You may be interested in…
-
পথিক প্রকাশন
কিতাবুল ফিতান ১ম খন্ড
সাঈদ ইবনুল মুসাইয়্যাব রহিমাহুল্লাহ থেকে বর্ণিত—তিনি বলেন, শামদেশে ব্যাপক ফিতনা দেখা দিবে। যখনই উক্ত দেশের কোনো প্রান্তের ফিতনা একটু শান্ত হবে, তখনই অন্য প্রান্তে উত্তপ্ত হয়ে উঠবে। এভাবে চলতে থাকবে, যা কখনো স্থিতিশীল হবে না, একপর্যায়ে একজন ঘোষক আসমান থেকে ঘোষণা করবে, হে লোকসকল! নিঃসন্দেহে অমুক হচ্ছে (ইমাম মাহদি) তোমাদের আমির।
নোট: এই হাদিসটির সত্যতা ইতিমধ্যেই আমরা দেখতে পাচ্ছি। বর্তমানে সিরিয়ার যুদ্ধবিগ্রহ আস্তে আস্তে বর্তমান পৃথিবির সকল সুপার পাওয়ারদের গ্রাস করে ফেলছে। খুব শীঘ্রই আমরা এসব সুপার পাওয়ারদের পতন দেখতে পাবো ইনশা আল্লাহ। আর সিরিয়ার এই ফিতনা চলবে ১২ থেকে ১৮ বছর, ইতিমধ্যেই আমরা ৯ বছর অতিবাহিত করে ফেলেছি। তাই বর্তমান জালেম সুপার পাওয়ারদের পতন ও মুসলমানদের সুদিন খুব বেশি দূরে নয় ইনশা আল্লাহ। তবে তার আগে মুসলমানদের সন্তান প্রসব বেদনার মত অনেক দুর্যোগ অতিবাহিত করতে হবে।
[কিতাবুল ফিতান : ৬৭৩]
[মুজামুত তাবরানি : ৪৬৬৬; মাকতু, যয়িফ]SKU: n/a -
মাক বায়ান
তাবিয়িদের চোখে দুনিয়া
রাতের বেলা আল্লাহ তাআলা আমাদের সবচেয়ে নিকটবর্তী আসমানে অবতরণ করেন। আমাদের ডাকতে থাকেন। তিনি বলতে থাকেন, ‘কেউ আছে কি মাগফিরাত কামনাকারী, আমি তাকে মাফ করব? কেউ কি আছে প্রার্থনাকারী, আমি তার ডাকে সাড়া দেবো? কেউ কি আছে দুআকারী, আমি তার দুআ কবুল করব?’ [মুসলিম : ১৬৫০]
তাঁর সে ডাকে কতজনই-বা সাড়া দেয়। আমরা তো সারাদিন দুনিয়ার জন্যে দৌড়াদৌড়ি করি, আর রাতের বেলা মরার মতো ঘুমাই। অথচ তাবিয়িরা আল্লাহর ভয়ে এতটাই ভীত থাকতেন যে, রাতের বেলা ঘুমোতে পারতেন না ঠিকমতো।
আমির ইবনু কায়েস রহিমাহুল্লাহ-কে তার মেয়ে একদিন জিজ্ঞেস করল, “কী ব্যাপার বাবা! আমি (রাতের বেলা) সবাইকে ঘুমোতে দেখি, কিন্তু আপনাকে কখনও ঘুমোতে দেখি না যে!”
তখন আমির ইবনু কায়েস জবাব দিলেন, “মেয়ে আমার! জাহান্নাম তো তোমার বাবাকে ঘুমোতে দেয় না।” [তাবিয়িদের চোখে দুনিয়া, হাদীস : ০১]SKU: n/a -
মাক বায়ান
সীরাতুন নবি ৪
কেউ যদি আল্লাহকে ভালোবাসতে চায়, আল্লাহর দয়া পেতে চায়, পরকালীন সাফল্য অর্জন করতে চায়—তাকে অবশ্যই নবি মুহাম্মাদ স.-এর আদর্শ আঁকড়ে ধরতে হবে। কেননা আল্লাহ তাআলা বলেন, “(হে মুহাম্মাদ!) তুমি বলে দাও, ‘যদি তোমরা যথার্থই আল্লাহকে ভালোবাসো, তা হলে আমার অনুসরণ করো, আল্লাহ তোমাদের ভালোবাসবেন এবং তোমাদের গোনাহ মাফ করে দেবেন।’” [সূরা আ ল ইমরান : ৩১]
.
কাজেই আল্লাহকে পেতে হলে, অবশ্যই নবিজিকে মেনে চলতে হবে। তাঁর রেখে-যাওয়া সুন্নাহর অনুসরণ করতে হবে। তাঁর আদর্শ বাস্তবায়ন করতে হবে জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে। তবেই কেবল ইহকালীন শান্তি ও পরকালীন নাজাত পাওয়া সম্ভব হবে।
.
বিভিন্ন পরিস্থিতিতে নবিজি কী ধরনের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন, কোন কোন দিক-নির্দেশনা রেখে গেছেন আমাদের জন্যে ইত্যাদি বিষয়ে বিস্তারিত ধারণা রাখতে হবে প্রতিটি মুসলিমকে। আর এই বিষয়ে জানার সবচেয়ে সহজ মাধ্যম হচ্ছে “সীরাত”। তাই এমন একটি বিশুদ্ধ সীরাত-গ্রন্থ আমাদের সামনে থাকা জরুরি, যেখানে কোনো ঐতিহাসিক বর্ণনা বা দুর্বল হাদীস থাকবে না। বরং স্বয়ং নবিজির জবানের মাধ্যমে ও তাঁর সাহাবিদের জবানের আলোকে নবিজির জীবনী বর্ণিত হবে। যেটাকে মুসলিমরা দলিল হিসেবে ব্যবহার করতে পারবে নির্দ্বিধায়। তবে হাদীসের বিপুল ভাণ্ডার থেকে অনুসন্ধান চালিয়ে—বিশুদ্ধ হাদীসগুলো নবিজির জন্ম থেকে মৃত্যু পর্যন্ত সময়ের ক্রমধারা অনুসারে সাজানোটা অত্যন্ত কষ্টসাধ্য কাজ।
.
আল-হামদু লিল্লাহ, সেই কষ্টসাধ্য কাজটিই সম্পন্ন করেছেন আরব-বিশ্বের বিখ্যাত হাদীসবিশারদ শাইখ ইবরাহীম আলি রহ.। তিনি “সহীহুস সীরাতিন নাবাবিয়্যাহ” নামে বিশুদ্ধ হাদীসের বর্ণনার আলোকে নবিজির সীরাত লিখেছেন। যেখানে কোনো দুর্বল হাদীস কিংবা ঐতিহাসিকদের দেওয়া বর্ণনা স্থান দেননি। না, এটি কেবল আমাদের দাবি নয়। বরং সামসময়িক বিখ্যাত মুহাদ্দিসরাও এ কথার স্বীকৃতি দিয়েছেন। শাইখ ড. উমার সুলাইমান আশকার এ সীরাত-গ্রন্থ সম্পর্কে মন্তব্য করতে গিয়ে বলেন, “নবি স.-এর সীরাত-বিষয়ক বর্ণনার বিক্ষিপ্ত ও বিপুল পরিমাণ তথ্যকে এই গবেষক তাঁর এই গ্রন্থে একত্র করতে সক্ষম হয়েছেন। এসব বর্ণনাকে সুবিন্যস্ত বিষয়াবলীতে বিভক্ত করে, এদের মধ্যে আন্তঃসম্পর্ক স্থাপনের ক্ষেত্রেও তিনি সমানভাবে সফল। এই গ্রন্থের সবচেয়ে বড় বিশেষত্ব হলো—এখানে কেবল বিশুদ্ধ বর্ণনাকে স্থান দেওয়া হয়েছে। এ গ্রন্থকে দুর্বল ও জাল হাদীস থেকে দূরে রাখা হয়েছে।” [সীরাতুন নবি : ১/১৮]
.
জর্দান বিশ্ববিদ্যালয়ের হাদীস বিভাগের সাবেক অধ্যাপক শাইখ ড. হুম্মাম আবদুর রহীম এই সীরাত সম্পর্কে মন্তব্য করতে গিয়ে বলেছেন, “অনেক বছরের অক্লান্ত চেষ্টা, সাধনা ও অধ্যবসায়ের পর (হাদীস-ভিত্তিক সীরাত রচনার) এ প্রচেষ্টা সফল হলো। (এ গ্রন্থে) লেখক সীরাতের বিচিত্র তথ্যাবলি জমা করার পাশাপাশি, বিপুল-সংখক হাদীসের মানগত অবস্থান উল্লেখ করেছেন এবং দুর্বোধ্য শব্দগুলোর ব্যাখ্যা দিয়েছেন। এ কথা বলতে পারি, মুহাদ্দিসদের দৃষ্টিকোণ থেকে সীরাত লেখার ক্ষেত্রে এ গ্রন্থটি অচিরেই অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ সূচনাকর্মের মর্যাদা লাভ করবে।” [সীরাতুন নবি : ১/২২]
.
শাইখ ইবরাহীম আলি’র এ কিতাবটি আজও আরবের মুহাদ্দিসদের নিকট রেফারেন্স-বুক হিসেবে সমাদৃত। কিতাবটি পাঠের মাধ্যমে প্রিয় নবি স.-এর জীবনে ঘটে-যাওয়া ঘটনাগুলোর এক নিখাঁদ চিত্র আমাদের সামনে ফুটে উঠবে, যার মধ্যে থাকবে না কোনও সন্দেহ-সংশয়। রাসূল স.-এর নির্ভুল জীবনী জানার মাধ্যমে তাঁর সঙ্গে আমাদের ভালোবাসা আরও সুদৃঢ় হবে।
.
বই : সীরাতুন নবি (সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম)
লেখক : শাইখ ইবরাহীম আলি (রহিমাহুল্লাহ)
অনুবাদক : শাইখ জিয়াউর রহমান মুন্সীSKU: n/a -
সবুজ পত্র
উসূলুল ঈমান : ঈমানের মৌলিক নীতিমালা
বই পরিচিতি # ১৬
বই: উসূলুল ঈমান : ঈমানের মৌলিক নীতিমালা
ISBN: 978-984-8927-16-8
বিষয়: ইসলামী আকীদা-বিশ্বাস
মূল লেখক: মদীনা ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের কয়েকজন বিশেষজ্ঞ আলেম
অনুবাদ: ড. মোহাম্মদ মানজুরে ইলাহী ও ড. আবুবকর মুহাম্মাদ যাকারিয়া
প্রচ্ছদ: দেলোয়ার হোসেন
পৃষ্ঠা-৩৬০, অপসেট পেপার, বোর্ড বাঁধাই।SKU: n/a -
মাক আসলাফ
শয়তানের চক্রান্ত
একসময় অসহায় লাগত সালাফদের বই না পড়তে পেরে। লেকচারে সালাফদের নাম শুনতাম তখন তাদের প্রতি ভালোবাসা বেড়ে যেত। তাদের সংস্পর্শে যেতে ইচ্ছে করত, এ যুগে তাদের সাথে থাকার মানে তাদের বইয়ের সোহবত এ থাকা। দীর্ঘদিন তাদের বইয়ে মনোমুগ্ধকর অনুবাদের খরা গিয়েছে। আলহামদুলিল্লাহ এখন অনেকে ই তাদের নিয়ে কাজ করছে।
Maktabatul Aslaf তাদের একটি যারা সালাফদের নিয়ে কাজ করে যাচ্ছে। তাদের নতুন বই ইমাম ইবনু আবিদ দুনইয়া রহিমাহুল্লাহ এর “মাকায়িদুশ শাইতান ও যাম্মুল মালাহি” গ্রন্থদ্বয়ের অনুবাদ “শয়তানের চক্রান্ত” এসেছে।
সালাফদের বই নিয়ে বেশি কিছু বলার থাকে না, শুধু বলতে হয় “পড়ুন, আমল করুন, বলুন”।
বইটি কি নিয়ে!
আমাদের নিয়ে শয়তানের বিভিন্ন চিন্তা-চেতনার গোমড় এখানে ফাস করে দেওয়া হয়েছে। তাই এই পরিস্থিতিতে বলা যায় প্রশ্ন ই নয় সঠিক উত্তর ও আপনাকে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। তাই পাঠকের উচিত হবে তা আমল করা।
বইয়ের কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ অংশের মধ্যে অন্যতম হল আমরা এমন সব কাজ এখনো করে থাকি যা শয়তানকে খুশি করে এবং তা আপনাকে সত্য থেকে পদস্খলিত করার ফাদের একটি।
যেমন – গান, লুডু খেলা, দাবা খেলা, জুয়া খেলা, গুটি খেলা, বাজিধরা ইত্যাদি নিয়ে সহিহ রেফারেন্সে সতর্ক করা হয়েছে।
এছাড়া সমকামিতা নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে এবং তার ভয়াবহতা সহিহ সূত্রে আলোকপাত করা হয়েছে।
বইয়ের বিশেষত্ব হল আপনাকে শুধু শুয়তানের চক্তান্তের কথা ই বলা হয় নি তা থেকে বেচে থাকার পথ ও বলে দেওয়া হয়েছে।
আপনার দায়িত্ব বই সংগ্রহ করে পড়া, আমল করা এবং অন্যকে সতর্ক করা।
SKU: n/a -
মাক আসলাফ
সালাফের দরবারবিমুখতা
সালাফের দরবারবিমুখতা
আমাদের সত্যনিষ্ঠ মহান মনীষীরা রাজা-বাদশাদের কাছ থেকে সর্বাবস্থায় সর্বোচ্চ দূরত্ব অবলম্বন করতেন। বৈষয়িক জগতের আবিলতা ও অশুচিতায় জড়িয়ে যাওয়ার ভয়ে কীভাবে তারা শাসকগোষ্ঠীর দর্শন, তাদের দরবারে গমনাগমন থেকে নিজে বিরত থাকতেন এবং অন্যদেরকে বিরত থাকতে কড়া তাগিদ দিতেন, কখনো শাসকের সামনে উপস্থিত হয়ে গেলে কীভাবে তাদের অগ্নিঝরা উচ্চকণ্ঠে নিনাদিত হতো সত্যের আপোসহীন দাবি, মজলুমের মোকাদ্দমা, শাসকের বিভিন্ন অন্যায়, অনাচার ও অবিচারের কঠোর প্রতিবাদ—এসব জীবন্ত গল্প ও তাদের বাস্তব অভিজ্ঞতা-নিংড়ানো মুক্তোসদৃশ উপদেশমালায় সমৃদ্ধ হয়েছে এই গ্রন্থ।
গ্রন্থটি হিজরী তৃতীয় শতাব্দী—মানে, আজ থেকে প্রায় ১২০০ বছর আগে লেখা। অথচ আজও তা কত প্রাসঙ্গিক, পাঠক বইটি হাতে নিলেই তা টের পাবেন!
বরং দরবারময় বর্তমানের চেয়ে কোনো যুগে মনে হয় এটা এত প্রাসঙ্গিক ছিল না। আলেম ও ইসলামপন্থীদের জবুথবু অসহায়ত্ব, প্রশাসনের সঙ্গে দৃষ্টিকটু পর্যায়ে মাখামাখি, ন্যায্য ও অন্যায্য বিভিন্ন অজুহাতে শাসকের দরবারে গমন, তাদের অন্তরঙ্গ সান্নিধ্য ও কৃপাদৃষ্টি লাভের প্রাণান্তকর প্রয়াস—সর্বোপরি গণমানুষের প্রতি শাসকের নির্লজ্জ জুলুমবাজি, মুসলমানদের প্রতি নানাবিধ উৎপীড়ন ও অন্যায় আচরণের সামনেও মুখ বুজে নীরব দর্শক হয়ে থাকার লাঞ্ছনাকর দৃশ্য সর্বত্রই বিরাজমান।
এটা দীন ও উম্মাহর সঙ্গে বিশ্বাসঘাকতা। ঈমান ও বিবেকের সঙ্গে প্রতারণা। মহান সালাফের সালেহীনের প্রতি বে-ওফাদারি। আলেমদের ইতিহাস ও মর্যাদার সঙ্গে নেহায়েত অশিষ্টাচারসুলভ ও বেমানান।
সালাফে সালেহীন কীভাবে শাসকের দরবার থেকে বাঁচার প্রাণপণ চেষ্টা করতেন আর তাদের অনুসারী হওয়ার দাবিদার আমরা আজ কীভাবে শাসকের কৃপাদৃষ্টি লাভের কুপ্রতিযোগিতায় লিপ্ত, সেই ফারাক তুলে ধরা হয়েছে বইটিতে।
লেখক—ইমাম আবু বকর মাররুযি রহ. (মৃত্যু: ২৭৫ হি.)
অনুবাদ, সংযোজন ও সম্পাদনা—শাইখ মীযান হারুন
পৃষ্ঠা সংখ্যা—১১২SKU: n/a -
আরিফ আজাদ, সমকালীন
আরজ আলী সমীপে
সেই উত্তাল সময়ের কথা মনে পড়ে? আল্লাহ, নবী, রাসূল (সাঃ) কে নিয়ে ব্লগে, ফেইসবুকে নাস্তিকদের কদাকার, কুৎসিত, অসভ্য সব মিথ্যাচার তখন চারদিকে। দেশটাও অশান্ত।
তারা লিখতো আর আমাদের বলতো, – ‘মোল্লাগন! পারলে লেখার বিরুদ্ধে লিখো। কলমের বিরুদ্ধে কলম ধরো। যুক্তির বিরুদ্ধে আনো যুক্তি….’
তাদের অসভ্যতা আর নোংরামি দেখে বুকটা ফেঁটে যেতো। আমাদের ধর্ম আমাদের কাছে প্রাণের চেয়েও প্রিয়। এই ধর্ম নিয়ে কটুক্তি সহ্য হয়? সহ্য হয়নি কারো। আমাদেরই মধ্য থেকে ‘আরিফ আজাদ’ নামের একজন এগিয়ে এলেন। এর আগে অবশ্য অনেকেই অনেকভাবে এগিয়ে এসেছেন। তবে, আরিফ আজাদ যেন তাদের সামনে ছুড়ে দিলেন মরণঘাতী এক বোমা। নিয়ম করে লিখতে লাগলেন সেই নাস্তিক্যবাদীদের মিথ্যাচারের বিরুদ্ধে। যুক্তির পরতে যুক্তি। তথ্যের পরতে তথ্য। মিথ্যার আবরণ সরিয়ে আরিফ আজাদ যেন নির্মাণ করে চলেছেন বিশ্বাসের এই সুউচ্চ মিনার।
রচিত হয়ে গেলো ‘প্যারাডক্সিক্যাল সাজিদ’। এরপর? এরপর বাকিটা ইতিহাস। এই ইতিহাস বিজয়ের। এই ইতিহাস মিথ্যার বিরুদ্ধে সত্যের জয়ী হবার ইতিহাস। আজ চারদিকে বিশ্বাসীদের ফল্গুধারা। চারিদিকে আজ অসংখ্য, অজস্র সাজিদ জেগে উঠেছে। এ যেন বাংলার বুকে ইসলামী ‘বাংলা বসন্ত’।
‘প্যারাডক্সিক্যাল সাজিদ’ প্রকাশের পর নাস্তিকপাড়ায় যেন নেমে এসেছে অমানিশার অন্ধকার। কী করেনি তারা? কী বাদ রেখেছিলো? লেখককে ব্যক্তিগত আক্রমণ, তাঁর বইয়ের ফেইক পিডিএফ, ফেইক এপ্স, ইউটিউব ভিডিও করে তাকে গালাগালি, জঙ্গী, ইডিয়ট সহ নানান রকম কুৎসা তারা রটিয়েছে। কিন্তু সাজিদ এগিয়ে গেছে তার নিজস্ব গতিতে। সত্য যেমন এগিয়ে চলে তার নিজস্ব পথে, সেরকম।প্রতিশ্রুতিশীল লেখক আরিফ আজাদ এবারও নতুন আরেকটি বই নিয়ে আমাদের সামনে হাজির হয়েছেন এই বইমেলায়। বইটির নাম- ‘আরজ আলী সমীপে’। আরজ আলী হলেন বাংলা নাস্তিকদের পুরোধা। প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষাবিহীন এই লোক নিজেকে স্বশিক্ষিত হিসেবে দাবি করতেন। তিনি নাস্তিকতার পক্ষে একটি বই লিখেছিলেন। বইটার নাম ছিলো – ‘সত্যের সন্ধান’। সেই বইতে ধর্ম, আল্লাহ, আত্মা, পরকাল ইত্যাদি বিষয় নিয়ে তিনি সন্দেহ সৃষ্টিকারী কিছু প্রশ্ন উপস্থাপন করেছেন। লেখক আরিফ আজাদ উনার ‘আরজ আলী সমীপে’ বইতে সেসমস্ত যুক্তি, প্রশ্নগুলোকে ধরে ধরে জবাব দেওয়ার চেষ্টা করেছেন।
এই বইটিও প্রকাশের আগে বাংলা নাস্তিক সমাজে ‘চুলকানির’ কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে ইতোমধ্যে।
SKU: n/a -
সমর্পণ-সন্দীপন
দরজা এখনও খোলা
তুমি যে পথে হাঁটছ, ওটা অন্ধকারের পথ। বিন্দুমাত্র আলো নেই ওখানে। ও পথ যতই পাড়ি দেবে, ততই হারিয়ে যাবে নিকষকালো আঁধারে। তুমি অন্ধকারে হাঁটবে আর পথহারা হবে। আঁধারের বাঁদুরেরা তোমায় ভয় দেখাবে ক্ষণে ক্ষণে। একাকী তুমি আরও ভীতসন্ত্রস্ত হয়ে পড়বে। ভীত-বিহ্বল চিত্তে একসময় ক্লান্ত-পরিশ্রান্ত হয়ে তলিয়ে যাবে অতল ভয়ানক খাঁদে। পথিক! তোমায় আলোর পথে ডাকছি। এখানে আলোআঁধারি খেলা নেই। নেই আঁধারের বাঁদুরের কোনো স্থান। চারিদিকে কেবল আলো আর আলো। এখানকার আলো থেকে ছিটকে-পড়া পুণ্যময় রশ্মিগুলো, তোমায় নিত্য ডাকছে হাতছানি দিয়ে। এ পথে হাঁটলে তুমি কখনও পথহারা হবে না। অতল তলে হারিয়ে যাবে না। এর শেষটা মিশে আছে জান্নাতের সাথে। এ পথের দরজা এখনও খোলা আছে। এসো তবে ফিরে… বই : দরজা এখনও খোলা লেখক : ইমাম ইবনু আবিদ দুনইয়া (রহিমাহুল্লাহ) অনুবাদক : মুহাম্মাদ ইউসুফ আলী বইয়ের নাম- দরজা এখনো খোলা লেখক- ইমাম ইবনু আবিদ দুনইয়া (রাহিমাহুল্লাহ) অনুবাদক- এম এ ইউসুফ আলী প্রকাশনী- সমর্পণ প্রকাশন মোট পৃষ্ঠা : ৭২ বইয়ের ধরণ- আত্মশুদ্ধি, আত্মিক উন্নয়ন, ইসলামিSKU: n/a -
সমর্পণ-সন্দীপন
সিসাঢালা প্রাচীর
মুসলিম উম্মাহ হলো একটি দেহের মতো। আফ্রিকার অধিবাসী কোনো মুসলিম যদি সাহায্যের জন্যে হাত বাড়ায়, তবে ভারতবর্ষে বসেও একজন মুসলিম সে আহ্বানে সাড়া দেয়। আটলান্টিকের এক অজানা স্থান থেকেও যদি কোনো মুমিনের আর্তচিৎকার ভেসে আসে, তবে পুরো মুসলিমজাতি তাতে পেরেশান হয়ে যায়। যেমনিভাবে একজন মুসলিম রমণীর জন্যে সতেরো হাজার সাদা-কালো ঘোড়া নিয়ে ছুটে গিয়েছিলেন খলিফা মু’তাসিম, তেমনিভাবে ওই মুসলিমকে সাহায্য করার জন্য ছুটে যায় তারা। এটাই ইসলামি ভ্রাতৃত্ববোধ। এটাই ঈমানি দায়িত্ব। এভাবেই মুমিনরা একতাবদ্ধ হয়ে গড়ে তোলে সিসাঢালা প্রাচীর। যে প্রাচীর কখনও পরাভূত হয় না। ক্ষয়ে যায় না। শত্রুর প্রবল আঘাতেও এ প্রাচীর গুঁড়িয়ে যায় না। ঠায় দাঁড়িয়ে থাকে মাথা উঁচু করে। বই : সিসাঢালা প্রাচীর লেখক : ইমাম ইবনু আবিদ দুনইয়া (রহিমাহুল্লাহ) অনুবাদক : মুনীরুল ইসলাম ইবনু জাকির বইয়ের নাম- সিসাঢালা প্রচীর লেখক- ইমাম ইবনু আবিদ দুনইয়া (রাহিমাহুল্লাহ) অনুবাদ- মুনীরুল ইসলাম ইবনু জাকির প্রকাশনী- সমর্পণ প্রকাশন
মোট পৃষ্ঠা : 80
বইয়ের ধরণ- আত্মউন্নয়ন, মোটিভেশনালSKU: n/a -
আরিফ আজাদ, সমকালীন
প্যারাডক্সিক্যাল সাজিদ ২
সাজিদের কথা শুনে ফিক করে হেসে ফেললো রাজিব। সম্ভবত চেহারার উপমাটা শুনে সে খুব মজা পেয়েছে। হেসে ফেললাম আমিও। হাসাহাসির পর্ব শেষে সাজিদ আবারও সমুদ্র বিলাসে ডুব দিলো। সাঁ সাঁ করে বাতাস বইছে সাগরের বুকে। জাহাজের দোলুনি খেতে খেতে আমরা ছুটে চলছি। অন্ধকার রাত। এই তল্লাটে কেবল আকাশ আর সাগরের মিতালী।
অনেকক্ষণ পরে রাজিব আবারও প্রশ্ন করে বসলো সাজিদকে। বললো, ‘তোমার নাকি সমুদ্র খুব পছন্দের?’
-‘হুম’।
-‘কেনো?’
-‘সমুদ্রে একটা বিস্ময় আছে’।
-‘কিরকম বিস্ময়?’
-‘সমুদ্র একইসাথে সুন্দর এবং ভয়ঙ্কর’।
-‘যেমন?’
-‘সমুদ্রের এই যে বিশালতা, উপচে পড়া ঢেউ, তার বুকে সূর্যের হারিয়ে যাওয়া, নীল জলরাশির উন্মত্ততা, এগুলো হলো সমুদ্রের অপার রহস্য আর সৌন্দর্য। আবার, এই সমুদ্র যখন উন্মাতাল হয়ে হয়ে উঠে, সে হয়ে উঠে বিধ্বংসী আর ভয়ঙ্কর। যে জলরাশির মাধ্যমে জীবন সঞ্চারিত হয়, সেই জলরাশিই হয়ে উঠে জীবন হরণের কারণ। খুব অদ্ভুত না?’সাজিদের কথা শুনে রাজিব বেশ অবাক হলো বলে মনে হলো। মাথা নেড়ে সাঁয় দিয়ে বললো, ‘আসলেই অদ্ভুত!’
সমুদ্র নিয়ে যে সাজিদ এতো দার্শনিকসুলভ চিন্তাভাবনা করতে পারে তা আমি জানতাম না। অবশ্য, ওর যতো দার্শনিকতা সব পেটের মধ্যেই জমিয়ে রাখে। প্রসঙ্গ এসে পড়লেই সেগুলো বের হয়ে আসে।ইন শা আল্লাহ, ‘প্যারাডক্সিক্যাল সাজিদ-০২’।
SKU: n/a -
মিনারাহ পাবলিকেশন্স
বিয়ে করিয়ে দিন
“দয়া করে ঘুম থেকে জেগে উঠুন। আপনার বাচ্চা আর বাচ্চাদের সামনে ধেয়ে আসা ভয়াবহ বিপদকে উপলব্ধি করুন। এই বিপদাসন্ন সময়ে আপনাদের চাইতে শক্ত হাত তারা আর কোথাও পাবেনা, পেতে পারে না। বিশ্বাস করুন, এই চোরাবালি থেকে তাদের উদ্ধারের জন্যে আজ আপনাদেরকেই দরকার, ভীষণভাবে দরকার।”
বইঃ বিয়ে করিয়ে দিন লেখকঃ Hossain Shakil প্রকাশনীঃ মিনারাহ পাবলিকেশন্স
পৃষ্ঠাঃ ৬৪
কাভারঃ পেপারব্যাক
নির্ধারিত মূল্যঃ ৬০ (ষাট) টাকা মাত্রSKU: n/a
Cart totals
Subtotal | ₹13,568.00 |
---|---|
Shipping |
Shipping to West Bengal. |
Total | ₹14,568.00 |