অনেকে হতাশায় ভোগে। ভাবে, জীবনে যে পরিমাণ পাপ করেছি, আল্লাহ কি ক্ষমা করবেন?! এই ভাবনা তাকে, তাদেরকে আরো বেশি পাপকর্মে উসকানি দেয়। সমাজজীবন থেকে সে ছিটকে পড়ে। অন্ধকার জগতের বাসিন্দা হয়ে নিত্য নতুন নতুন পাপের চোরাবালিতে ফেঁসে যায়।
সমাজের লোকেরা, এমনকি পরিবারের আপনজন পর্যন্ত তার ব্যাপারে হাল ছেড়ে দেয়। তবে, হাদিসে যেমনটি এসেছে, আল্লাহ তাআলা বান্দার প্রতি দয়াশীল তার মায়ের চাইতেও অধিক। দুনিয়ার মানুষ ভুলে গেলেও মহান রব কখনোই তাঁর বান্দাকে ভুলেন না।
তাঁর রহমতের দরিয়ায় জোয়ার যখন আসে, তখন বান্দার পাপ-পঙ্কিলতা সব নিমিষেই ধুয়েমুছে সাফ হয়ে যায়। মুহূর্তের অনুশোচনা ও তাওবার কারণে আল্লাহ বিগত জীবনের অগুনতি পাপরাশি ফ্ল্যাশ আউট করে দিতে পারেন।
আল্লাহ তাআলা প্রত্যাবর্তনকারী বান্দাকে এতটাই ভালোবাসেন যে, তার বিগত জীবনের যাবতীয় গুনাহ মাফ করে দেন। সম্পূর্ণ পুতঃপবিত্র জীবন তাকে তিনি দান করেন।
বক্ষ্যমাণ গ্রন্থে এমনই কিছু আল্লাহভোলা বান্দার নীড়ে ফেরার গল্প সরল বয়নে পেশ করা হয়েছ। মূলত এটি শাইখ খালিদ রাশিদের বয়ান সংকলনের ধারাবাহিক প্রকল্পের অংশ।
আল্লাহ তাআলা এর মাধ্যমে উম্মাহর তরুণ-যুবাদের হৃদয়ে দীনের পথে প্রত্যাবর্তনের উদ্দীপনা দান করুন। আমীন।
There are no reviews yet.