মধু ও কালোজিরার ব্যবহার:
মিষ্টি স্বাদের জন্য বিভিন্ন খাবারের সাথে ব্যবহার করা হয়। সকালের নাশতা ও হালকা খাবারে মধু খাওয়া যায়।মধুতে ক্যলরি থাকায় মধুতে শরীরের তাপমাত্রা বৃদ্ধি করে। এবং প্রোটিন দেহের গঠন বৃদ্ধি সাধন ও ক্ষয় পুরণে যথেষ্ট কার্য কর। মধুর ক্যালসিয়াম ও পটাশিয়াম হৃৎপিণ্ডকে সচল রাখতে গুরুত্বপুর্ন ভুমিকা পালন করে এবং বিভিন্ন এসিড পাকস্থলীর বিভিন্ন জৈবিকক্রিয়ার ফলে রোগ প্রতিরোধে কাজ করে।মধুতে শক্তিশালী জীবাণুনাশক ক্ষমতা রয়েছে, যার নাম ইনহিবিন।
মধুর সাধারণ উপকারিতা:
ফোড়া,ক্ষত স্থান শুকাতে,পুড়ে গেলে,কেটে গেলে,ভেঙেগেলে মধুর প্রলেপ ভাল কাজ করে।
রুপচর্চায় মধু:
দীর্ঘকালের মুখের দাগ তুলতে ও লাবন্য মসৃণতায় মধু মেখে উপকার পাওয়া যায়।
পরিশ্রম ও গরমে ক্লান্তিতে ঠান্ডা পানির সাথে লেবুর রস মিশ্রিত মধুর শরবত পান করলে দেহে উদ্যম ও সজীবতা ফিরে আসে। বিভিন্ন ওষুধ প্রস্ততে রয়েছে মধুর ব্যাপক ব্যবহার।
যৌনশক্তি বৃদ্ধিতে মধূ:
দৈহিক ও যৌনশক্তি বৃদ্ধির জন্য মধু গরম দুধের সাথে পান করলে খুবই ভালো ফল পাওয়া যায়।প্রতিদিন কালোজিরা মধু দিয়ে চিবিয়ে খেলে বা দৈনিক দুই চামচ আদার রস মধু দিয়ে খেলে প্রচুর পরিমাণে যৌনশক্তি বৃদ্ধি পায়।
বিভিন্ন রোগে ব্যবহার:
সুস্বাস্থ্য: আপনি যদি আজীবন সুস্বাস্থ্যের অধিকারী হতে চান,তাহলে কালোজিরার তেল আধা চা-চামচ সকালের নাশতার পরে ও রাতে আহারের পরে দুই চামচ মধুর সাথে সেবন করলে আল্লাহর রহমতে বিভিন্ন রোগ থেকে নিরাপদ থাকা যায়্।
হাঁপানি:এক চামচ কালোজিরার তেল মধুর সাথে দৈনিক দু‘বার আহারের পরে ৪০দিন সেব্য।
বহুমুত্র: এক চামচ কলোজিরার তেল লেবুর রসের সাথে দৈনিক দু‘বার সেব্য।
মেধা ও স্মরণশক্তি: এক চামচ পুদিনাপাতার রস অথবা কমলার রসের সাথে মিশিয়ে দৈনিক একবার চার সপ্তাহ সেব্য।
স্ত্রীরোগ:এক চামচ কালোজিরার তেল ও মধু দৈনিক দু‘বার আহারের পরে এক মাস সেব্য।
পুরুষরোগ:এক চামচ কালোজিরার তেল ও মধু দৈনিক দু‘বার আহারের পরে এক মাস সেব্য।
যেকোন জটিল রোগে অন্য ওষুধে উপকার না হলে:এক চামচ কালোজিরার তেল ও মধু দৈনিক দু‘বার আহারের পরে সেব্য।রোগীর অবস্থার ওপরে মাথায় ও শরীরে মালিশ করতে হবে।
স্নায়ুদুর্বলতা:এক চামচ কালোজিরার তেল মধুর সাথে মিশিয়ে সেবন করলে সাথে সাথে উপকার পাওয়া যায়।
মাথা ও ঘাড় ব্যথা: এক চামচ কালোজিরার তেল গরম পানির সাথে লিকার চায়ের সাথে মিশিয়ে দৈনিক দু‘বার সেবন করলে এবং দু’-তিনবার মাথায়,কপালে ও ঘাড়ে কানসহ মালিশ করলে এ রোগ হতে পরিত্রাণ পাওয়া যায়।
বাত ও শরীর ব্যথা: এক চামচ কালোজিরার তেল মধুর সাথে মিশিয়ে সেবন। তেল অল্প গরম করে আক্রান্ত স্থানে জোরে জোরে মলিশ করলে দুই সপ্তাহে উপকার পাওয়া যায়।দীর্ঘদিন এই রোগ থাকলে ধুতরার পাতার রস ও কালোজিরার তেল একত্রে মালিশ করলে সাথে সাথে ব্যাথা কমে যায়।
তিল দাগ ও মেছতা:দাগযুক্ত স্থানে আপেলের রস মলিশ ও কালোজিরার তেলে দৈনিক দুইবার মালিশ করলে ও মধুর সাথে আধা চামচ তেল মলিশ করলে দৈনিক দুইবার ১৫ দিন মালিশ করলে দাগ কমে যাবে।
সৌন্দর্য-এর জন্য:এক চামচ কালোজিরার তেল ও জয়তুনের তেল মিশিয়ে মুখমণ্ডলে লাগিয়ে ১ ঘন্টা পর সাবান দিয়ে ধুয়ে ফেলুন।এভাবে প্রতিদিন ১বার ব্যবহরে সাতদিনে উপকার পাওয়া যাবে।
চর্ম রোগ:এক চামচ কালোজিরার তেল কাঁচা হলুদের রসের সাথে অথবা মধুর সাথে দৈনিক দু‘বার সেব্য ও আক্রান্ত স্থানে দিনে ৩/৪বার লাগান,দুই সপ্তাহে শুকিয়ে যাবে। জটিল রোগীর ক্ষেত্রে কর্পুর ও শ্বেতচন্দন ঘষা কালোজিরার তেলের সঙ্গে মিশিয়ে আক্রান্ত স্থানে প্রলেপ দিলে অল্প দিনে শুকিয়ে যাবে।
রানের চিপায় আক্রান্ত চর্মরোগ: রাতে আক্রান্ত স্থানে সাবান দিয়ে মুছে কালোজিরার তেল মালিশ করে ও আধা তেল মধুর সথে সেবন করলে রোগ মুক্ত হওয়া যায়।
চুলপড়া:প্রতিদিন গোসলের আগে লেবুর রস মাথায় দিয়ে ১৫-২০ মিনিট অপেক্ষা করে চুল শুকিয়ে শ্যামাপু দিয়ে ভালো করে ধুয়ে গোসল শেষে শুকনো মাথায় কালোজিরার তেল দৈনিক একবার ব্যবহার করলে। ৫/৭ দিনে ভাল ফলাফল পাবেন ইনশাআল্লাহ।
চোখের সমস্যা: দৈনিক রাতে ঘুমানোর আধা ঘন্টা আগে কালোজিরার তেল চেখের পলকে লাগালে এবং এক চামচ তেল এক কাপ গাজর রসের সাথে অথবা এক কাপ মধুর সাথে সেবন করলে উপকার পাওয়া যায়।
উচ্চ রক্ত চাপ: মধু ও কালোজিরার তেল এক চামচ করে এক কাপ গরম পানির সঙ্গে মিশিয়ে খালি পেটে সেবন করুন। এই তেল সেবনের আগে দুই কোয়া রসুন চিবিয়ে খেয়ে নেবেন। এবং সমস্ত শরীরে মালিশ করে সুর্য-এর তাপে শুকাবেন।
ডায়রিয়া বা দাস্ত: কালোজিরার তেল এক চামচ এক কাপ দুধের সাথে মিশিয়ে দৈনিক দু‘বার দুধের সাথে মিশিয়ে সেবন করলে ভাল ফল পাওয়া যায়।
অনিদ্রা:কালোজিরার তেল এক চামচ রাতে শোয়ার সময় মধুর সাথে সেবন করলে ও মাথায় পানি সহ সেবন করলে ঘুম ভাল হয়।
কর্ণপ্রদাহ: কালোজিরার তেল তুলা দিয়ে কানে ব্যবহার করলে ও এক চামচ মধুর সাথে দৈনিক দু‘বার সেবন করলে এক সপ্তাহের মধ্যে ফল পাওয়া যায়।
মাথার উকুন সারানো: ধুতরাপাতা পানি দিয়ে পিষে রস গোসলের ২ ঘন্টা আগে মাথায় দিয়ে রাখলে,গোসলের পর মাথা শুকালে কালোজিরার তের এক দিন ব্যবহারে মাথার উকুন চলে যাবে।
হাম বা পক্স: কালোজিরার তেল এক চামচ সমপরিমান করলার রস ও ১০ ফোটা মধুর সাথে মিশিয়ে দৈনিক দু‘বার সেবন করলে ফল পাওয়া যায়।
জন্ডিস: কালোজিরার তেল এক চামচ ত্রিফলার শরবতের সাথে রোজ তিনবার অথবা মধুর সাথে সেব্য।এক থেকে দু‘সপ্তাহের মধ্যে রোগী সুস্থ হবে ইনশাআল্লাহ।
গ্যাস্ট্রিক ও পুরাতন আমশায়: এক চামচ মধু ও কালোজিরার তেল এক চামচ মিশিয়ে দৈনিক দুবার খেলে ফল পাওয়া যায়।
অর্শ বা পাইলস:এক চামচ মধু ও কালোজিরার তেল এক চামচ মিশিয়ে দৈনিক দুবার সেব্য ও ক্ষতস্থানে লাগাতে হবে।
স্বপ্নদোষ: এক চামচ মধু ও কালোজিরার তেল এক চামচ মিশিয়ে দৈনিক দুবার আহারের পর একমাস সেব্য ও মাথায় তেল ব্যবহার করতে হবে।
হৃদকম্পন: কালোজিরার তেল এক চামচ ছয়গ্রাম অর্জুন ছাল চুর্ন,এক কাপ দুধের সাথে মিশিয়ে দৈনিক দু‘বার সেবন করতে হবে এবং বুকে থেল মালিশ করতে হবে। দীর্ঘ দিন করলে আরোগ্য লাভ করবেন। ইনশাআল্লাহ ।
abid.ncit –
Alhamdulillah, quality product. Buy pure gain sure.
abid.ncit –
Lekha Lekhi –
jazakallah
Lekha Lekhi –