নাস্তিকতা
Showing all 20 results
-
-
আরিফ আজাদ, গার্ডিয়ান পাবলিকেশন্স, প্রকাশন, লেখক
প্যারাডক্সিক্যাল সাজিদ
বর্তমান যুগ হলো প্রেজেন্টাশানের যুগ। একটা জিনিসকে আপনি কিভাবে, কতোটা সহজে, কতোটা সাবলীলভাবে, কতোটা মাধুর্যতায় প্রেজেন্টেশান করছেন তার উপর কিন্তু অনেক কিছুই নির্ভর করে।
ন্যাচারালি, মানুষের একটা স্বভাব হচ্ছে – এরা তত্ত্বকথা খুব কম হজম করতে পারে। এরা চায় সহজবোধ্যতা।
প্যারাডক্সিক্যাল সাজিদ এ লেখক আরিফ আজাদ ঠিক এই পদ্ধতিই বেছে নিয়েছেন। তিনি গতানুগতিক লেকচার বা তত্বকথার ধাঁচে না গিয়ে, বক্তব্যের বিষয়গুলোকে গল্পের ধাঁচে ফেলে সাজিয়েছেন। প্রতিটি গল্পের শুরুতেই আছে মজার, আগ্রহ উদ্দীপক একটি সূচনা। কোথাও বা গল্পের কেন্দ্রীয় চরিত্র সাজিদের সাথে তাঁর বন্ধু আরিফের খুনসুটি, কোথাও বা মজার কোন স্মৃতির রোমন্থন, কোথাও বা আছে সিরিয়াস কোন ব্যাপারে সিরিয়াস কোন হুশিয়ারি। গল্পে মজা আছে, আনন্দ আছে। মোটামুটি, সার্থক গল্পে যা যা উপাদান থাকা দরকার, যা যা থাকলে পাঠকের গল্প পাঠে বিরক্তি আসেনা, রুচি হারায় না- তার সবকিছুর এক সম্মিলিত সন্নিবেশ যেন লেখক আরিফ আজাদের এই সিরিজের একেকটি এপিসোড।
গল্পে গল্পে যুক্তি খন্ডন, পাল্টা যুক্তি ছুঁড়ে দেওয়া, পরম মমতায় অবিশ্বাসের অন্ধকার দূরীকরণে এ যেন এক বিশ্বস্ত শিল্পী।
SKU: n/a -
আরিফ আজাদ, প্রকাশন, লেখক, সমকালীন
প্যারাডক্সিক্যাল সাজিদ ২
সাজিদের কথা শুনে ফিক করে হেসে ফেললো রাজিব। সম্ভবত চেহারার উপমাটা শুনে সে খুব মজা পেয়েছে। হেসে ফেললাম আমিও। হাসাহাসির পর্ব শেষে সাজিদ আবারও সমুদ্র বিলাসে ডুব দিলো। সাঁ সাঁ করে বাতাস বইছে সাগরের বুকে। জাহাজের দোলুনি খেতে খেতে আমরা ছুটে চলছি। অন্ধকার রাত। এই তল্লাটে কেবল আকাশ আর সাগরের মিতালী।
অনেকক্ষণ পরে রাজিব আবারও প্রশ্ন করে বসলো সাজিদকে। বললো, ‘তোমার নাকি সমুদ্র খুব পছন্দের?’
-‘হুম’।
-‘কেনো?’
-‘সমুদ্রে একটা বিস্ময় আছে’।
-‘কিরকম বিস্ময়?’
-‘সমুদ্র একইসাথে সুন্দর এবং ভয়ঙ্কর’।
-‘যেমন?’
-‘সমুদ্রের এই যে বিশালতা, উপচে পড়া ঢেউ, তার বুকে সূর্যের হারিয়ে যাওয়া, নীল জলরাশির উন্মত্ততা, এগুলো হলো সমুদ্রের অপার রহস্য আর সৌন্দর্য। আবার, এই সমুদ্র যখন উন্মাতাল হয়ে হয়ে উঠে, সে হয়ে উঠে বিধ্বংসী আর ভয়ঙ্কর। যে জলরাশির মাধ্যমে জীবন সঞ্চারিত হয়, সেই জলরাশিই হয়ে উঠে জীবন হরণের কারণ। খুব অদ্ভুত না?’সাজিদের কথা শুনে রাজিব বেশ অবাক হলো বলে মনে হলো। মাথা নেড়ে সাঁয় দিয়ে বললো, ‘আসলেই অদ্ভুত!’
সমুদ্র নিয়ে যে সাজিদ এতো দার্শনিকসুলভ চিন্তাভাবনা করতে পারে তা আমি জানতাম না। অবশ্য, ওর যতো দার্শনিকতা সব পেটের মধ্যেই জমিয়ে রাখে। প্রসঙ্গ এসে পড়লেই সেগুলো বের হয়ে আসে।ইন শা আল্লাহ, ‘প্যারাডক্সিক্যাল সাজিদ-০২’।
SKU: n/a -
প্রকাশন, সমর্পণ-সন্দীপন
হোমো স্যাপিয়েনস
•• ডা: Rafan Ahmed বর্তমান জনপ্রিয় তরুণ লেখকদের একজন। ইতমধ্যে রাফানের অসামান্য দু্টো বই ‘বিশ্বাসের যৌক্তিকতা’ এবং ‘অবিশ্বাসী কাঠগড়ায়’ ব্যপক পাঠকপ্রিয়তা পেয়েছে। রাফানের সবচেয়ে বড় অস্ত্র হলো অসংখ্য রেফারেন্স ঘেটে কাঁটা দিয়ে কাঁটা তোলা। অর্থাৎ, বস্তুবাদীদের রেফারেন্স থেকেই তাদের দ্বিচারিতা দেখিয়ে দেয়া। গল্পনির্ভর অযুক্তি কুযুক্তি খণ্ডনের ধারাবাহিকতায় তথ্যনির্ভর মৌলিক বই-এর অভাব পূরণে রাফানের বইগুলো নিশ্চয়ই গুরুত্বপূর্ণ প্রাথমিক কাজ হিসেবে গণ্য হবে।
সেই ধারাবাহিকতায় এ বছর ফেব্রুয়ারীতে সংযুক্ত হতে যাচ্ছে রাফানের “হোম স্যাপিয়েন্স: রিটেলিং আওয়ার স্টোরী”। মহাবিশ্বের উৎপত্তি থেকে শুরু করে প্রাণের উৎপত্তির বস্তুবাদী ব্যাখ্যা এবং প্রজাতির বিবর্তনকে আমাদের মাধ্যমিক উচ্চমাধ্যমিক পাঠ্যপুস্তক এবং পপুলার সায়েন্স বইগুলোতে যে ধর্মগ্রন্থের ন্যায় অমোঘ সত্য হিসেবে উপস্থাপন করা হয়েছে, সেই মিথ্যাকে ভেঙ্গে গুড়েবালি করে দিতে এই বই হবে এক আনবিক বোমা। স্বয়ং বিবর্তনবাদী, বস্তুবাদী ও নাস্তিকদের মুখ থেকেই ছোট-বড় সবাই জেনে নিতে পারবে নাস্তিক্যের প্রচারক ও বিজ্ঞানবাদীতার অনুসারীদের ভন্ডামি। যারা বিজ্ঞানকে বিশ্বাসমুক্ত দাবী করে নিজেরাই প্রমাণহীন অন্ধবিশ্বাসের ভিত্তি হিসেবে বিজ্ঞানকে ব্যবহার করে যাচ্ছে সেই সকল ডাবল-স্ট্যানার্ড যুক্ত মানুষের মুখোশ উন্মোচনে অসংখ্য রেফারেন্সে ঠাসা বইটি হবে অনন্য হাতিয়ার। ইন শা আল্লাহ।
মহাবিশ্বের স্রষ্টা সর্বশক্তিমান ও সর্বজ্ঞানী আল্লাহ আজ্জা ওয়া জাল্লা ডা. রাফানের কাজটি কবুল করুন। বইটিকে তার নাজাতের উসিলা বানিয়ে দিন। সেই সাথে অসংখ্য তরুন-তরুণীর পাথেয় হয়ে থাকুক এই বই। আমীন।••
(রিভিউ লিখেছেন: ডা. আব্দুল্লাহ সাইদ খান)বই: হোমো স্যাপিয়েনসঃ রিটেলিং আওয়ার স্টোরি
জনরা/বিষয়: বিজ্ঞানের ইতিহাস ও দর্শন, কসমোলজি, বিবর্তন, এস্কাটোলজি
প্রকাশনী: সমর্পন প্রকাশন
পৃষ্ঠাসংখ্যা: ১৮৪ (চার কালার-হার্ডকভার)SKU: n/a