রাসুলে আকরাম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের সাহচর্যধন্য সাহাবীগণ হলেন সৃষ্টির ইতিহাসে সর্বোত্তম মানব। বিশ্বব্যাপী ইসলামকে প্রতিষ্ঠিত করতে তারা যে বিরাট ত্যাগ স্বীকার করেছেন, ধর্মের জন্য জীবনোৎসর্গে এবং রাসুলের প্রতি আনুগত্যে যে পরাকাষ্ঠা দেখিয়েছেন, মানুষের কাছে ইসলামের দাওয়াত পৌঁছে দিতে যে ভূমিকা পালন করেছেন, তার নজির পৃথিবীর অন্যকোনো জাতি বা ধর্মের ইতিহাসে নেই। কিন্তু দুঃখের বিষয় হলো, যাদের ত্যাগ-তিতিক্ষায় এবং পরিশ্রম-সাধনায় বিশ্বমানবতা হেদায়েতের আলো পেয়েছিল, ইসলামের ডাক জাবালে নুর থেকে হিমালয়ের পর্বতশৃঙ্গ পর্যন্ত পৌঁছেছিল, সেই মহামানবরাই আজ চতুর্মুখী আক্রমণের শিকার। অথচ একমাত্র তারাই ‘রাদিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুম’-এর সনদ লাভ করেছিলেন।
শহিদ মাওলানা জিয়াউর রহমান ফারুকী ছিলেন নবী ও সাহাবা-প্রেমিক একজন কর্মবীর পুরুষ। নবী-সাহাবা সম্পর্কে কেউ কোনো বিরূপ মন্তব্য করলে তিনি প্রতিবাদে ফেটে পড়তেন, বয়ান ও লেখনীর মাধ্যমে যুবসমাজকে জাগিয়ে তুলতেন। ‘শানে সাহাবা’ মূলত তার বক্তৃতা সংকলন থেকে চয়নকৃত সাহাবা সংক্রান্ত আলোচনার সহজ-সাবলীল অনুবাদ। এতে চার খলিফা এবং হযরত মুয়াবিয়া রা.-এর দীনের জন্য ত্যাগ ও কুরবানি, তাদের মর্যাদা ও শ্রেষ্ঠত্ব ঐতিহাসিক বিবরণের আলোকে স্পষ্ট করা হয়েছে। পাশাপাশি সাহাবায়েকেরামের বহু ঈমানদীপ্ত ঘটনা, রাসুলের সাথে তাদের ভালোবাসা, দীন নিয়ে তাদের বিশ্বময় ছড়িয়ে পড়াসহ বিভিন্ন বিষয়ের আলোচনা ফুটে উঠেছে। উসমান রা.-এর হত্যাকারীদের উত্তরসূরি কারা এবং এই হত্যাকাণ্ডকে কেন্দ্র করে যারা হযরত আলী রা. ও হযরত মুয়াবিয়া রা.-এর মাঝে ভুল বোঝাবুঝি সৃষ্টি করেছে তাদের মুখোশ উন্মোচন করা হয়েছে। শিয়াদের আসল চেহারা কী, তারা সাহাবাদের সম্পর্কে কী আকিদা পোষণ করে এবং সাহাবায়েকেরাম সম্পর্কে তারা কী কী প্রোপাগান্ডা ছড়িয়েছে, কাদের অপপ্রচারে প্রভাবিত হয়ে মুসলমানরা হযরত মুয়াবিয়া রা.-এর মতো মহান সাহাবীকে ভুল বুঝছে, হযরত হোসাইন রা.-এর হত্যাকারী কারা? এসব বিষয়ে এই গ্রন্থে বিস্তারিত বর্ণনা রয়েছে। ‘শানে সাহাবা’ দ্বিধান্বিত পাঠককে প্রকৃত ইতিহাস সম্পর্কে অবগত করবে এবং সঠিক সিদ্ধান্তে পৌঁছতে সাহায্য করবে বলে আমরা আশা রাখি।
There are no reviews yet.