বই: হাজ্জ, উমরাহ ও মদীনা যিয়ারত
লেখক: মুহাম্মাদ ইবনে ছালিহ আল উসাইমীন
পৃষ্ঠা: ১৯২
প্রকাশনা: মাকতাবাতুস সুন্নাহ
4 in stock
হাজ্জ, উমরা ও মদীনা যিয়ারত
– শাইখ মুহাম্মাদ ইবনে ছ্বলিহ আল উছাইমীন
₹150.00
4 in stock
Compareবই: হাজ্জ, উমরাহ ও মদীনা যিয়ারত
লেখক: মুহাম্মাদ ইবনে ছালিহ আল উসাইমীন
পৃষ্ঠা: ১৯২
প্রকাশনা: মাকতাবাতুস সুন্নাহ
Weight | 0.3 kg |
---|
“দয়া করে ঘুম থেকে জেগে উঠুন। আপনার বাচ্চা আর বাচ্চাদের সামনে ধেয়ে আসা ভয়াবহ বিপদকে উপলব্ধি করুন। এই বিপদাসন্ন সময়ে আপনাদের চাইতে শক্ত হাত তারা আর কোথাও পাবেনা, পেতে পারে না। বিশ্বাস করুন, এই চোরাবালি থেকে তাদের উদ্ধারের জন্যে আজ আপনাদেরকেই দরকার, ভীষণভাবে দরকার।”
রাতের বেলা আল্লাহ তাআলা আমাদের সবচেয়ে নিকটবর্তী আসমানে অবতরণ করেন। আমাদের ডাকতে থাকেন। তিনি বলতে থাকেন, ‘কেউ আছে কি মাগফিরাত কামনাকারী, আমি তাকে মাফ করব? কেউ কি আছে প্রার্থনাকারী, আমি তার ডাকে সাড়া দেবো? কেউ কি আছে দুআকারী, আমি তার দুআ কবুল করব?’ [মুসলিম : ১৬৫০]
তাঁর সে ডাকে কতজনই-বা সাড়া দেয়। আমরা তো সারাদিন দুনিয়ার জন্যে দৌড়াদৌড়ি করি, আর রাতের বেলা মরার মতো ঘুমাই। অথচ তাবিয়িরা আল্লাহর ভয়ে এতটাই ভীত থাকতেন যে, রাতের বেলা ঘুমোতে পারতেন না ঠিকমতো।
আমির ইবনু কায়েস রহিমাহুল্লাহ-কে তার মেয়ে একদিন জিজ্ঞেস করল, “কী ব্যাপার বাবা! আমি (রাতের বেলা) সবাইকে ঘুমোতে দেখি, কিন্তু আপনাকে কখনও ঘুমোতে দেখি না যে!”
তখন আমির ইবনু কায়েস জবাব দিলেন, “মেয়ে আমার! জাহান্নাম তো তোমার বাবাকে ঘুমোতে দেয় না।” [তাবিয়িদের চোখে দুনিয়া, হাদীস : ০১]
স্ত্রীদের সাথে খাবার গ্রহণকালে রাসূল স. অত্যন্ত সরস কথোপকথন চালাতেন। এমনকি তিনি এই কাজকে উৎসাহিত করতেন।
নবীজি ﷺ বলেন, “স্ত্রীর মুখে এক লোকমা খাবার তুলে দেয়াও সাদাকা।”
আয়িশা রা. তার সাথে রাসূল ﷺ এর খাবার গ্রহণের একটা সুন্দর ঘটনা ব্যক্ত করেন,
“আমার মাসিক চলাকালে আল্লাহর রাসূল ﷺ তাঁর সাথে খাবার গ্রহণের জন্য ডাকতেন। তিনি গোশতযুক্ত একটা হাড় নিয়ে আমাকে সেটা থেকে খাওয়ার ওয়াদা করাতেন। আমি কিছুটা খেয়ে বাকি অংশ রেখে দিতাম। তারপর তিনি সেটা তুলে নিতেন এবং আমি যে জায়গা থেকে মুখ লাগিয়ে খেয়েছি তিনিও ঠিক সেই জায়গায় মুখ লাগিয়ে কিছু গোশত খেতেন। এরপর তিনি কখনো কিছু পানি চাইতেন এবং ওয়াদা নিতেন যাতে প্রথমে আমি পান করি। আমি সেটা নিতাম, পান করতাম এবং রেখে দিতাম। তারপর তিনি সেটা নিতেন এবং আমি পাত্রের যেখানে মুখ লাগিয়ে পান করেছি তিনিও সেস্থানে মুখ লাগিয়ে পান করতেন।”
কতই-না প্রেমময় বার্তা এমন স্বামী তাঁর প্রিয়তমা স্ত্রীর কাছে পাঠাতেন! আর কী পরিমাণ আনন্দই-না তিনি তাকে দিতেন! নিঃসন্দেহে এই খাবার শরীরের সাথে মনকেও প্রফুল্লিত করতো!
” নবীজির দিনলিপি ” বই থেকে।
There are no reviews yet.