Dark Light
-10%
, , ,

জামায়াত ও ঐক্য

Availability:

1 in stock


জামায়াত ও ঐক্য

ড. খোন্দকার আব্দুল্লাহ জাহাঙ্গীর রাহিমাহুল্লাহ

 

ইখতিলাফ ও ইফতেরাকের মধ্যে পার্থক্য তুলে ধরার মাধ্যমে উম্মতের ঐক্যের সূত্র দেখিয়ে দিয়েছেন। তার কথা অনুযায়ীই বলতে হয়, ‘ইখতিলাফের ভিত্তি অধিকাংশ ক্ষেত্রে ইলম বা জ্ঞান ও দলিল। আর ইফতিরাকের ভিত্তি সর্বদাই ব্যক্তিগত পছন্দ বা প্রবৃত্তির অনুসরণ, জিদ এবং ইখলাসের অনুপস্থিতি।’ আরও বলেছেন, ‘ইলম, ইখলাস, ইসলামী ভ্রাতৃত্ববোধ ও ভালোবাসার সাথে ইখতিলাফ থাকতে পারে কিন্তু এগুলোর সাথে ইফতিরাক থাকতে পারে না। এগুলোর অনুপস্থিতিতেই ইফতিরাক জন্ম নেয়।’ তার এ কথা অনুযায়ী আমরা বলতে পারি, উম্মতের ইমামগণের মাঝে অনুষ্ঠিত মাসআলা-মাসায়েলজনিত মতভেদের কারণে আমাদেরকে ভিন্ন ভিন্ন হয়ে থাকতে হবে সেটা কখনো ঠিক নয়। সাহাবায়ে কিরামের মাঝে আমলী মাসআলাগুলোতে প্রচুর মতভেদ ছিল, যারা সালাফে সালেহীনের ফিকহ অধ্যয়ন করবে তাদের কাছে সেটা দিবালোকের মত স্পষ্ট হয়ে দেখা দিবে।….

18.00 20.00

1 in stock

Compare

আব্দুল্লাহ জাহাঙ্গীর রহ. লিখিত ‘কুরআন-সুন্নাহর আলোকে জামায়াত ও ঐক্য’ ১৬ পৃষ্ঠার ছোট্ট পুস্তিকা । যেমন ছোট কলবরের কারণে, ঠিক তেমন সুন্দর বিষয়বস্তু ও উপস্থাপনার কারণে এক নিমিষেই পড়ে ফেলার মত একটি বই ।
জামাআত বা মুসলিমদের ঐক্য বিষয়ে প্রায় ২০০ আলিম নিয়ে ঢাকায় আয়োজিত এক সেমিনারে লেখক রহ. এই লেখা জমা দেন এবং সে আলোকে বক্তব্যও দেন, সেটিই হচ্ছে এই আলোচ্য বই ।
বইটির ভূমিকা লিখেছেন শাইখ আবু বাক্‌র মুহাম্মাদ যাকারিয়া মাদানী হাফি. । ভূমিকার একটি কথা খুব ভালো লেগেছে ”বাস্তবে উম্মতের ঐক্যের জন্য যে মানুষটি তাঁর সারাটি জীবন ব্যয় করেছেন, জীবনের সার্বক্ষণিক প্রচেষ্টা যার এ কেন্দ্রিক নিবদ্ধ থাকতো, ঐক্যের প্রতীক হিসেবে যাকে সকল নিষ্ঠাবান মানুষই স্বীকার করে, তাঁর পক্ষেই এরকম একটি গ্রন্থ লেখা সম্ভব ।”
অতি সংক্ষেপে তবে তাৎপর্যপূর্ণ যেসব কথা উঠে এসেছে, সেগুলো হচ্ছে,
১. জামাআতঃ কুরআন-সুন্নাহ নির্দেশিত ইবাদাত
২. ইফতিরাকঃ কুরআন-সুন্নাহ নির্দেশিত নিষিদ্ধ কর্ম
৩. ইখতিলাফ থেকে ইফতিরাক
এ পয়েন্টে তিনি আলোচনা করেছেন ইখতিলাফ বা মতভেদ মানেই ইফতিরাক বা বিচ্ছিন্নতা নয় । তবে ইখতিলাফ কেন্দ্র করে কখনো কখনো ইফতিরাক জন্ম নেয় ।
৪. ঐক্য বা বিভক্তি মূলত অন্তরের কর্ম বা বিশ্বাসের অংশ
আমরা অনেকেই মনে করি মুসলিমরা এক নির্দিষ্ট জায়গায় একত্রিত হওয়া বা একটা দল বানানো ইত্যাদি মানেই জামাআত বা ঐক্য । এ অর্থ ধরলে সমস্যা হলো, আমি কিছু লোক নিয়ে একটি দল বানালাম, ঠিক একইভাবে তো অন্য ভাইও বানিয়েছেন । আমি আমার দলের লোক নিয়ে ‘জামাআত’ করলেও, যে ভাই আলাদা দল বানালেন তিনি ও তাঁর দল তো আলাদা হয়ে গেলেন, তাহলে এটি কীভাবে জামাআত হতে পারে । লেখক রহ. এখানে আমাদের প্রচলিত এ বিশ্বাসের খন্ডন করেছেন । সংক্ষিপ্তভাবে জামাআতের অর্থ এভাবে বলা যায় যে, আমাদের ভিতরে মতভেদ থাকা সত্ত্বেও আমরা সবাই ভাববো আমি, উনি আমরা সবাই ভাই ভাই, আমাদের ভিতরে ভালোবাসা থাকবে ।
৫. সমকালীন ইফতিরাকের বিভিন্ন কারণ
বইয়ের এ অংশকেই আমার সবচেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ মনে হয়েছে । তিনি ইফতিরাকের বিভিন্ন কারণ পয়েন্ট আকারে তুলে ধরেছেনঃ
ক. আকীদার মতভেদ
খ. ফিকহী মতভেদ
গ. আকীদা ও ফিকহী মতভেদে সাহাবীগণের পদ্ধতি পরিত্যাগ
ঘ. দাওয়াত পদ্ধতির মতভেদ
ঙ. সমালোচনায় ইসলামী আদব লঙ্ঘন
চ. ঈমানী ভ্রাতৃত্বের অবমূল্যায়ন
ছ. ভিন্নমতের প্রান্তিকদের অজুহাতে নিজের প্রান্তিকতার বৈধতার দাবী
জ. সবাইকে একমতে আনার চেষ্টা
৬. শরীয়াহ অনুসারী বনাম শরীয়াহ বিমুখদের বিভক্তির তুলনা
৭. আহলুস সুন্নাত ওয়াল জামাআত বনাম আহলুল বিদআত ওয়াল ইফতিরাক
৮.বিভক্তির পরিণতিঃ বর্তমান অবস্থা এবং ভবিষ্যৎ ধারণা
বইয়ের এ অংশকেও খুবই গুরুত্বপূর্ণ মনে হয়েছে । এখানে বিভক্তির ফলে বর্তমানে আমাদের পরিণতি কী এবং ভবিষৎ এ কী পরিণতি হতে পারে তা পয়েন্ট আকারে আলোচনা করা হয়েছেঃ
ক. শিরক-কুফর ও খৃষ্টধর্ম প্রচারের ব্যাপক সুযোগ সৃষ্টি
খ. আলিমগণ সম্পর্কে ব্যাপক কুৎসাচার
গ. হানাহানি ও রক্তারক্তি
৯. সমস্যার সমাধানে আমাদের করণীয়
এটি হচ্ছে বইয়ের সর্বশেষ আলোচ্য বিষয় । ৫ নং পয়েন্টে ইফতিরাকের যেসব কারণ উল্লেখ করা হয়েছে এখানে বলা হয়েছে সেসব কারণগুলো দূর করলে বা কমিয়ে ফেললে বিভক্তিও কমবে বলে আমরা ধারণা করতে পারি ।

 

 

Weight 0.155 kg

ভালবাসা ও ভ্রাতৃত্ব বৃদ্ধির জন্য এবং শত্রুতা ও বিদ্বেষ থেকে মুক্তি অর্জনের জন্য রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ) পারস্পরিক সালাম প্রসার করতে নির্দেশ দিয়েছেন। এজন্য আলিমগণের পারস্পরিক সাক্ষাত ও সালাম বিনিময় উম্মাতের জন্য একটি বড় উপকারী বিষয়।

আমরা জানি, সকল মতের অনুসারীদের মধ্যেই কিছু মানুষ প্রান্তিকতাকেই ভালবাসেন। কেউ তার সাথে শতভাগ একমত বা তার মতের শতভাগ অনুসারী না হলেই তাকে অপছন্দ করেন। এর পাশাপাশি সকল মতের অনুসারীদের মধ্যেই উদার ও সহনশীল আলিম ও দাঈ বিদ্যমান। তারা কুরআন ও সুন্নাহ নির্দেশিত জামাআত অর্থাৎ ঐক্যবদ্ধতা, সম্প্রীতি, ভালবাসা, ভ্রাতৃত্ব ও বন্ধুত্ব প্রতিষ্ঠা করতে চান। তারা তার্ফারুক অর্থাৎ বিভক্তি, বিচ্ছিন্নতা, বিদ্বেষ, হিংসা, শত্রুভাবাপন্নতা দূর করতে চান।
তাদের সকলেরই দায়িত্ব এরূপ মাজলিস বা সাক্ষাতের জন্য চেষ্টা করা। শুধু সাক্ষাত ও সালাম বিনিময়ের কল্যাণ অনেক। পাশাপাশি যদি নিয়মিত বা অনিয়মিত এরূপ সাক্ষাতে কিছু মত বিনিময়ের ব্যবস্থা থাকে তবে তা থেকে আরো অনেক কল্যাণ বেরিয়ে আসবে বলেই আমাদের বিশ্বাস।

Based on 0 reviews

0.0 overall
0
0
0
0
0

Be the first to review “জামায়াত ও ঐক্য”

There are no reviews yet.

You may also like…

SHOPPING CART

close