বইটিতে নারীকে সম্বোধন করে অনেক সুন্দর -সুন্দর নাসিহা করেছেন আরিফি স্যার৷ ইসলামে নারীর অবদান, ভূমিকা সব নিয়েই আলোচনা করেছেন৷ সে থেকেই বুঝা যায় পূর্বেকার নারী আর বর্তমানের নারীদের মাঝে আকাশ-পাতাল তফাত৷
প্রথম বক্তব্য ‘চ্যালেঞ্জের মুখোমুখী নারী’ এ অধ্যায়টি পড়ে নিজের মধ্যে কেমন যেন একটা সাহস এসেছে৷ কেমন যেন এক মুঠো শক্তি পেলাম৷
১৭ নং পৃষ্টাতে সাহাবি আনাস রাদিয়াল্লাহু আনহুর আম্মুর ঘটনাটা ভালই লেগেছে৷ নিজেকে আরো একটু ঠাইঁ দিয়ে বললাম, তারাও তো নারী ছিসলো, তারা জান্নাতী হতে পারলে আমরা পরব না কেন? ৬৫ পৃষ্টা থেকে ‘নারীর ঈমান দীপ্ত দাস্তান’ নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে৷ এগুলো নিজেকে কন্ট্রোল করতে পারছিলাম না৷
১৩৯ পৃষ্টা থেকে নারীর মর্যাদা নারীর সংগ্রাম নিয়ে আলোচনা করেছেন৷
কী বলব! পুরো বইটা অনুনয়-বিনয় করে লেখক আমাদেরকে একজন জান্নাতী নারী বানাতে চেয়েছেন৷ লেখক নারীদের জান্নাতী হওয়ার উৎসাহ দিতে নবিজীর যুগের বিভিন্ন নারীদের ঘটনা, কিংবা পরবর্তী যুগের শিক্ষণীয় ঘটনার দ্বারায় বুঝিয়ে-সুঝিয়ে একজন মহিয়সী নারী বানানোর চেষ্টা করেছেন৷ খুব কাছ থেকে স্পৃহা দিয়ে লেখক কথাগুলো নারীদের বলেছেন৷
এই দুনিয়াতে শুধু সাজ-গোজ, আহার করলেই হবে না৷ নিজেকে জান্নাতী নারীদের কাতারে দাঁড় করাতে হবে৷ হতে হবে মহিয়সী নারী৷ ইতিহাস যাদের জীবন-চরিত রচনা করে গেছে৷পরিশেষে বলব, বোনদের এ বইটি সংগ্রহ করে পড়া উচিত৷ নিজেকে জান্নাতী নারীদের কাতারের দাঁড় করানো উচিত৷
উপসংহার:
আল্লাহ তায়ালা লেখক, অনুবাদ, প্রকাশকসহ সবাইকে কবুল করুন৷ এ বইটির উসিলা করে পরজনমে সুখ ও জান্নাত দান করুন আমিন৷
There are no reviews yet.