সেই উত্তাল সময়ের কথা মনে পড়ে? আল্লাহ, নবী, রাসূল (সাঃ) কে নিয়ে ব্লগে, ফেইসবুকে নাস্তিকদের কদাকার, কুৎসিত, অসভ্য সব মিথ্যাচার তখন চারদিকে। দেশটাও অশান্ত।
তারা লিখতো আর আমাদের বলতো, – ‘মোল্লাগন! পারলে লেখার বিরুদ্ধে লিখো। কলমের বিরুদ্ধে কলম ধরো। যুক্তির বিরুদ্ধে আনো যুক্তি….’
তাদের অসভ্যতা আর নোংরামি দেখে বুকটা ফেঁটে যেতো। আমাদের ধর্ম আমাদের কাছে প্রাণের চেয়েও প্রিয়। এই ধর্ম নিয়ে কটুক্তি সহ্য হয়? সহ্য হয়নি কারো। আমাদেরই মধ্য থেকে ‘আরিফ আজাদ’ নামের একজন এগিয়ে এলেন। এর আগে অবশ্য অনেকেই অনেকভাবে এগিয়ে এসেছেন। তবে, আরিফ আজাদ যেন তাদের সামনে ছুড়ে দিলেন মরণঘাতী এক বোমা। নিয়ম করে লিখতে লাগলেন সেই নাস্তিক্যবাদীদের মিথ্যাচারের বিরুদ্ধে। যুক্তির পরতে যুক্তি। তথ্যের পরতে তথ্য। মিথ্যার আবরণ সরিয়ে আরিফ আজাদ যেন নির্মাণ করে চলেছেন বিশ্বাসের এই সুউচ্চ মিনার।
রচিত হয়ে গেলো ‘প্যারাডক্সিক্যাল সাজিদ’। এরপর? এরপর বাকিটা ইতিহাস। এই ইতিহাস বিজয়ের। এই ইতিহাস মিথ্যার বিরুদ্ধে সত্যের জয়ী হবার ইতিহাস। আজ চারদিকে বিশ্বাসীদের ফল্গুধারা। চারিদিকে আজ অসংখ্য, অজস্র সাজিদ জেগে উঠেছে। এ যেন বাংলার বুকে ইসলামী ‘বাংলা বসন্ত’।
‘প্যারাডক্সিক্যাল সাজিদ’ প্রকাশের পর নাস্তিকপাড়ায় যেন নেমে এসেছে অমানিশার অন্ধকার। কী করেনি তারা? কী বাদ রেখেছিলো? লেখককে ব্যক্তিগত আক্রমণ, তাঁর বইয়ের ফেইক পিডিএফ, ফেইক এপ্স, ইউটিউব ভিডিও করে তাকে গালাগালি, জঙ্গী, ইডিয়ট সহ নানান রকম কুৎসা তারা রটিয়েছে। কিন্তু সাজিদ এগিয়ে গেছে তার নিজস্ব গতিতে। সত্য যেমন এগিয়ে চলে তার নিজস্ব পথে, সেরকম।
প্রতিশ্রুতিশীল লেখক আরিফ আজাদ এবারও নতুন আরেকটি বই নিয়ে আমাদের সামনে হাজির হয়েছেন এই বইমেলায়। বইটির নাম- ‘আরজ আলী সমীপে’। আরজ আলী হলেন বাংলা নাস্তিকদের পুরোধা। প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষাবিহীন এই লোক নিজেকে স্বশিক্ষিত হিসেবে দাবি করতেন। তিনি নাস্তিকতার পক্ষে একটি বই লিখেছিলেন। বইটার নাম ছিলো – ‘সত্যের সন্ধান’। সেই বইতে ধর্ম, আল্লাহ, আত্মা, পরকাল ইত্যাদি বিষয় নিয়ে তিনি সন্দেহ সৃষ্টিকারী কিছু প্রশ্ন উপস্থাপন করেছেন। লেখক আরিফ আজাদ উনার ‘আরজ আলী সমীপে’ বইতে সেসমস্ত যুক্তি, প্রশ্নগুলোকে ধরে ধরে জবাব দেওয়ার চেষ্টা করেছেন।
এই বইটিও প্রকাশের আগে বাংলা নাস্তিক সমাজে ‘চুলকানির’ কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে ইতোমধ্যে।
Md Inzamamul Haque –
২০১৭ সাল। বাংলাদেশের বই বিপ্লবের একটি সোনালী অধ্যায় আর নাস্তিকদের কালো অধ্যায়ের সূচনা। একের পরে এক নাস্তিকদের বিরুদ্ধে লেখা অতুলনীয় বইগুলো গুড়িয়ে দিচ্ছিল তাদের মজবুত, অভেদ্য, সুউচ্চ দুর্গ। কাজ টা খুব ভালই হচ্ছিল।
কিন্তু লেবু বেশি কচলালে তিতা হয়ে যায়। এখানে সেটাই হতে চলছিল। নাস্তিক , ইসলামবিদ্বেষীদের জবাব দেওয়াটাই জীবনের মূল উদ্দেশ্য ও ঈমানের একমাত্র শর্ত মনে করছিল বেশির ভাগ ইসলাম প্রেমী মানুষ।
ঠিক এই সময়ই এমন একটি বই এর আবির্ভাব ঘটলো যা মানুষের মন থেকে সংশয়বাদীতা, নাস্তিকতা তো দূর করতে সাহায্য করলোই, পাশাপাশি উপহার দিলো অন্তর প্রশান্তি কারী অনুভূতি, পাঠক কে ভাবালো, পাঠক কে কাঁদাল , সঙ্গে তার লেখনীর মাধ্যমে দিলো ঈমান বাড়ানোর টনিক।
বই টি হলো ‘উল্টো নির্ণয় ‘।
বই তে তোয়াহা ভাই , ‘প্রিয় লেজ’ অধ্যায়ে দেখিয়েছেন কিভাবে দুনিয়াবী শিক্ষার মাধ্যমেও আমরা খুঁজে পেতে পারি আল্লাহর অসীম জ্ঞান ও রহমতের নিদর্শন।
‘ইজাজুল কুরআন’, অধ্যায় এ দেখিয়েছেন কোরআনের বিস্ময়কর মুজিজা।
‘মধ্যবিত্ত পাথর পিতা’ এই প্রবন্ধ আপনাকে বাধ্য করবে ভাবতে, কাঁদতে।
‘ছোট্ট একটা কাজ’ , অধ্যায়ে পাবেন উদারতা, পরোপকারিতার পাঠ।
আসলে এই বইয়ের গুরুত্ব বোঝাতে গেলে প্রতিটি অধ্যায় ই ধরে ধরে বলা দরকার । প্রত্যেকটা বইপ্রেমী মানুষের সংগ্রহে রাখার মত একটি বই।
বিখ্যাত লেখক আরিফ আজাদের এই বই সম্পর্কে মতামত দিয়ে রিভিউ শেষ করছি।”উল্টো নির্ণয় বইটা আপনাকে উল্টো করে সত্যকে নির্ণয় করে দেখাবে যে সত্য কতটা সহজাত আর সুন্দর হয়। বইটি পড়তে গিয়ে আমার মনে হয়েছে এই কথাগুলো আমার, আমার প্রশ্ন, আমার জিজ্ঞাসা। যুগের চ্যালেঞ্জের সময়ে এটি বাংলা ভাষায় একটি অনন্য সংযোজন। মোহাম্মদ তোয়াহা আকবর একজন জিনিয়াস মানুষ। ‘ উল্টো নির্ণয়’ উনার একটি জিনিয়াস কাজ।আল্লাহ উনাকে কবুল করুন।
বইটি বাংলাদেশের থেকে দ্বিগুন এর ও বেশি ছাড়ে পেতে যোগাযোগ করুন লেখালেখি( http://lekhalekhi.in ) ওয়েবসাইটে।
নাম- উল্টো নির্ণয়
লেখক- মোহাম্মদ তোয়াহা আকবর
প্রকাশনী- পরিপূরক
পৃষ্ঠা- 240
পেপারব্যাক ভার্সন
মুদ্রিত মূল্য- 300
লেখালেখি website এ মূল্য- 200
শীঘ্রই অর্ডার করুন, স্টক সীমিত।
Md Inzamamul Haque –