You may be interested in…
-
আরিফ আজাদ, সমকালীন
প্যারাডক্সিক্যাল সাজিদ ২
সাজিদের কথা শুনে ফিক করে হেসে ফেললো রাজিব। সম্ভবত চেহারার উপমাটা শুনে সে খুব মজা পেয়েছে। হেসে ফেললাম আমিও। হাসাহাসির পর্ব শেষে সাজিদ আবারও সমুদ্র বিলাসে ডুব দিলো। সাঁ সাঁ করে বাতাস বইছে সাগরের বুকে। জাহাজের দোলুনি খেতে খেতে আমরা ছুটে চলছি। অন্ধকার রাত। এই তল্লাটে কেবল আকাশ আর সাগরের মিতালী।
অনেকক্ষণ পরে রাজিব আবারও প্রশ্ন করে বসলো সাজিদকে। বললো, ‘তোমার নাকি সমুদ্র খুব পছন্দের?’
-‘হুম’।
-‘কেনো?’
-‘সমুদ্রে একটা বিস্ময় আছে’।
-‘কিরকম বিস্ময়?’
-‘সমুদ্র একইসাথে সুন্দর এবং ভয়ঙ্কর’।
-‘যেমন?’
-‘সমুদ্রের এই যে বিশালতা, উপচে পড়া ঢেউ, তার বুকে সূর্যের হারিয়ে যাওয়া, নীল জলরাশির উন্মত্ততা, এগুলো হলো সমুদ্রের অপার রহস্য আর সৌন্দর্য। আবার, এই সমুদ্র যখন উন্মাতাল হয়ে হয়ে উঠে, সে হয়ে উঠে বিধ্বংসী আর ভয়ঙ্কর। যে জলরাশির মাধ্যমে জীবন সঞ্চারিত হয়, সেই জলরাশিই হয়ে উঠে জীবন হরণের কারণ। খুব অদ্ভুত না?’সাজিদের কথা শুনে রাজিব বেশ অবাক হলো বলে মনে হলো। মাথা নেড়ে সাঁয় দিয়ে বললো, ‘আসলেই অদ্ভুত!’
সমুদ্র নিয়ে যে সাজিদ এতো দার্শনিকসুলভ চিন্তাভাবনা করতে পারে তা আমি জানতাম না। অবশ্য, ওর যতো দার্শনিকতা সব পেটের মধ্যেই জমিয়ে রাখে। প্রসঙ্গ এসে পড়লেই সেগুলো বের হয়ে আসে।ইন শা আল্লাহ, ‘প্যারাডক্সিক্যাল সাজিদ-০২’।
SKU: n/a -
মাক বায়ান
আল্লাহর উপর তাওয়াক্কুল
উমার ইবনুল খাত্তাব (রা)-এর সাথে কজন ইয়ামানি লোকের দেখা হলো। যারা ফসল ফলানো বাদ দিয়ে অলসভাবে বসে ছিল। তিনি তাদের জিজ্ঞেস করলেন, “তোমরা কারা?”
.
তারা বলল, “আমরা হলাম তাওয়াক্কুলকারী।”
.
উমার (রা) বললেন, “তোমরা বরং অলস বসে-থাকা লোক! তাওয়াক্কুলকারী তো সে, যে যমীনে বীজ ফেলে, তারপর আল্লাহর উপর তাওয়াক্কুল করে।”
.
বই : আল্লাহর উপর তাওয়াক্কুল
হাদীস নং : ১০SKU: n/a -
আরিফ আজাদ, সমকালীন
আরজ আলী সমীপে
সেই উত্তাল সময়ের কথা মনে পড়ে? আল্লাহ, নবী, রাসূল (সাঃ) কে নিয়ে ব্লগে, ফেইসবুকে নাস্তিকদের কদাকার, কুৎসিত, অসভ্য সব মিথ্যাচার তখন চারদিকে। দেশটাও অশান্ত।
তারা লিখতো আর আমাদের বলতো, – ‘মোল্লাগন! পারলে লেখার বিরুদ্ধে লিখো। কলমের বিরুদ্ধে কলম ধরো। যুক্তির বিরুদ্ধে আনো যুক্তি….’
তাদের অসভ্যতা আর নোংরামি দেখে বুকটা ফেঁটে যেতো। আমাদের ধর্ম আমাদের কাছে প্রাণের চেয়েও প্রিয়। এই ধর্ম নিয়ে কটুক্তি সহ্য হয়? সহ্য হয়নি কারো। আমাদেরই মধ্য থেকে ‘আরিফ আজাদ’ নামের একজন এগিয়ে এলেন। এর আগে অবশ্য অনেকেই অনেকভাবে এগিয়ে এসেছেন। তবে, আরিফ আজাদ যেন তাদের সামনে ছুড়ে দিলেন মরণঘাতী এক বোমা। নিয়ম করে লিখতে লাগলেন সেই নাস্তিক্যবাদীদের মিথ্যাচারের বিরুদ্ধে। যুক্তির পরতে যুক্তি। তথ্যের পরতে তথ্য। মিথ্যার আবরণ সরিয়ে আরিফ আজাদ যেন নির্মাণ করে চলেছেন বিশ্বাসের এই সুউচ্চ মিনার।
রচিত হয়ে গেলো ‘প্যারাডক্সিক্যাল সাজিদ’। এরপর? এরপর বাকিটা ইতিহাস। এই ইতিহাস বিজয়ের। এই ইতিহাস মিথ্যার বিরুদ্ধে সত্যের জয়ী হবার ইতিহাস। আজ চারদিকে বিশ্বাসীদের ফল্গুধারা। চারিদিকে আজ অসংখ্য, অজস্র সাজিদ জেগে উঠেছে। এ যেন বাংলার বুকে ইসলামী ‘বাংলা বসন্ত’।
‘প্যারাডক্সিক্যাল সাজিদ’ প্রকাশের পর নাস্তিকপাড়ায় যেন নেমে এসেছে অমানিশার অন্ধকার। কী করেনি তারা? কী বাদ রেখেছিলো? লেখককে ব্যক্তিগত আক্রমণ, তাঁর বইয়ের ফেইক পিডিএফ, ফেইক এপ্স, ইউটিউব ভিডিও করে তাকে গালাগালি, জঙ্গী, ইডিয়ট সহ নানান রকম কুৎসা তারা রটিয়েছে। কিন্তু সাজিদ এগিয়ে গেছে তার নিজস্ব গতিতে। সত্য যেমন এগিয়ে চলে তার নিজস্ব পথে, সেরকম।প্রতিশ্রুতিশীল লেখক আরিফ আজাদ এবারও নতুন আরেকটি বই নিয়ে আমাদের সামনে হাজির হয়েছেন এই বইমেলায়। বইটির নাম- ‘আরজ আলী সমীপে’। আরজ আলী হলেন বাংলা নাস্তিকদের পুরোধা। প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষাবিহীন এই লোক নিজেকে স্বশিক্ষিত হিসেবে দাবি করতেন। তিনি নাস্তিকতার পক্ষে একটি বই লিখেছিলেন। বইটার নাম ছিলো – ‘সত্যের সন্ধান’। সেই বইতে ধর্ম, আল্লাহ, আত্মা, পরকাল ইত্যাদি বিষয় নিয়ে তিনি সন্দেহ সৃষ্টিকারী কিছু প্রশ্ন উপস্থাপন করেছেন। লেখক আরিফ আজাদ উনার ‘আরজ আলী সমীপে’ বইতে সেসমস্ত যুক্তি, প্রশ্নগুলোকে ধরে ধরে জবাব দেওয়ার চেষ্টা করেছেন।
এই বইটিও প্রকাশের আগে বাংলা নাস্তিক সমাজে ‘চুলকানির’ কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে ইতোমধ্যে।
SKU: n/a -
-
-
ড. খোন্দকার আব্দুল্লাহ জাহাঙ্গীর রহ., আস-সুন্নাহ পাবলিকেশন্স
খুতবাতুল ইসলাম
সুন্নাতের আলোকে খুতবা ও মাতৃভাষা
আমাদের দেশে অনেক মসজিদে আরবী খুতবার আগে বাংলায় আলোচনা করা হয়। কেউ বা আরবী খুতবার মধ্যেই বাংলায় আলোচনা করেন। কেউ খুতবার আগে পরে কোনোরূপ আলোচনা করেন না। খুতবার মধ্যে, পূর্বে বা পরে অনারব ভাষায় কোনো অনুবাদ বা ওয়ায করা যাবে কিনা এ বিষয়ে মতভেদ রয়েছে। এ মতভেদের উদ্দেশ্য মহৎ, তা হলো সুন্নাতে নববীর পরিপূর্ণ অনুসরণ করে খুতবার ইবাদত পালন করা। এজন্য সুন্নাতের পরিচয়, খুতবার বিষয়ে সুন্নাতে নববী এবং সুন্নাতের আলোকে খুতবার আগে, পরে বা মধ্যে মাতৃভাষায় বয়ান বিষয়ে আলোচনা করেতে চাই। আল্লাহর তাওফীক প্রার্থনা করছি।
এবিষয়ে বিস্তারিত জানতে বইটি সংগ্রহ করুণ !!!
SKU: n/a -
সবুজ পত্র
উসূলুল ঈমান : ঈমানের মৌলিক নীতিমালা
বই পরিচিতি # ১৬
বই: উসূলুল ঈমান : ঈমানের মৌলিক নীতিমালা
ISBN: 978-984-8927-16-8
বিষয়: ইসলামী আকীদা-বিশ্বাস
মূল লেখক: মদীনা ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের কয়েকজন বিশেষজ্ঞ আলেম
অনুবাদ: ড. মোহাম্মদ মানজুরে ইলাহী ও ড. আবুবকর মুহাম্মাদ যাকারিয়া
প্রচ্ছদ: দেলোয়ার হোসেন
পৃষ্ঠা-৩৬০, অপসেট পেপার, বোর্ড বাঁধাই।SKU: n/a -
সমর্পণ-সন্দীপন
বাতায়ন
রাজা প্রশ্ন করলেন, “ডাক্তারের সংখ্যা বেশি, নাকি রোগীর সংখ্যা বেশি?” সভাসদেরা জবাব দিলেন রোগীর সংখ্যা বেশি। শুধু গোপাল ভাঁড় বলল ডাক্তারের সংখ্যা বেশি। এটা প্রমাণ করতে পরদিন সে অসুস্থ হওয়ার ভান করে রাজদরবারে এলো। রোগের ধরন শোনার পর রাজা-উজির-মন্ত্রী সকলেই নিজ নিজ মতামত দিতে লাগলেন। কেউ বলে এটা খাও, কেউ বলে ওটা মাখো। প্রমাণ হয়ে গেল যে, ডাক্তারের সংখ্যাই বেশি। মানুষ আসলে নিজের মতামত জানাতে পছন্দ করে৷ পত্র-পত্রিকার সীমিত পরিসরে সবার মত ছাপা হয় না। তাই অনেকেই বেছে নেয় ব্লগ। হয়ে ওঠে ব্লগার। কিন্তু ব্লগ মানেই কি শুধু নাস্তিকদের আখড়া? এখানে কি শুধুই ধর্ম নিয়ে গালাগালি চলে? উত্তর হচ্ছে “না।” পরিবার, সমাজ, দেশ, রাজনীতি, বিজ্ঞান, সাহিত্য সহ জীবনের প্রায় সকল দিক নিয়েই ব্লগে লেখা হয়। আবার জীবনের এই দিকগুলো নিয়ে ইসলামি দৃষ্টিকোণ থেকেও লেখালেখি করেন অনেকে৷ এমনই কিছু লেখককে একত্র করার একটি প্ল্যাটফর্ম হলো বাংলা ইসলামি ব্লগ “মুসলিম মিডিয়া”। মুসলিম মিডিয়া হতে চায় আমাদের মনের ঘরের একটি জানালা, যার মধ্য দিয়ে ইসলামের আলো এসে পড়বে ঘরটির দেয়ালে, মেঝেতে। সেখান থেকে নির্বাচিত কিছু আলোকরশ্মিকে মলাটবদ্ধ তৈরি হচ্ছে মুসলিম মিডিয়ার প্রথম বই “বাতায়ন”। বই : বাতায়ন লেখক : মুসলিম মিডিয়া ব্লগ সম্পাদনা : ড. আবু বকর মুহাম্মাদ জাকারিয়া পৃষ্ঠা : ২১৬
SKU: n/a -
Bookish Publisher, নোমান আলী খান
উপমার শৈল্পিকতায় মুগ্ধময় কুরআন
▪বইয়ের নাম :- উপমার শৈল্পিকতায় মুগ্ধময় কুরআন
▪লেখক :- নোমান আলি খান
▪প্রকাশক :- বুকিশ পাবলিশার্স|| “উপমার শৈল্পিকতায় মুগ্ধময় কুর’আন” – উস্তাদ নোমান আলী খান ||আল-কুর’আনের প্রজ্ঞাময় পবিত্র জীবনব্যবস্থার সাথে তার সাহিত্য শৈলিও যে মু’জিযার অন্তর্ভুক্ত সেকথা কতোজনই বা জানে! বাংলাভাষায় আলঙ্কারিক কুর’আনের সাহিত্যশৈলির উপর কাজ নেই বললেই চলে। অথচ এর উপলব্ধি কুরআনের সাহিত্যমান, চ্যালেঞ্জ ও এর মূল্যায়ন বুঝতে বেশ জরুরী। সাইয়েদ কুতুব শহীদ (রাহিমাহুল্লাহ) প্রথম স্বতন্ত্রভাবে বিস্তৃত পরিসরে এর রচনা শুরু করেন তার “তাফসির ফি যিলালিল কুর’আন” এর অনন্য ভূমিকা হিসেবে স্বতন্ত্র “আল-কুরআনের শৈল্পিক সৌন্দর্য” বইতে। আমরা এখানে উপমা ও বাগধারার ক্ষেত্রে অনন্য এক মাত্রা যোগ করবো ইন শাআ আল্লাহ।কুর’আনে রয়েছে বর্ণনা, যুক্তি, উপমা ও বাগধারা-অভিব্যক্তিসহ উচ্চমাত্রিক সাহিত্য-অলঙ্কারের সমাবেশ। কুর’আন নাযিলের পর মুশরিকরা কেন একে পরাজিত করতে সেসময়কার সবচেয়ে উচ্চ শিক্ষিত কবি-সাহিত্যিকদের পাঠাতো? তারাই বা কেন বলতো “এ কুর’আন মানুষের পক্ষে রচনা করা অসম্ভব”, অথচ এ তো তাদেরই ভাষায় নাযিলকৃত! ফলে, তখনকার কাফির-মুশরিকরা কুর’আনের অনন্যতা ও অলঙ্কার বুঝতে পেরে যেভাবে নুইয়ে পড়তো, আজ আমরা মুসলিমরাও সেই অনন্য শক্তি ও শৈলি থেকে দূরে, বিস্মৃত। অথচ এর সৌন্দর্য, শৈলি, চ্যালেঞ্জ ও মূল্যায়ন আমাদেরকে কুর’আনের অমূল্যতা বুঝতে ও এর প্রতি ভালোবাসার তীব্রতা জাগাতে অনন্য ভূমিকা পালন করে।কুর’আনের অলঙ্কারের এই উপমা-বাগধারার অভ্রভেদী বয়ান ও সেই বর্ণনায় বর্ণিত অনন্য শৈলির হেদায়াত সরলভাবে বর্ণিত হয়েছে উস্তাদ নোমান আলী খানের সংকলন গ্রন্থ “উপমার শৈল্পিকতায় মুগ্ধময় কুর’আন” বইটিতে। এসব উপমা মুমিনদের প্রাণে দেয় দৃঢ়তা আর অলঙ্কারের নিশ্ছেদ্র শক্তি অবিশ্বাসীদের অন্ধ বিশ্বাসকে করে ভঙ্গুর।আমাদের জন্য দোয়া করবেন যেন সামনে আরো ভালো কিছু আনতে পারি বাংলায় নতুন সংযোজন হিসেবে; বিশেষত কুর’আনের ভালোবাসায় সিক্ত হতে।কন্টেন্ট তৈয়ারঃ Nouman Ali Khan Collection In Banglaপ্রকাশনায়ঃ Bookish PublisherSKU: n/a
Cart totals
Subtotal | ₹4,143.00 |
---|---|
Shipping |
Shipping to West Bengal. |
Total | ₹4,573.00 |