন ইয়াহয়া আমাকে জাফর বিন মুহাম্মাদ থেকে বর্ণনা করেছেন, তিনিবলেন, আমি মাসরূক রাহিমাহুল্লাহ-কে বলতে শুনেছি, রাবিয়া আদাওয়ীয়াহ রাহিমাহাল্লাহ একবার সালিহ মিররির মজলিসের পাশ দিয়ে অতিক্রম করছিলেন। সে সময় সালিহ বলছিলেন, ‘যে ব্যক্তি দরজার কড়া অনবরত নাড়াতেই থাকবে আশা করা যায় তার জন্য দরজা খোলা হবে।’
.
এই কথা শুনে রাবিয়া বললেন, ‘দরজা খোলাই থাকে। কিন্তু বান্দা নিজেই তো সেই দরজা থেকে পলায়ন করে।’
.
ভুল পথে পা বাড়িয়ে উদ্দিষ্ট স্থানে পৌঁছার আশা করা যায় না। সুতরাং একজন বান্দা নিজের জন্য কুপ্রবৃত্তির দরজা উন্মুক্ত করে কীভাবে মুক্তির আশা করতে পারে? যে ব্যক্তি আল্লাহ তাআলার অবাধ্যতা থেকে নিজেকে বারণ করতে পারে না তার মুক্তি তো সদূর পরাহত।
.
ইবনু আবিদ দুনয়া রাহিমাহুল্লাহ বলেন, কোন এক জ্ঞানী ব্যক্তি বলেছেন, ‘তোমার ভেতর পঙ্কিলতা থাকলে তুমি মুক্তি পাবে বলে আশা কোরো না।’
.
এই সমস্যার সমাধান বিষয়ে বিশিষ্ট আবেদ সিররি সাকতী রাহিমাহুল্লাহ বলেছেন, এর থেকে প্রতিকারের উপায় হলো, হিদায়াতের পথে চলা, হালাল খাদ্য ভক্ষণ করা এবং পরিপূর্ণ আল্লাহভীতি অর্জন করা।
.
বই : আত্মশুদ্ধি
There are no reviews yet.