শাতিম জিনের পরিণতি…!
সিরাত ঘাঁটলে দেখা যায়, সাহাবায়ে কেরাম কোনো শাতিমে রাসুলকে জমিনের উপর সহ্য করতে পারতেন না; খতম করে জমিন পাক করতেন। তদ্রুপ ইমানদার জিনেরাও তাদের মধ্যে কোনো শাতিমে রাসুলের অস্তিত্ব সহ্য করতে পারত না; খতম করে ছাড়ত। বস্তুত, শাতিমে রাসুল, চাই সে ইনসান হোক বা জিন; আল্লাহর জমিনে বেঁচে থাকার অধিকার নেই!
জিনদের কেউ কলিজার টুকরা রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের অবমাননা করলে, সেই অভিশপ্ত জিনকে ইমানদার জিনেরা খতম করে ছাড়ত! পরে তারা রাসুল সাল্লালাহু আলাইহিওয়া সাল্লামকে এ বিষয়ে অবহিত করত। শুনে তিনি খুশি হতেন। এটা সমর্থন করতেন।
হিজরতের পূর্বে, একদিন মক্কার জাবালে আবু কুবাইস পাহাড়ের উপর একজন অদৃশ্য চিৎকারকারী চিৎকার করে একটি কবিতা আবৃত্তি করল। যে কবিতায় রাসুলের অবমাননার পাশাপাশি মক্কার কাফেরদেরকে রাসুলের বিরুদ্ধে উস্কানিমূলক কথা রয়েছে।
আবদুল্লাহ ইবনে আব্বাস রা. বলেন, ‘আবৃত্তিকৃত কবিতাটি এতই প্রসিদ্ধি লাভ করল যে, মক্কাবাসীরা তা মুখে মুখে ঝপ করতে লাগল! রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বললেন, ‘এটি হলো শয়তান। তার নাম মিসআর। মানুষদের সাথে প্রতিমার ব্যাপারে কথা বলে। অবশ্যই আল্লাহ তাকে লাঞ্চিত করবেন।”
রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ও সাহাবায়ে কেরাম মাত্র তিনদিন অপেক্ষা করলেন। এরপরই একদিন আচানক শুনতে পেলেন যে, জাবালে আবু কুবাইসের উপর থেকে আরেকটি অদৃশ্য ব্যক্তি আওয়াজ করে কবিতা আবৃত্তি করছে—
তিনদিনের মধ্যে মিসআরের ভবলীলা সাঙ্গ করে নিলাম আমরা,
শাশ্বত সত্যের করেছে সে অবমাননা, প্রচলন ঘঠিয়েছে নোংরা।
একেবারের জন্যে চুপ করিয়ে দিলো তাকে মোদের নাঙা তলোয়ার,
সে মানহানি করেছে মোদের পবিত্র নবির; যিনি টুকরা কলিজার।
কবিতাটি শুনে রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বললেন, ‘এ হলো জিনদের একজন ব্যক্তি। তার নাম সামহাজ। সে আমার ওপর ইমান এনেছে। আমি তাঁর নাম পালটিয়ে আবদুল্লাহ রেখেছি। সে আমাকে বলেছে যে, সে তিনদিন ধরে মিসআরকে খোঁজাখুঁজি করেছে। এরপর ধরে হত্যা করেছে। কথাটি শুনে হজরত আলি রা. বললেন, ‘আল্লাহ তাকে উত্তম বদলা দান করুন হে আল্লাহর রাসুল!”
There are no reviews yet.