-
প্রকাশন, মাক আসলাফ
নবীজির দিনলিপি
স্ত্রীদের সাথে খাবার গ্রহণকালে রাসূল স. অত্যন্ত সরস কথোপকথন চালাতেন। এমনকি তিনি এই কাজকে উৎসাহিত করতেন।
নবীজি ﷺ বলেন, “স্ত্রীর মুখে এক লোকমা খাবার তুলে দেয়াও সাদাকা।”
আয়িশা রা. তার সাথে রাসূল ﷺ এর খাবার গ্রহণের একটা সুন্দর ঘটনা ব্যক্ত করেন,
“আমার মাসিক চলাকালে আল্লাহর রাসূল ﷺ তাঁর সাথে খাবার গ্রহণের জন্য ডাকতেন। তিনি গোশতযুক্ত একটা হাড় নিয়ে আমাকে সেটা থেকে খাওয়ার ওয়াদা করাতেন। আমি কিছুটা খেয়ে বাকি অংশ রেখে দিতাম। তারপর তিনি সেটা তুলে নিতেন এবং আমি যে জায়গা থেকে মুখ লাগিয়ে খেয়েছি তিনিও ঠিক সেই জায়গায় মুখ লাগিয়ে কিছু গোশত খেতেন। এরপর তিনি কখনো কিছু পানি চাইতেন এবং ওয়াদা নিতেন যাতে প্রথমে আমি পান করি। আমি সেটা নিতাম, পান করতাম এবং রেখে দিতাম। তারপর তিনি সেটা নিতেন এবং আমি পাত্রের যেখানে মুখ লাগিয়ে পান করেছি তিনিও সেস্থানে মুখ লাগিয়ে পান করতেন।”
কতই-না প্রেমময় বার্তা এমন স্বামী তাঁর প্রিয়তমা স্ত্রীর কাছে পাঠাতেন! আর কী পরিমাণ আনন্দই-না তিনি তাকে দিতেন! নিঃসন্দেহে এই খাবার শরীরের সাথে মনকেও প্রফুল্লিত করতো!
” নবীজির দিনলিপি ” বই থেকে।
SKU: n/a
নববী চিকিৎসার একটি পদ্ধতি হল রুকইয়াহ। অর্থাৎ, কুরআনের আয়াত, হাদীসে বর্ণিত দোআ এবং সহজ কিছু পদ্ধতি অনুসরণ করে বিভিন্ন রোগব্যাধি ও সমস্যা সমাধান বা চিকিৎসা করা। যার মধ্যে রয়েছে বদনজর, যাদুটোনা, জিন-পরীর আছর, ওয়াসওয়াসাসহ অন্যান্য শারীরিক-মানসিক রোগ ইত্যাদি।
বদনজর, যাদুটোনা, জীনের আছর এমন ভিন্ন মাত্রিক সমস্যা, যার সমাধান সাধারণত জাগতিক চিকিৎসার মাধ্যমে সমাধান করা সম্ভব হয় না। ভুক্তভোগী ডাক্তারের শরণাপন্ন হলেও তার রোগ ধরা পড়ে না। ডাক্তারি পরীক্ষায় সম্পূর্ণ সুস্থ দেখালেও বাস্তবে ভুক্তভোগী থাকে অসুস্থ। ফলে তাকে নানানভাবে হয়রানির শিকার হতে হয়। বিভিন্ন ডাক্তারের কাছে দৌড়াদৌড়ি করে প্রচুর সময়-শ্রম নষ্ট করতে হয়। আর কবিরাজদের কাছে যাবার কথা বলবেন? তখন তো দুনিয়া-আখিরাত উভয়টাই হারাতে হয়। অথচ সমস্যার শুরু থেকে নিয়মিত রুকইয়াহ করলে আল্লাহর ইচ্ছায় অল্প ক’দিনেই আরোগ্য লাভ করা যায়।
Weight | 0.5 kg |
---|
#শিরকি_তদবির বনাম #রুকইয়াহ
আমরা একটু সমস্যায় পরলেই দৌড় দেই পীর ফকির দরবেশ এদের
কাছে,তাবিজ পানি পোড়া ইত্যাদি আনতে, একটুও চিন্তা ভাবনা করি না কাজ টা কি করা উচিৎ? বা কাজ টা কি ঠিক ভাবে করা হলো?
জীবনে কত সমস্যাই না থাকে,অসুখবিসুখ থাকে,বিজনেসে লস থাকে, দাম্পত্যে কলহ থাকে,পড়াশুনায় খারাপ থাকে,বিয়ে হয়না ইত্যাদি।
আচ্ছা সব সময় কি সব জাদুর কারনে হয়ে থাকে ? বা বদনজরের কারনে?
নাকি নিজের গুনাহের ফসল বা আল্লাহর তরফ থেকে পরিক্ষা?
যাই হোক,এই ব্যাপার টা যাচাই না করেই আমরা সব ধরনের সমস্যার সমাধানের জন্য ছুটি তাবিজ আনতে। অনেক সময় আমাদের ভালর জন্যই আল্লাহ কোন কষ্ট দেন। যেমন ধরেন এক মহিলার পর পর ৪ বার গর্ভেই সন্তান মারা গেলো, মারা যাওয়ার কারণ হলো আল্লাহ তার দুয়া কবুল করেছেন,তার দুয়া কি তবে সন্তান টা মেরে ফেলার জন্য ছিল? অবশ্যই এমন দুয়া কোন মা করবেন না। মায়ের দুয়া টা ছিল আল্লাহ আমাকে নেক ও সুস্থ সন্তান দেন। হয়ত গর্ভের সে সন্তান নেক বা সুস্থ না থাকার কারনেই আল্লাহ নিয়ে গেলেন।তবে এটা আমাদের ভালর জন্য নয় কি?
এই বিষয় টা না ভেবে আমরা ভাবতে থাকি কেউ জাদু করেছে। ব্যাস দৌড় দেই পীর হুজুরের কাছে তাবিজ আনতে …
তবে এটাও ঠিক,আমাদের সব সমস্যাই তাক্বদিরের লিখন না বা গুনাহের ফসল না,যেহেতু জাদু সত্য,বদ নজর সত্য, তাই জীবনের কিছু সমস্যা কারো বদ নজরের কারনে বা জাদুর কারনেও হতে পারে।
সেগুলোর লক্ষণ ও ভিন্ন।
এমন বিপদ থেকে উদ্ধার পেতে আমরা যখন ভুল ভাবে চিকিৎসা নেই তখন আমাদের দ্বারা আমাদের অজান্তে বা জান্তেই শিরক হয়ে যায় অনেক সহজেই। বিপদ মুক্ত হয়ে আমরা তা অনুধাবন ও করিনা।
আল্লাহ মাফ করুন।
আমরা তাবিজের সাথে খুব জড়িত,কিন্তু রুকইয়াহ কি তা বলতে গেলে জানিইনা।
আমি আমার ভাষায় বলবো রুকইয়াহ হচ্ছে তাবিজের বাপ!
তাবিজে শিরক টা মিশে যায় খুব সহজে।
কিন্তু রুকইয়াহ? রুকইয়াহ তে আল্লাহ কালাম ও রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের দুয়া ছাড়া আর কিছু নেই!
জাদু টোনা তো করাই হয় জ্বীন দের সাহায্যে,আর ভন্ড পীর হুজুর এইসব জাদু ছুটায় ও জ্বীন দের সাহায্যে,শিরক এর মাধ্যমে।
আর রুকইয়াহ হচ্ছে আল্লাহর কালাম সাথে নিয়ে জ্বীন ও শিরকের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করা। কে বেশি শক্তিশালী?
আল্লাহর কালাম নাকি আল্লাহর এক জাহান্নামী সৃষ্টি?
অবশ্যই রুকইয়াহ।
আলহামদুলিল্লাহ্ দেশের মানুষ রুকইয়াহ সাপোর্ট গ্রুপ – Ruqyah Support BD গ্রুপের মাধ্যমে এখন রুকইয়াহ কি তা চিনে,এবং অনেকে শিরকের মাধ্যমে চিকিৎসা নেওয়া বাদ দিয়ে এখন রুকইয়াহর মাধ্যমে চিকিৎসা নিচ্ছে আলহামদুলিল্লাহ্।
দেশে হাজার হাজার ভুয়া আমল, শিরকি চিকিৎসার বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ালো এবার এই রুকইয়াহ কিতাব টি। আমি খুব আশাবাদী, ইন শা আল্লাহ এই কিতাবের মাধ্যমে মানুষ সঠিক চিকিৎসা টা খুজে পাবেন।
এখানে শরিয়ত সম্মত ঝাড়ফুঁক, জাদু টোনা,জ্বীন, বদ নজর ইত্যাদি সম্পর্কে জানতে পারবেন। আর পাবেন এইসব থেকে মুক্তির উপায় গুলো, কুরআনের আয়াত, দুয়া ও নিয়ম গুলো। যে চিকিৎসায় রয়েছে আল্লাহর সন্তুষ্টি ও শিরকমুক্ত।
আমার অনুরোধ থাকবে প্রতিটা মানুষ যেন নিজের কালেকশনে রাখেন এই কিতাব। এবং যাদের মাঝে পীরের কাছে আনাগোনা, তাবিজ ইত্যাদি দেখেন তাদের কে হাদিয়া দিবেন।
Based on 0 reviews
Be the first to review “রুকইয়াহ”
You may also like…
-
মাক আসলাফ
সালাফের দরবারবিমুখতা
সালাফের দরবারবিমুখতা
আমাদের সত্যনিষ্ঠ মহান মনীষীরা রাজা-বাদশাদের কাছ থেকে সর্বাবস্থায় সর্বোচ্চ দূরত্ব অবলম্বন করতেন। বৈষয়িক জগতের আবিলতা ও অশুচিতায় জড়িয়ে যাওয়ার ভয়ে কীভাবে তারা শাসকগোষ্ঠীর দর্শন, তাদের দরবারে গমনাগমন থেকে নিজে বিরত থাকতেন এবং অন্যদেরকে বিরত থাকতে কড়া তাগিদ দিতেন, কখনো শাসকের সামনে উপস্থিত হয়ে গেলে কীভাবে তাদের অগ্নিঝরা উচ্চকণ্ঠে নিনাদিত হতো সত্যের আপোসহীন দাবি, মজলুমের মোকাদ্দমা, শাসকের বিভিন্ন অন্যায়, অনাচার ও অবিচারের কঠোর প্রতিবাদ—এসব জীবন্ত গল্প ও তাদের বাস্তব অভিজ্ঞতা-নিংড়ানো মুক্তোসদৃশ উপদেশমালায় সমৃদ্ধ হয়েছে এই গ্রন্থ।
গ্রন্থটি হিজরী তৃতীয় শতাব্দী—মানে, আজ থেকে প্রায় ১২০০ বছর আগে লেখা। অথচ আজও তা কত প্রাসঙ্গিক, পাঠক বইটি হাতে নিলেই তা টের পাবেন!
বরং দরবারময় বর্তমানের চেয়ে কোনো যুগে মনে হয় এটা এত প্রাসঙ্গিক ছিল না। আলেম ও ইসলামপন্থীদের জবুথবু অসহায়ত্ব, প্রশাসনের সঙ্গে দৃষ্টিকটু পর্যায়ে মাখামাখি, ন্যায্য ও অন্যায্য বিভিন্ন অজুহাতে শাসকের দরবারে গমন, তাদের অন্তরঙ্গ সান্নিধ্য ও কৃপাদৃষ্টি লাভের প্রাণান্তকর প্রয়াস—সর্বোপরি গণমানুষের প্রতি শাসকের নির্লজ্জ জুলুমবাজি, মুসলমানদের প্রতি নানাবিধ উৎপীড়ন ও অন্যায় আচরণের সামনেও মুখ বুজে নীরব দর্শক হয়ে থাকার লাঞ্ছনাকর দৃশ্য সর্বত্রই বিরাজমান।
এটা দীন ও উম্মাহর সঙ্গে বিশ্বাসঘাকতা। ঈমান ও বিবেকের সঙ্গে প্রতারণা। মহান সালাফের সালেহীনের প্রতি বে-ওফাদারি। আলেমদের ইতিহাস ও মর্যাদার সঙ্গে নেহায়েত অশিষ্টাচারসুলভ ও বেমানান।
সালাফে সালেহীন কীভাবে শাসকের দরবার থেকে বাঁচার প্রাণপণ চেষ্টা করতেন আর তাদের অনুসারী হওয়ার দাবিদার আমরা আজ কীভাবে শাসকের কৃপাদৃষ্টি লাভের কুপ্রতিযোগিতায় লিপ্ত, সেই ফারাক তুলে ধরা হয়েছে বইটিতে।
লেখক—ইমাম আবু বকর মাররুযি রহ. (মৃত্যু: ২৭৫ হি.)
অনুবাদ, সংযোজন ও সম্পাদনা—শাইখ মীযান হারুন
পৃষ্ঠা সংখ্যা—১১২SKU: n/a -
প্রকাশন, মাক আসলাফ
নবীজির দিনলিপি
স্ত্রীদের সাথে খাবার গ্রহণকালে রাসূল স. অত্যন্ত সরস কথোপকথন চালাতেন। এমনকি তিনি এই কাজকে উৎসাহিত করতেন।
নবীজি ﷺ বলেন, “স্ত্রীর মুখে এক লোকমা খাবার তুলে দেয়াও সাদাকা।”
আয়িশা রা. তার সাথে রাসূল ﷺ এর খাবার গ্রহণের একটা সুন্দর ঘটনা ব্যক্ত করেন,
“আমার মাসিক চলাকালে আল্লাহর রাসূল ﷺ তাঁর সাথে খাবার গ্রহণের জন্য ডাকতেন। তিনি গোশতযুক্ত একটা হাড় নিয়ে আমাকে সেটা থেকে খাওয়ার ওয়াদা করাতেন। আমি কিছুটা খেয়ে বাকি অংশ রেখে দিতাম। তারপর তিনি সেটা তুলে নিতেন এবং আমি যে জায়গা থেকে মুখ লাগিয়ে খেয়েছি তিনিও ঠিক সেই জায়গায় মুখ লাগিয়ে কিছু গোশত খেতেন। এরপর তিনি কখনো কিছু পানি চাইতেন এবং ওয়াদা নিতেন যাতে প্রথমে আমি পান করি। আমি সেটা নিতাম, পান করতাম এবং রেখে দিতাম। তারপর তিনি সেটা নিতেন এবং আমি পাত্রের যেখানে মুখ লাগিয়ে পান করেছি তিনিও সেস্থানে মুখ লাগিয়ে পান করতেন।”
কতই-না প্রেমময় বার্তা এমন স্বামী তাঁর প্রিয়তমা স্ত্রীর কাছে পাঠাতেন! আর কী পরিমাণ আনন্দই-না তিনি তাকে দিতেন! নিঃসন্দেহে এই খাবার শরীরের সাথে মনকেও প্রফুল্লিত করতো!
” নবীজির দিনলিপি ” বই থেকে।
SKU: n/a
There are no reviews yet.