বিপদাপদ মানবজীবনেরই অংশ। পুরো প্যাকেজ বিপদসহ-ই। সুতরাং বিপদকালে কী করতে হবে, আমাদের পরিপূর্ণ দীন তা আমাদেরকে জানিয়ে দিয়েছে। পশ্চিমা পুঁজিবাদী-ভোগবাদী সভ্যতা বিপদ ‘মোকাবেলা’ (ফাইট) করে বস্তু দিয়ে। আর পুঁজিবাদী কিছু প্রকল্প দিয়ে, যেমন— মোটিভেশনাল স্পীকার, সাইকোথেরাপি। আর দীন আমাদের শেখায় বিপদকে ‘সামলে নিতে’, ‘কাটিয়ে উঠতে’। আমাদের দীন নিজেই সাইকোথেরাপি, নিজেই নাসীহা (মোটিভেশন)। যেহেতু বিপদ একটা আধ্যাত্মিক ইভেন্ট, যার প্রকাশ বস্তুগত। সুতরাং আমাদের দীন আমাদেরকে শিখিয়েছে বিপদ কাটানোর ‘আধ্যাত্মিক’ ও ‘বস্তুগত’ পদক্ষেপ। একেকটা বিপদ আমাদের কাছে একেকটা আধ্যাত্মিক পদোন্নতি, প্রোমোশন। বিপদ আমাদের নিয়ামত। ড. ইয়াদ আল-কুনাইবীর লেখা বরাবরই ওজনদার, সাথে যদি হয় উস্তায আবদুল্লাহ আল-মাসউদের ঝরঝরে অনুবাদ, তাহলে যেটা দাঁড়ালো তাকে বলে—নূরুন আলা নূর। ‘বিপদ যখন নিয়ামত-২’ বইখানি আমাদের আল্লাহর পানে এগোনোর সোপান হোক। আমিন।
অভিমত দিয়েছেন-
ভাই Shamsul Arefin Shakti
আপনি কখনোই এমনটা ভাববেন না যে, বিপদ কেবলই শাস্তি। আপনি সেই পিতার কথা কল্পনা করুন, যিনি অপরাধের কারণে সন্তানকে শাস্তি দেন। কিন্তু শাস্তি পাওয়ার পর সন্তান যখন লজ্জায় মাথা নিচু করে ফেলে, তখন তিনি ছেলেকে বুকের মধ্যে টেনে নেন। তাকে স্নেহ-মায়ায় ভরিয়ে দেন। আল্লাহ তাআলা তো আপনাকে পিতা-মাতার চেয়েও লক্ষ-কোটি-গুণ বেশি ভালোবাসেন। তাই বিপদ দিয়ে তিনি আপনার মনের কলুষতা দূর করতে চান। আপনাকে কাছে টেনে নিতে চান।
অনেক-সময় আমরা পাপের সাগরে ভাসতে ভাসতে তাওবার কথা ভুলে যাই। ফলে আমাদের অন্তর কলুষিত হয়ে পড়ে। অন্তরের কলুষতা চিরস্থায়ী বরবাদির কারণ হতে পারে। এই কলুষতা দূর করার জন্য আল্লাহ তাআলা আমাদেরকে বিপদ নামক পরীক্ষার চেয়ারে বসিয়ে দেন। এর মাধ্যমে বান্দার চিন্তার জগতে আলোড়ন সৃষ্টি হয়। সে নিজের ভুল বুঝতে পারে। আগের চেয়ে আরও বেশি সতর্ক হও। রোনাজারি করে আল্লাহর দরবারে। তাই বিপদকে আযাব মনে করে কষ্ট পাবেন না। এটা আল্লাহর পক্ষ থেকে আসা নিয়ামাত। এই নিয়ায়মাত আপনাকে খাঁটি মুমিন হওয়ার পথ করে দেবে। তাই সবর ও নেক আমলের মাধ্যমে এই নিয়ামাতকে কাজে লাগানোর চেষ্টা করুন।
There are no reviews yet.