You may be interested in…
-
মাক বায়ান
তাবিয়িদের চোখে দুনিয়া
রাতের বেলা আল্লাহ তাআলা আমাদের সবচেয়ে নিকটবর্তী আসমানে অবতরণ করেন। আমাদের ডাকতে থাকেন। তিনি বলতে থাকেন, ‘কেউ আছে কি মাগফিরাত কামনাকারী, আমি তাকে মাফ করব? কেউ কি আছে প্রার্থনাকারী, আমি তার ডাকে সাড়া দেবো? কেউ কি আছে দুআকারী, আমি তার দুআ কবুল করব?’ [মুসলিম : ১৬৫০]
তাঁর সে ডাকে কতজনই-বা সাড়া দেয়। আমরা তো সারাদিন দুনিয়ার জন্যে দৌড়াদৌড়ি করি, আর রাতের বেলা মরার মতো ঘুমাই। অথচ তাবিয়িরা আল্লাহর ভয়ে এতটাই ভীত থাকতেন যে, রাতের বেলা ঘুমোতে পারতেন না ঠিকমতো।
আমির ইবনু কায়েস রহিমাহুল্লাহ-কে তার মেয়ে একদিন জিজ্ঞেস করল, “কী ব্যাপার বাবা! আমি (রাতের বেলা) সবাইকে ঘুমোতে দেখি, কিন্তু আপনাকে কখনও ঘুমোতে দেখি না যে!”
তখন আমির ইবনু কায়েস জবাব দিলেন, “মেয়ে আমার! জাহান্নাম তো তোমার বাবাকে ঘুমোতে দেয় না।” [তাবিয়িদের চোখে দুনিয়া, হাদীস : ০১]SKU: n/a -
পথিক প্রকাশন
কিতাবুল ফিতান ১ম খন্ড
সাঈদ ইবনুল মুসাইয়্যাব রহিমাহুল্লাহ থেকে বর্ণিত—তিনি বলেন, শামদেশে ব্যাপক ফিতনা দেখা দিবে। যখনই উক্ত দেশের কোনো প্রান্তের ফিতনা একটু শান্ত হবে, তখনই অন্য প্রান্তে উত্তপ্ত হয়ে উঠবে। এভাবে চলতে থাকবে, যা কখনো স্থিতিশীল হবে না, একপর্যায়ে একজন ঘোষক আসমান থেকে ঘোষণা করবে, হে লোকসকল! নিঃসন্দেহে অমুক হচ্ছে (ইমাম মাহদি) তোমাদের আমির।
নোট: এই হাদিসটির সত্যতা ইতিমধ্যেই আমরা দেখতে পাচ্ছি। বর্তমানে সিরিয়ার যুদ্ধবিগ্রহ আস্তে আস্তে বর্তমান পৃথিবির সকল সুপার পাওয়ারদের গ্রাস করে ফেলছে। খুব শীঘ্রই আমরা এসব সুপার পাওয়ারদের পতন দেখতে পাবো ইনশা আল্লাহ। আর সিরিয়ার এই ফিতনা চলবে ১২ থেকে ১৮ বছর, ইতিমধ্যেই আমরা ৯ বছর অতিবাহিত করে ফেলেছি। তাই বর্তমান জালেম সুপার পাওয়ারদের পতন ও মুসলমানদের সুদিন খুব বেশি দূরে নয় ইনশা আল্লাহ। তবে তার আগে মুসলমানদের সন্তান প্রসব বেদনার মত অনেক দুর্যোগ অতিবাহিত করতে হবে।
[কিতাবুল ফিতান : ৬৭৩]
[মুজামুত তাবরানি : ৪৬৬৬; মাকতু, যয়িফ]SKU: n/a -
মাক বায়ান
আত্মশুদ্ধি
মনের একটি রোগ হলো, সে নিজেকে মুক্তির দ্বারপ্রান্তে উপনীত মনে করে। সেভাবে, বিভিন্ন যিকির-আযকার ও ইবাদাত-বন্দেগী দিয়ে মুক্তির দরজায় কড়া নাড়বে আর দরজা তার জন্য সুন্দরভাবে খুলে যাবে। অথচ বাস্তবে দেখা যায় অবাধ্যতা আর পাপাচারের মাধ্যমে সে নিজেই মুক্তির দরজাকে বন্ধ করে ফেলার সকল আয়োজন সম্পন্ন করে রাখে।
.
হুসাইন বিন ইয়াহয়া আমাকে জাফর বিন মুহাম্মাদ থেকে বর্ণনা করেছেন, তিনিবলেন, আমি মাসরূক রাহিমাহুল্লাহ-কে বলতে শুনেছি, রাবিয়া আদাওয়ীয়াহ রাহিমাহাল্লাহ একবার সালিহ মিররির মজলিসের পাশ দিয়ে অতিক্রম করছিলেন। সে সময় সালিহ বলছিলেন, ‘যে ব্যক্তি দরজার কড়া অনবরত নাড়াতেই থাকবে আশা করা যায় তার জন্য দরজা খোলা হবে।’
.
এই কথা শুনে রাবিয়া বললেন, ‘দরজা খোলাই থাকে। কিন্তু বান্দা নিজেই তো সেই দরজা থেকে পলায়ন করে।’
.
ভুল পথে পা বাড়িয়ে উদ্দিষ্ট স্থানে পৌঁছার আশা করা যায় না। সুতরাং একজন বান্দা নিজের জন্য কুপ্রবৃত্তির দরজা উন্মুক্ত করে কীভাবে মুক্তির আশা করতে পারে? যে ব্যক্তি আল্লাহ তাআলার অবাধ্যতা থেকে নিজেকে বারণ করতে পারে না তার মুক্তি তো সদূর পরাহত।
.
ইবনু আবিদ দুনয়া রাহিমাহুল্লাহ বলেন, কোন এক জ্ঞানী ব্যক্তি বলেছেন, ‘তোমার ভেতর পঙ্কিলতা থাকলে তুমি মুক্তি পাবে বলে আশা কোরো না।’
.
এই সমস্যার সমাধান বিষয়ে বিশিষ্ট আবেদ সিররি সাকতী রাহিমাহুল্লাহ বলেছেন, এর থেকে প্রতিকারের উপায় হলো, হিদায়াতের পথে চলা, হালাল খাদ্য ভক্ষণ করা এবং পরিপূর্ণ আল্লাহভীতি অর্জন করা।
.
বই : আত্মশুদ্ধিSKU: n/a -
-
সমর্পণ-সন্দীপন
সিসাঢালা প্রাচীর
মুসলিম উম্মাহ হলো একটি দেহের মতো। আফ্রিকার অধিবাসী কোনো মুসলিম যদি সাহায্যের জন্যে হাত বাড়ায়, তবে ভারতবর্ষে বসেও একজন মুসলিম সে আহ্বানে সাড়া দেয়। আটলান্টিকের এক অজানা স্থান থেকেও যদি কোনো মুমিনের আর্তচিৎকার ভেসে আসে, তবে পুরো মুসলিমজাতি তাতে পেরেশান হয়ে যায়। যেমনিভাবে একজন মুসলিম রমণীর জন্যে সতেরো হাজার সাদা-কালো ঘোড়া নিয়ে ছুটে গিয়েছিলেন খলিফা মু’তাসিম, তেমনিভাবে ওই মুসলিমকে সাহায্য করার জন্য ছুটে যায় তারা। এটাই ইসলামি ভ্রাতৃত্ববোধ। এটাই ঈমানি দায়িত্ব। এভাবেই মুমিনরা একতাবদ্ধ হয়ে গড়ে তোলে সিসাঢালা প্রাচীর। যে প্রাচীর কখনও পরাভূত হয় না। ক্ষয়ে যায় না। শত্রুর প্রবল আঘাতেও এ প্রাচীর গুঁড়িয়ে যায় না। ঠায় দাঁড়িয়ে থাকে মাথা উঁচু করে। বই : সিসাঢালা প্রাচীর লেখক : ইমাম ইবনু আবিদ দুনইয়া (রহিমাহুল্লাহ) অনুবাদক : মুনীরুল ইসলাম ইবনু জাকির বইয়ের নাম- সিসাঢালা প্রচীর লেখক- ইমাম ইবনু আবিদ দুনইয়া (রাহিমাহুল্লাহ) অনুবাদ- মুনীরুল ইসলাম ইবনু জাকির প্রকাশনী- সমর্পণ প্রকাশন
মোট পৃষ্ঠা : 80
বইয়ের ধরণ- আত্মউন্নয়ন, মোটিভেশনালSKU: n/a -
-
মাক বায়ান
সীরাতুন নবি ২
আরব-বিশ্বের বিখ্যাত হাদীসবিশারদ শাইখ ইবরাহীম আলি রহ.-এর লেখা সীরাত-গ্রন্থটি এখন বাংলায়।
শাইখের এ কিতাবটি আজও আরবের মুহাদ্দিসদের নিকট রেফারেন্স-বুক হিসেবে সমাদৃত।
.
আল-হামদু লিল্লাহ, ইতোমধ্যেই সীরাতটির সবগুলো খণ্ড (১-৪) প্রকাশিত হয়েছে।
কিতাবটির বৈশিষ্ট্য :১) বিশ্বের সর্বাধিক বিশুদ্ধ সীরাত-গ্রন্থের একমাত্র বাংলা অনুবাদ।
২) এটিই একমাত্র সীরাতগ্রন্থ, যেখানে কোনও দুর্বল ঐতিহাসিক তথ্য স্থান পায়নি।
৩) নবি-জীবনের প্রতিটি ঘটনা বিশুদ্ধ হাদীসের ভিত্তিতে এ কিতাবে সংকলন করা হয়েছে।
৪) প্রায় তের শ বছর পূর্বে মূসা ইবনু উকবা রহ. এবং ইবনু ইসহাক রহ. রচিত সীরাতের মতো প্রাচীনতম সীরাতগ্রন্থগুলোর স্টাইল অনুসরণ করেই কিতাবটি রচনা করা হয়েছে।
৫) প্রতিটি টীকায় হাদীসের বিস্তারিত তথ্যসূত্র ও বিভিন্ন মুহাদ্দিসদের চুলচেরা বিশ্লেষণ দেওয়া হয়েছে। আগ্রহী পাঠকগণ চাইলেই মূলসূত্র মিলিয়ে দেখতে পারবেন।
৬) বিভিন্ন পরিস্থিতিতে নবিজি কী ধরনের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন, কোন পন্থা অবলম্বন করেছেন আর কী নির্দেশনা দিয়েছেন আমাদের জন্যে, তার নির্ভরযোগ্য বর্ণনা পাওয়া যাবে এ সীরাতে।
৭) নবিজির জীবনী তাঁর জবানে এবং তাঁর সাহাবিদের জবানের মাধ্যমে জানার সৌভাগ্য লাভ করা যাবে।
8) এই সীরাত পাঠের মাধ্যমে আমরা আমাদের জীবনকে সুন্নাহর আলোয় আলোকিত করার সাহস ও শক্তি পাব ইন শা আল্লাহ।SKU: n/a
Cart totals
Subtotal | ₹9,666.00 |
---|---|
Shipping |
Shipping to West Bengal. |
Total | ₹10,156.00 |