ড. সালমান আল আওদাহ’র পাবলিক ম্যাটারস’ বইটিতে যা থাকছে…
প্রথম প্রবন্ধটিতে শায়খ সালমান আল আওদাহ সাম্প্রতিক সময়ের মুসলমানদের বড় একটি সংকট নিয়ে কথা বলেছেন। মুসলমানরা এখন দ্বীন ইসলামের গুরুত্বপূর্ন বিষয়গুলোকে বাদ দিয়ে তুলনামুল কম গুরুত্বপূর্ন বিষয়গুলো নিয়েই সারাদিন আলোচনা করে, ঝগড়া করে, তর্ক-বিতর্ক করে। এতে নিজেদের মধ্যে বিভেদ-বিভাজন বাড়ে যা প্রকারান্তরে ইসলামের দুশমনদের হাতকে শক্তিশালী করে।
দ্বিতীয় প্রবন্ধে আরেকটি বিষয় নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে যা বর্তমান সময়ে খুব বেশি লক্ষ্য করা যায়। আমরা এখন খুবই সীমিত পরিমানে ভাল কাজ করি। কিন্তু যতটুকু করি, এমনকি যতটুকু ইবাদত করি, সেগুলো প্রচার করতেই বেশি ব্যস্ত থাকি। এই অপরাধটি আমরা অবচেতন মনে বা সচেতনভাবেও অনেক সময় করে ফেলি। কিন্তু শায়খ আওদাহ লোক দেখানো বা প্রদর্শনমুখী ইবাদতের ব্যাপারে আমাদেরকে সতর্ক করার জন্য চমৎকার এই প্রবন্ধটি রচনা করেছেন।
তৃতীয় প্রবন্ধে ওস্তাদ আওদাহ বিভিন্ন জনগুরুত্বপূর্ন ইস্যুতে ইসলামিক আইনের প্রয়োগ নিয়ে আলোচনা করেছেন। তিনি উচ্চতর মানসম্পন্ন মুসলমান তৈরি করার জন্য ব্যপক গুরুত্ব আরোপ করেছেন যারা ইসলামিক আইনের ব্যপারে জ্ঞান রাখেন, যারা ইসলামের নির্দেশনা সমন্ধে জানেন, ইসলামিক আইনের উদ্দেশ্য সম্পর্কে অবগত এবং যারা আল্লাহর ইবাদত করতে এবং ন্যায়বিচার নিশ্চিত করতে মানুষকে সাহায্য করতে পারবেন।
চতুর্থ অধ্যায়টি খুবই গুরুত্বপূর্ন এবং আমার ধারনা আমাদের পাঠকেরা এই অধ্যায়টি পড়ে বেশ তৃপ্ত হবেন। এখানে বেশ সংক্ষেপে শায়খ সালমান আল আওদাহ জানিয়েছেন যে, ইজতিহাদ কি এবং মুসলমানদের মধ্যে কারা ইজতিহাদ করার যোগ্য। প্রবন্ধের শুরুতেই ওস্তাদ আওদাহ প্রশ্ন তুলেছেন, কেন আমরা ইজতিহাদের ইস্যুগুলোকে নির্নয় করবো? তারপর তিনি ইসলামিক ইস্যুগুলোকে নিয়ে আলোচনা করার গুরুত্ব তুলে ধরেছেন।
ইসলাম ও ধর্মনিরপেক্ষতার মধ্যকার সম্পর্ক, আদৌ কি এই দুটো দর্শন একসাথে চলতে পারে কিনা, কিংবা ধর্মনিরপেক্ষ মতবাদের বিষয়ে একজন মুসলমানের কি দৃষ্টিভংগি থাকা উচিত- এগুলো সবই পঞ্চম অধ্যায় তথা ইসলাম ও ধর্মনিরপেক্ষ মতবাদ শীর্ষক প্রবন্ধে পাওয়া যাবে। এই বিষয়টি সম্পর্কে ইসলামপন্থী মানুষগুলোর গভীর অধ্যায়ন জরুরি। কেননা ধর্মনিরপেক্ষতা আমাদের সকলের জন্যই সাম্প্রতিক সময়ে বিরাট একটি চ্যালেঞ্জ হিসেবেই আবির্ভুত হয়েছে।
There are no reviews yet.